Profile
আমার নাম নয়ন তারা মন্ডল । আমার বাবার নাম লক্ষণ ধীবর, আমার প্রথম মায়ের নাম নুনিবালা ধীবর ও দ্বিতীয় মায়ের নাম ঊষা রানী ধীবর । অমার প্রথম মাকে আমি ভালোবেসে মামুনী বলে ডাকতাম।
আমার জন্মের তারীখ হল ১০.১১.১৯৮৮। আমি মেজিয়া হসপিটালে জন্ম গ্রহন করি। আমি ছিলাম আমার মা, বাবা ও মামনীর নয়নয়ের মণি। আমার ছোট বেলা ছিল খুব আনন্দের ও হাসি খুশি। আমি ছোড়া প্রাথমিক অবৈতনিক বিদ্যালয়ে ক্লাস ৪ পর্যন্ত পড়েছি, ক্লাস ৫ থেকে ৮ পর্যন্ত বহুলা শশী স্মৃতি উচ্চতর বিদ্যালয়ে পড়েছি। মামনির কোন সন্তান হয়নি বলে জোর করে বাবার আরেকবার বিয়ে দিয়েছিল। বাবা ইসিএল এ মাইনিং পদে কাজ করত। বাবা প্রায়ই অসুস্থ থাকার জন্য মাকে চাকরি দিয়ে দেয়। মা চাকরি করত আর আমি মামনির কাছেই থাকতাম। মামনির আদর্শেই আমি বড় হয়েছি। মামনি ছিল আমার বেস্ট ফ্রেন্ড, হাসি খুশির সঙ্গী। আমার যখন ক্লাস ৪ এ পড়তাম তখন বাবা ক্যান্সারে মারা যায়। বাবার ভালোবাসা থেকে আমি বঞ্চিত হই। আমার মা আমার বাবা মা দুজনেরই ভূমিকা পালন করেছে। আমার ছোটবেলা হাসিখুশি থাকলেও নেমে আসে এক ঝড়। আমি যখন খেলতে যেতাম বা বেড়াতে যেতাম অনেকেই আমার বাবার নাম জিজ্ঞেস করত আমি তখন বলতাম লক্ষণ ধীবর তখন ওরাই আবার বলতো লক্ষণ ধীবরের আবার কখন সন্তান হল সে ত বাজ্জা । আমি মাকে এসে বলতাম বাজ্জা মনে কি? মা বলতো কে বলেছে ? আমি চিনতে পারলে নাম বলতাম তখন মাকে দেখতাম ঝগড়া করতে যেতে "কেন এ কথা আমার মেয়েকে বলা হয়েছে?" । আমি আস্তে আস্তে জানতে পারি আমার জন্ম পরিচয় বাবার আরেকবার বিয়ে দেওয়ার পর তাদের কোন সন্তান হয়নি। মা ডাক্তারের কাছে জানতে পারে যে তাদের কোনদিন সন্তান হবে না। সে কথা শুনে মা পাগল হয়ে যায়। পরে আবার মামা বাড়ির অন্য এক পাড়ার এক মেয়ে বিষ খেয়েছিল সে ছিল গর্ভবতি। সে মারা গেলেও তার সন্তান মারা যায়নি। সেই সন্তান হলাম আমি। আমার যে জন্মদাতা পিতা ছিল সে আমাকে অন্য কারো হাতে দিয়ে দেওয়ার জন্য করেছিল। আমার দিদা সে খবর জানতে পেরে আমার মাকে এসে বলে। তখন আমার মা আমাকে নিয়ে আসে আমি তখন দুদিনের। মা আমাকে পেয়ে খুব খুশি। মায়ের পাগলামি ঠিক হয়ে যায়। আমাকে পেয়ে বাবার মনে প্রথম প্রথম দ্বিধা ছিল তারপর সব ঠিক হয়ে যায়। এগুলো মা আমাকে কোনদিনও বলেনি বা জানতে দেয়নি। এগুলো হাত থেকে মা আমাকে সব সময় আগলে রাখত যাতে আমি কোনদিনই আমার জন্ম পরিচয় জানতে না পারি। আমিও মাকে বুঝতে দিয়নি যে আমিও সব জেনে গেছি। কারন এতে আমার কোন যায় আসতো না কারণ আমি মন প্রাণ দিয়ে জানি এটাই আমার মা-বাবা আর এটাই আমার বাড়ি। কিন্তু মামনি, মা ভয়ে ভয়ে থাকতো যদি আমি জন্ম পরিচয় জেনে যায়। তাহলে কি আমি তাদেরকে ছেড়ে চলে যাব? এভাবে ঠিক করলো আমার বিয়ে