শ্মশানরাত্রি যোগ সাধনা
শ্মশানরাত্রি যোগ সাধনা
শ্মশানযোগ কোনো সাধারণ যোগ নয়। এটি মৃত্যুকে উপলব্ধি করে জীবনের মায়া কাটিয়ে, নিজেকে আত্মজ্ঞান ও চিত্তের পরিপূর্ণ সংযমে নিয়ে যাওয়ার একটি অতি গোপন ও ভয়ের উপরে স্থাপিত সাধনা।
প্রাথমিক প্রস্তুতি:
1. দেহশুদ্ধি: রুদ্রাভিষেক বা নারায়ণনাগবলি & ত্রিপিণ্ড দান করে দেহ ও চেতনা প্রস্তুত করা।
2. রক্ষাচক্র: শ্মশান প্রবেশের পূর্বে রক্ষাযন্ত্র ধারণ (যেমন কালী/ভৈরবের ত্রিশূলচক্র)।
3. নির্জনতা: একা বা গুরুপ্রদত্ত সহযোগে (সাধনার সময় কেউ যেন বিঘ্ন না ঘটায়)।
যোগ ও তন্ত্রক্রিয়া:
১. শ্মশানভৈরব ধ্যান:-চোখ বন্ধ করে চিতার আলো ও ধোঁয়া কল্পনায় এনে ভৈরব রূপ চিন্তা।মন্ত্র:ওঁ কালভৈরবায় নমঃ।
২. কালী বা চামুণ্ডা ধ্যান (স্মশানকালী):-কল্পনায় দেবীকে চিতাভস্মে আবৃত, খপ্পর হাতে, পশুর মুন্ড ধারণকারী ভাবা।মন্ত্র: ওঁ কালিকায়ৈ নমঃ।
৩. চিতাভস্ম তিলক:-একটি সদ্য জ্বলন্ত চিতার ছাই মাথায় তিলক করে প্রয়োগ — “মৃত্যুর ছোঁয়া দিয়ে জীবনের মায়া ভাঙা”।
৪. প্রবেশ মন্ত্র ও সংযম:-চিতার চারপাশে বসে সাধক জপ করেন, চিতার দিক না করে নয়। প্রয়োগযোগ্য মন্ত্র (গুরু কর্তৃক অনুমোদিত হলে):
⚠️ সতর্কতা ও বিধি:
গুরুবিহীন এই সাধনা করবেন না — কারণ এটি জীবনের খুব সূক্ষ্ম স্তরে কষ্ট ও বিপদ ডেকে আনতে পারে।
চিতা স্পর্শ নয় — শুধুমাত্র ছায়া বা ছাই ব্যবহার করা যায়।
দেহরক্ষার জন্য বজ্রকবচ বা “অঘোরকবচ” ধারণ আবশ্যক।