সাহসি হোন . আপনি যা কিছু ভয় করেন তা থেকে আপনার মনকে সরিয়ে নিয়ে বেদান্ত অনুশাসনের এবং ঈশ্বর ও গুরুর এর উপর ছেড়ে দিন । ঈশ্বর ও গুরুর এর উপর আন্তরিক বিশ্বাস রাখুন যে আপনি অবশ্যই বেদান্ত অনুশাসনে চলে ও সাধনা করে এই জন্মেই মুক্ত হবেন।"
আপনি কতটা বিশুদ্ধতা, প্রেম, সৌন্দর্য এবং আধ্যাত্মিক আনন্দ প্রকাশ করবেন তা বেছে নেওয়া আপনার ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে, শুধুমাত্র কাজের মাধ্যমে নয়, আপনার চিন্তাভাবনা, অনুভূতি এবং আকাঙ্ক্ষার মাধ্যমে।' আমরা মানুষ এবং পরিস্থিতির প্রতি যেভাবে প্রতিক্রিয়া জানাই, আমরা কীভাবে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করি এবং আমাদের সময়কে ব্যবহার করি এবং জীবনের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে কি ভাবে আমরা প্রভাবিত করি এমন চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গির সূক্ষ্ম পরিমণ্ডলে তৈরি আমরাই করেছি।
মন একাগ্র করিবার ক্ষমতার তারতম্যই মানুষ ও পশুর মধ্যে প্রধান পার্থক্য।
একাগ্রতার ক্ষমতা পশুদের একরকম নাই বলিলেই চলে। যাঁহারা পশুদের শিক্ষা দিয়া থাকেন, তাঁহাদিগকে এই কারণে বিশেষ বেগ পাইতে হয়। পশুকে যাহা শেখান হয়, তাহা সে ক্রমাগত ভুলিয়া যায়; কোন বিষয়ে একসঙ্গে অধিকক্ষণ মন দিবার ক্ষমতা তাহার নাই। পশুর সঙ্গে মানুষের পার্থক্য এখানেই—মন একাগ্র করার ক্ষমতা পশুর চেয়ে মানুষের অনেক বেশী। মানুষে মানুষে পার্থক্যের কারণও আবার এই একাগ্রতার তারতম্য। সর্বনিম্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে সর্বোচ্চ স্তরের মানুষের তুলনা করিয়া দেখ, দেখিবে একাগ্রতার মাত্রার বিভিন্নতাই এই পার্থক্য সৃষ্টি করিয়াছে। পার্থক্য শুধু এইখানেই। সকলেরই মন সময়ে সময়ে একাগ্র হইয়া যায়। যাহা আমাদের প্রিয়, তাহারই উপর আমরা সকলে মনোনিবেশ করি; আবার যে বিষয়ে মনোনিবেশ করি, তাহাই প্রিয় হইয়া উঠে। একাগ্রতার সঙ্গে অল্পবিস্তর পরিচয় আমাদের সকলেরই আছে। ইহার ফল প্রতিদিনই আমাদের চোখে পড়ে। সঙ্গীত, কলাবিদ্যা প্রভৃতিতে আমাদের যে উচ্চাঙ্গের কৃতিত্ব, তাহা এই একাগ্রতা-প্রসূত।একাগ্রতার সব চেয়ে বড় দোষ হইতেছে এই যে, মন আমাদের আয়ত্তে থাকে না, বরং মনই আমাদের চালিত করে।এভাবে আমাদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও বহু বিষয়ে মন আকৃষ্ট হইয়া একাগ্র হয়। আমরা তাহাতে বাধা দিতে পারি না।
এখন প্রশ্ন হইতেছে, চেষ্টা করিয়া এই একাগ্রতা বাড়াইয়া তোলা ও ইচ্ছামত তাহাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ???