দেবে আমাদের গ্রামে আমাদের পাশের এক বাড়ির পরের বাড়ির পরের বাড়িতে এক ছেলের সাথে দু বাড়ির মতামত নিয়ে বিয়ে ঠিক করে রাখে। আমি তখন খুবই ছোট একদিন জায়গার বিতর্কে বিয়ে ভেঙ্গে যায় তখন আমার মামুনি অস্থির হয়ে পড়ে যে আমার নয়নের আর কি বিয়ে হবে না বা দূরে বিয়ে হলে আর কি দেখতে পাবো না । আমার মামনি ছিল খুবই অসুস্থ। তাই মা ঠিক করল না গ্রামেই দেখে আমার বিয়ে দেবে । আমি তখন ক্লাস ৮ এ পড়ি। এর মধ্যে আমার খুব শরীর খারাপ হয়ে যায়। তাই আমার পড়াশোনা ঠিকমতো হয়নি। তারপরে আমার বিয়ে হয়েছে আর পড়াশোনা সুযোগ আমি কোনদিনই পাইনি আর এদিকে ভয়ে ভয়ে মা পড়তে যেতে দেয়নি। তারপর একদিন রাধেশ্যাম ধীবরের ছেলে গোপাল ধীবরের সাথে আমার বিয়ে দেবে বলে ঠিক করে তাই সম্বন্ধ দেখে দুই বাড়িতেই রাজি হয়ে যায় ২০০৩ সালে আমার বিয়ে হয়। বেশ ধুমধাম করে পণ দিয়ে আমার বিয়ে হয়। সেই বিয়েতে নেমন্তন্ন করে অনেককে। আর ওদের মধ্যে ছিল আমার জন্মদাতা বাবা সেও আমার বিয়েতে আসে। সেও আরেকবার বিয়ে করে । তার বউ এক মেয়ে আর দুই ছেলেকে নিয়ে আসে। আমি মামা মামি বলতাম সেটাই হলো আমার জীবনের কাল । আমার শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে ওরা পরিচয় করে , যেহেতু ওরা ছিল খুবই কোটিপতি । তাই আমার শ্বশুর বাড়ির লোক লোভ সামলাতে পারে না। ঠিক বিয়ের পরই আমাকে নিয়ে যেতে চায় ওদের বাড়ি। আর আমার মা বুঝতে পারেনা ওদের শয়তানি। একদিন না সবাইকে নিয়ে যায় ওই জন্মদাতা বাড়ি। কিন্তু মা ওদেরকে বলে দিয়েছিল যে আমি যাতে কোনদিনও নয়নের আসল জন্ম পরিচয় না জানতে পারি। আমার শ্বশুর বাড়ির লোকেদের ওদের ঘরবাড়ি দেখে ভীষণভাবে লোভ বেড়ে যায়। এবার বাড়িতে এসে পড়ে আমাকে বলতে লাগে এরা আমার মা না , এরা আমার কেউ না। উমাপদ তোর বাবা মা ছোটতে তোকে নিয়ে এসেছিল যেহেতু আমি সবই জানতাম তাই আমার কিছুই যায় আসতো না। আমার শ্বশুর বাড়ির লোক এবার বলতে থাকে তোর মায়ের কাছ থেকে সব লিখিয়ে নিয়ে আয় না হলে মেজিয়া চল, যেখানে তোর বাবা-মা আছে। সেখানে অনেক সম্পত্তি দেবে বলেছে। আমি রাজি না হওয়ার জন্য বাড়তে থাকে অত্যাচার। আর মা তাদেরকে সুখী করার জন্য একের পর এক জিনিস দিতে থাকে। তবুও আমার শ্বশুরবাড়ি লোকেদের শান্তি হয় না। সব কাজ আমাকে দিয়ে করা তো। আর এদিকে জানতে পারি মেজিয়াতে গিয়ে টাকা পয়সা ওরা আনতে থাকে । এইভাবেই দিনরাত কাটে। শরীর খারাপ হলে বলে যে কাজ করতে পারবি না তোর মায়ের কাছে চলে যা। গ্রীষ্মকালীন সময়ে ফ্যান চালাতে দিত না হ্যান্ডেল নামিয়ে রেখে দিত। ঠিক এভাবেই দিন পার হতো ঠিকভাবে খেতেও দিত না এই অশান্তির মধ্যেও আমার এক সন্তান গর্ভে আসে কিন্তু ওদের অত্যাচারে সন্তান গর্ভেই নষ্ট হয়ে যায়। ডাক্তার