পৃথিবীর মানচিত্রের চিত্রণ
মহাভারতের ভবিষ্যৎবাণী আজ বৈজ্ঞানিকভাবে মিলে যাচ্ছে দেখবে---উল্টে দাও মানচিত্রটা...
মহাভারতে, বিশেষ করে ভীষ্ম পর্বের ৬ষ্ঠ অধ্যায়ের ১২-১৬ শ্লোকে, মহাকাশ থেকে পৃথিবীর আবির্ভাবের বর্ণনা রয়েছে, যা প্রায়শই একটি বিশ্ব মানচিত্র হিসাবে ব্যাখ্যা করা হয়। সঞ্জয় তাঁর ঐশ্বরিক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে পৃথিবীকে (সুদর্শন দ্বীপ) একটি চক্রের মতো বৃত্তাকার হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং চাঁদ থেকে দেখলে, এর দুটি অংশ পিপল পাতার মতো এবং দুটি অংশ একটি বিশাল খরগোশের মতো দেখা যায়।
सुदर्शनं प्रवक्ष्यामि द्वीपं ते कुरुनन्दन।
परिमण्डलो महाराज द्वीपोऽसौ चक्रसंस्थितः।।
यथा हि पुरुषः पश्येदादर्शे मुखमात्मनः।
एवं सुदर्शनद्वीपो दृश्यते चन्द्रमण्डले।।
द्विरंशे पिप्पलस्तत्र द्विरंशे च शशो महान्।।
......................ভীষ্ম পর্বের ৬ষ্ঠ অধ্যায়ের ১২-১৬ শ্লোক
অর্থ: "হে কুরু-নন্দন! আমি সুদর্শন দ্বীপের বর্ণনা দেব। হে মহান রাজা, এই দ্বীপটি আকৃতিতে গোলাকার, চাকার মতো অবস্থিত। যেমন একজন ব্যক্তি আয়নায় নিজের মুখ দেখেন, তেমনি সুদর্শনের এই দ্বীপটি চন্দ্রগোলকের মধ্যে দেখা যায়। দুটি অংশে, পিপল পাতা এবং দুটি অংশে, একটি বিশাল খরগোশ।......................ভীষ্ম পর্বের ৬ষ্ঠ অধ্যায়ের ১২-১৬ শ্লোক
তাৎপর্য এবং ব্যাখ্যা:
এই শ্লোকটিকে কেউ কেউ, বিশেষ করে সন্ত রামানুজাচার্য, পৃথিবীর মানচিত্রের চিত্রণ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। এই বর্ণনার উপর ভিত্তি করে তৈরি একটি মানচিত্র উল্টে দিলে, এটি আধুনিক বিশ্বের মানচিত্রের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
এই ধারণাটিকে প্রাচীন ভারতীয় বৈজ্ঞানিক জ্ঞান এবং বৈদিক যুগের ঋষিদের জ্ঞানের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, যারা আধুনিক প্রযুক্তির অস্তিত্বের অনেক আগে থেকেই পৃথিবীর রূপ বর্ণনা করতে পারতেন।