যোগীরা বলেন, হাঁ, তাহা সম্ভব; তাঁহারা বলেন, আমরা মনকে সম্পূর্ণ বশে সম্ভব।
বেদান্ত অনুশাসনে চলে ও ক্রিয়াযোগ সাধনা করে প্রণালীবদ্ধ ক্রমোন্নতি দ্বারা মনের একাগ্রতা ও নির্লিপ্ততার ক্ষমতাকে ধীরে ধীরে বাড়িয়ে শেষ অব্দি মনকে সম্পূর্ণ বশে সম্ভব।
ধর্মের অনুশীলনে মনঃসংযম একান্ত প্রয়োজন তাই বেদান্ত অনুশাসনে চলে ও ক্রিয়াযোগ সাধনা অতি অবশ্যক । চিন্তার প্রবাহের জন্য মস্তিষ্কে নূতন প্রণালী নির্মিত হইবে, যে-সব স্নায়ু সারা জীবনে কখনও কাজে লাগে নাই, সেগুলিও সক্রিয় হইয়া উঠিবে, এবং শরীরেও সম্পূর্ণ নূতন ধরনের বহু পরিবর্তন-পরম্পরা উপস্থিত হইবে
************************************************
বিদ্যা সনাতন । এ গণিতশাস্ত্রের মত একেবারে অভ্রান্ত; যোগবিয়োগের সহজপ্রণালীর মত সনাতন বিদ্যা বিধিও কখনও নষ্ট হতে পারে না । একজন প্রকৃতশযোগী - যাঁর মধ্যে শ্রদ্ধাভাক্তি ও শুদ্ধজ্ঞানের সমন্বয় ঘটেছে - তাহলে তিনি এর বিদ্যা বিধিও সবই পুনরায় করে ফেলতে পারবেন ।''
মনুষ্য জীবন সুদুর্লভ জীবন খুব কষ্ট করে মানুষ জীবন পাওয়া গেছে তাই মনুষ্য জীবনের সৎ ব্যবহার করুন।ধর্মের পথে হাঁটলে কষ্ট ঠিকই হবে কিন্তু জয় আপনারই হবে।কুকাজ করে নিজের জীবনের অমূল্য সময় নষ্ট করবেন না।অহংকার সবই ব্যর্থ কারণ আপনি এসব কিছুই সাথে নিয়ে যেতে পারবেন না
********************************************
ভগবান বলেছেন:-তুমি সর্বভূতের মধ্যে আমাকে দেখো।ভগবানের জন্য শুধু দু’ফোটা চোখের জল ফেললেই ভক্ত হয় না।যথার্থ ভক্ত হবে সে-ই, যে সর্বভূতের মধ্যে আমাকে দেখতে পাবে। সমস্ত ভূতের মধ্যে আমাকে দেখতে পাওয়ার ফলেই আর কখনো আমি তার দৃষ্টির অগোচরে থাকি না।সব সময়েই সে আমার নয়নে নয়নে থাকে, আমিও তার নয়নে নয়নে থাকি।আমিও তার দৃষ্টির বহির্ভূত হই না, এবং সে-ও আমার দৃষ্টির বহির্ভূত হয় না। এইরূপে যোগের যখন ক্রমশ ক্রমশ গভীরতা হবে, তখন সেই গভীরতার ফলে তার আর কোনো সাধনের প্রয়োজন থাকে না, কর্মের প্রয়োজন থাকে না, সে যোগারূঢ় হয় এবং ক্রমশ যুক্ততর ও যুক্ততম অবস্থা লাভ করে।যোগারূঢ় অবস্থা লাভ করার জন্য মনকে যে বহির্মুখ গতি, তাকে অন্তর্মুখ গতি করে নিতে হবে।পাতঞ্জল যোগদর্শনের একটি সূত্রেও শুনিয়েছেন ‘অভ্যাসবৈরাগ্যাভাং তন্নিরোধঃ(অন্তর্মুখগতি)”—(সমাধিপাদ)। চিত্তের অন্তর্মুখ গতি হয় কিসের দ্বারা? দুটি উপায়ের দ্বারা মনকে বশীভূত করা যায়। একটির নাম অভ্যাস (বৈদিক অনুশাসন), আর একটির নাম বৈরাগ্য( নিরন্তর নিত্য অনিত্য বিচার)।