কল্যাণ দত্ত মাকে বলেন যে আরেক বার সন্তান যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কোনদিনও সন্তান হতে নাও পারে । আবার যখন আমার সন্তান গর্ভে আসে তখন মা আমাকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে চলে আসে ওরা আমার কোন খবরও নেয় না কিন্তু এদিকে মেজিয়াতে সম্পর্ক রেখে যায়। ৩ ডিসেম্বর ২০০৪ এ আমার মেয়ে হয়। যার নাম সুবর্ণা। একুশে দিন আমাদেরই বাড়ির কুয়োতে ফেলতে যাই । সেদিন হয় খুব চেঁচামেচি লোকজন ডাকাডাকি। তারপর আমার মেয়ের বয়স যখন এক বছর তখন বলে সারদা বিদ্যাপীঠের কাছে চলো আমরা গিয়ে আলাদা থাকি। খাসকেন্দাতে রামবরন এর বাড়িতে আমরা আলাদা থাকবার জন্য গেলাম। সেখানেও শান্তি নেই । আমাকে নিয়ে গেল কষ্ট দেওয়ার জন্য। আমি কি করছি বা আমার মেয়ে কি খাচ্ছে সেটা কোনদিনই দেখতো না আর যেতওনা ওরা মায়ের কাছেই থাকতো খেত আর মন হলে যেত। আর আমার মা মামনি গিয়ে আমার খাবার দিয়ে আসতো। এভাবে এক বছর কাটিয়েছি, ঘর ভাড়ার মালিক মা কে বলেছিলেন যে মেয়েকে রেখে কি করবেন যখন আপনি সব নিয়ে আসেন, স্বামী যখন আসে না থাকে না তখন মেয়েকে নিয়ে চলে যাও এই জায়গাটা খুব খারাপ। শ্বশুর বাড়ি আর বাপের বাড়ি এই করে আমার দিন কাটছিল। কিন্তু অশান্তির মাঝে দিনরাত পেরত । আমার মা মামনি কেউ শ্বশুরবাড়ির লোক ছাড়েনি। তাদেরকে মারত আমি যখন শ্বশুর বাড়িতে থাকতাম আমার মা মামনিকে ওদের বাড়ি যেতে দিত না। আমি রাস্তায় পা ছাদে গিয়ে মায়ের সাথে কথা বলতাম বা মায়ের সাথে দেখা করতাম। কিন্তু আমার মা ও মামনি কে শ্বশুরবাড়িতে ঢুকতে দিত না আমার দোষ আমি ওদেরকে সম্পত্তি লিখে দিচ্ছি না। এরমধ্যে আমার ছোট মেয়ে আমার গর্ভে এলো। তখন আমি বাপের বাড়িতে ছিলাম। তাই আমাকে কলঙ্ক দেওয়ার জন্য আমার গর্ভে থাকা সন্তানকে অস্বীকার করলো । তখন মা আমি আইনের হাত ধরলাম ভয় পেয়ে তখন আবার স্বীকার করল যে আমাকে ক্ষমা করে দাও আমার ভুল হয়ে গেছে। ২০০৮ এ ১১ ই এপ্রীল আমার ছোট মেয়ের জন্ম হয়। যার নাম অর্পনা। আবার কিছুদিন পর শশুর বাড়ি গেলাম কিন্তু ওরা আর বদলায় না এভাবেই কেটে যায় আমার তেরোটা বছর অত্যাচারের সীমা আর সহ্য করতে না পেরে আমি নিজেই সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমি আর কোনদিনই আমি এই শশুর বাড়িতে আসবো না। আজীবনের জন্য আমি বাপের বাড়ি চলে যাব আর তবুও ওরা আমাকে আরো একবার বলেছিল যে যা লাস্ট বারের মতো বলছি বাপের বাড়ির সব সম্পত্তি লিখে নিয়ে আয় আর তোর মাকে ছেড়ে দে আর আমাদের সাথে মেজিয়া চল। সব আবার ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু আমি ওদের এই কথাই রাজি না হওয়ার জন্য আমার মাকে ডেকে পলিসি দেখিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় মায়ের বাড়িতে। আমি আমার দুই মেয়ে আমার মা মামনি আমরা আমার মায়ের বাড়িতেই থাকি, হঠাৎ একদিন আমার মামনি ব্রেনস্টকে মারা যায়। তখন আমি ভেঙ্গে পড়ি কারণ আমার মামনি ছিল আমার সুখ দুঃখের সাথী মা আমি আর আমার দুই মেয়ে থাকতাম। একদিন ধনঞ্জয় ব্যানার্জীর বড় মেয়ে আমাদেরকে পিযুষ শাস্ত্রীর কথা বলেন । আর আমাদেরকে যাওয়ার জন্য বলে আমি যেতে রাজি হইনি কারন তখন আমার মধ্যে আর বিশ্বাস ছিল না। কারণ এগুলো এর আগে অনেকবার বলেছে তবু আমার মা বিশ্বাস করে বললেন যে একবার চ। আমরা আমি আমার দুই মেয়ে আর আমার মা পিযুষ শাস্ত্রীর কাছে গেলাম। আমার হাত দেখে পিযুষ শাস্ত্রী যিনি আমার গুরুদেব আমার ভগবান তাকে হাত দেখিয়ে তিনি বললেন তুই ডিভোর্স দে আরেকবার বিয়ে কর। আমি কোনমতেই রাজি হয়নি, মা বলে এ কি করে হয় আমার মেয়ের দুটি মেয়ে আছে কিন্তু কে বিয়ে করবে এখন কার দিনে আমাদেরকে বাস করতেই দেবে না। আমাদেরকে অনেক বোঝাই এবং অনেক সত্য ঘটনা বলেন আমরা সবাই ঘুরে বাড়ি চলে আসি মাথায় তো আমার এইসব কথাই ঘুরপাক খাই। বুঝে উঠতে পারি না যে কি করব বা কি করা উচিত আবার একদিন দাদার কাছে যায় এবং বিয়ে না করার জন্য প্রতিকার জানতে চাই। প্রতিকার ও করি। কিন্তু বলেছিলেন ৩৬ বার করতে কিন্তু ১৮ বার করতে করতে আমার জীবনে এমন কিছু ঘটনা হয়। যেটা আমি আর ছত্রিশ বার পূর্ণ করতে পারিনিএবং গুরুদেবকে বলি। তখন গুরুদেব কে দাদা বলতাম ত দাদাকে বলি যে আমি কি করবো আমাকে বলেন যে তোকে তো বারণ করেছিলাম প্রতিকার না করার জন্য তুই আর প্রতিকার করিস না। নিজের জীবনে বিয়ে কর নিজের জীবন তৈরি কর তো অনেক ঘটনা জীবনে ঘটে যাওয়ার পরে আমি সিদ্ধান্ত নি যে আমার দুটো মেয়ের জন্য বিয়ে করতেই হবে। তাই আমার জীবনে একদিন কাঞ্চন আছে সে আমাকে বলে বিয়ে করবে সে আমার মেয়েদের নিজের করে নিতে চায়। তখন আমি দাদাকে এতটাই বিশ্বাস করি যে তুমি আমার সাথে চল বহুলাতে আমার এক দাদা আছে সে যদি বলে আমাকে তোমাকে বিয়ে করতে তবেই আমি করব না হলে আমি করবো না সে রাজি হওয়াই। আমি আমার দাদার কাছে তাকে নিয়ে যায় এবং দাদা বলেন আর বিয়ের দিনও ঠিক করে দেয় সেই দিনই আমরা পদ্মাবতী মন্দিরে দাদার আশীর্বাদ নিয়ে গিয়ে বিয়ে করি কিন্তু আমার মা আর আমার শ্বশুর বাড়ির লোক মেনে নিতে পারেনি। মা পরে মেনে নেয় এবং শ্বশুর বাড়ির লোক ও মেনে নেয় কিন্তু শ্বশুর বাড়ির লোক খুব এতটা ভালো না। আর আমার মায়ের কাছে কাঞ্চন হয়ে ওঠে তার নিজের ছেলে এভাবেই হাসি খুশিতে দিন কাটতো মাঝেমধ্যেই বোঝাতে পারবো দাদার বাড়ি যেতে। আমাকে একদিন বললেন সন্তান নেওয়ার জন্য আমি রাজি হলেও আমার মা রাজি হয় না মা বলে অনাথ আশ্রম থেকে নিয়ে আয় তবু তোর গর্ভে যেন সন্তান না হয়। তোর গর্ভে সন্তান হলে তুই আর বাঁচবি না আর তুই যদি না বাঁচিস তাহলে তোর সন্তানকে নিয়ে কি করব । অন্যদিকে কাঞ্চন বলে আমাদের কি সন্তান নেই তুমি সন্তান নেওয়ার জন্য অস্থির হয়ে উঠছো? আমার দুই মেয়ের ভাইয়ের খুব ইচ্ছা যে তাদের একটা ভাই হক। ভালোভাবেই দিন কাটছিল পাঁচ বছর এইভাবে কেটে গেল তারপর একদিন I V F এর কথা জানতে পেরে মা রাজি হয়। মা রাজি হয় ওই কথা আমি দাদাকে গিয়ে বলি। তোকে তো আমি অনেক আগেই বলেছিলাম সন্তান নেওয়ার জন্য তো I V F জন্য ডাক্তারের কাছে যায় এবং আমার ট্রিটমেন্ট শুরু হয়। জানুয়ারি ১৬ তারিখে ট্রান্সফার হয় আমাদের সন্তান তারপর জানতে পারি যে দাদাকে আমি ভগবানের আসনে বসিয়ে ছিলাম। সে সত্যি সত্যি ভগবান আর নিজেকে ধন্য বলে মনে করি। খগেশ্বরে মন্দিরে ২১ তারিখে প্রতিশ্রুতি পায় দীক্ষা নেওয়ার জন্য দাদা থেকে হয়ে ওঠে আমার গুরুদেব
আমার ভগবান। হঠাৎ April মাসে মা মারা যায় মা দেখতে পেল না আমার সন্তান। গর্ভে থাকা অবস্থায় আমি একদিন গুরুদেবের বাড়ি যাই মেয়ের কিছু জিজ্ঞেস করার জন্য। তো গুরুদেব বলেন যে দীক্ষা হবে চন্দ্রচুর মন্দিরে তোর আর তোর গর্ভে থাকা সন্তানের। আর তার সঙ্গে তোর বড় মেয়েরও দীক্ষা হবে। এই কথা শুনে আমি ভীষণ খুশি হয় আনন্দ আর ধরে রাখতে পারছিলাম না। চন্দ্রচূড় মন্দিরে আমার আমার গর্ভে থাকা দুই সন্তানের ও আমার বড় মেয়ের দীক্ষা হল। আমার জীবন হয়ে উঠলো ধন্য। ১৫ আগস্ট বুধবার আমাদের দুই সন্তানের জন্ম হলো সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং গুরুদেব আর কিছু বেদান্ত পরিবার । সব ঝড় গুরুর কৃপায় কেটে গেল আমার দুই সন্তানের গুরুদেব নাম দিলেন ভীমসেন ও ভীমচাঁদ। ওদের অন্নপ্রাশন হল গুরুদেব দিন ঠিক করে দিলেন ২৪ ১১ ২০২২ তারিখে এখন বর্তমানে আমার বড় মেয়ে রাজ বান্দ ল কলেজে ফার্স্ট সেমিস্টারে পড়ছে ছোট মেয়ে নাইনে পড়ছে, আমি দুই সন্তানকে লালন পালন করছি আর সব থেকে বড় পাওয়া হল আমি গুরুদেবকে পেয়েছি। আমার ভগবানকে পেয়েছি কর্তব্য জ্ঞান করে আমি আমার সংসার সাধন করে, আমি মক্ষো লাভের জন্য যেতে চাই। আমার গুরুদেবের কাছে আমার সহস্র কোটি প্রণাম আমি যা কিছু হয়েছি বা যা কিছু পেয়েছি সবই আমার গুরুদেবের জন্য আমার ভগবানের জন্য।
আমার প্রতিশ্রুতির দিন ২১.১১.২০২১, খোগেশ্বরের মন্দিরে, এই দিন ঈশ্বরের আশিস কৃপায় আমি আমার গুরুদেবের কাছ থেকে দীক্ষার প্রতিশ্রুতি পায় এবং ৩০.০৫.২০২২, চন্দ্রচুর মন্দিরে নাম দীক্ষা পায় এবং ২৮.০৯.২০২২, বহুলায় বীজ ও গায়ত্রী দীক্ষা পায়। আমি আমার সকল গুরুদেবের কাছে চির কৃতজ্ঞ আমাকে অন্ধকার থেকে আলোর দিশা দেখানোর জন্য। আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল সকলকে আপনাদের দেখানো রাস্তায় নিজে এবং অপরকে চালিত করতে পারি।