ভগবান গীতাতে বলেছেন:-“অভ্যাসেন তু কৌন্তেয় বৈরাগ্যেণ চ গৃহ্যতে।।” দুটি উপায়ের দ্বারা মনকে বশীভূত করা যায়। একটির নাম অভ্যাস (বৈদিক অনুশাসন), আর একটির নাম বৈরাগ্য( নিরন্তর নিত্য অনিত্য বিচার)।************************************************************************* "ব্রহ্মরাজন্যাভ্যাং শূদ্রায় চার্যায় চ স্বায় চারণায় চ ".. যজুর্বেদ 26/2 বেদের জ্ঞান ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র নিজের এবং অপরের সকলের জন্য। ওম শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ*************************************************ওম্ অসতো মা সদ্গময়। তমসো মা জ্যোতির্গময়। মৃত্যোর্মামৃতং গময়।
(বৃহদারণ্যক উপনিষদ্ ১।৩।২৮)
অন্ধকার থেকে আমাকে আলোতে নিয়ে যাও, মৃত্যু থেকে আমাকে অমৃতে নিয়ে যাও।
ওম শান্তি শান্তি শান্তি
*******************************************************************************************ত্যাক্তেন তেন ভুঞ্জিথাঃ অর্থাত ত্যাগের সহিত ভোগ করো।---(ঈশ উপনিষদ, ১/১)অর্থাৎ ভোগ করার আগে ত্যাগের মনোভাব রাখা দরকার। ভোগ করার অধিকার তার জন্যই আছে, যে সেই ভোগ কে তুচ্ছ জ্ঞানে ত্যাগ করতে জানে। আর এতেই পরমশান্তি লাভ হয়।
তস্মাদ্ গুরুং প্রপদ্যেত জিজ্ঞাসুঃ শ্রেয় উত্তমম্ । শাব্দে পরে চ নিষ্ণাতং ব্রহ্মণ্যুপশমাশ্রয়ম্ ।। (ভাগবত ১১/৩/২১) অনুবাদঃ- অতএব কেউ যদি আন্তরিকভাবে প্রকৃত আনন্দ কামনা করেন, তাহলে তাঁকে দীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে একজন সদ্গুরুর আশ্রয় অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে।
এবং জনং নিপতিতং প্রভবাহিকূপে
কামাভিকামমনু যঃ প্রপতন্ প্রসঙ্গাৎ ।
কৃত্বাত্মসাৎ সুরর্ষিণা ভগবান্ গৃহীতঃ
সোহহং কথং নু বিসৃজে তব ভৃত্যসেবাম্ ।।
(ভাগবত ৭/৯/২৮)
অনুবাদঃ- হে ভগবান! একের পর এক জড় বাসনার সঙ্গ প্রভাবে আমি সাধারণ মানুষদের অনুসরণ করে সর্পপূর্ণ অন্ধকূপে পতিত হয়েছি। আপনার সেবক নারদ মুনি কৃপা করে আমাকে তাঁর শিষ্যরূপে গ্রহণ করেছেন এবং দিব্য স্থিতি প্রাপ্ত হওয়ার শিক্ষা প্রদান করেছেন। তাই আমার সর্বপ্রথম কর্তব্য তাঁর সেবা করা। তাঁর সেবা আমি কি করে পরিত্যাগ করতে পারি?
(ভগবান শ্রীনৃসিংহদেবের প্রতি প্রহ্লাদ মহারাজ) শ্রীমদ্ভাগবতে (১১/২৯/৬) বলা হয়েছে-
নৈবোপযন্ত্যপচিতিং কবয়স্তবেশ
ব্রহ্মায়ুষাপি কৃতমৃদ্ধমুদঃ স্মরন্তঃ।
যোহন্তর্বহিস্তনুভৃতামশুভং বিধুন্ব-
ন্নাচার্যচৈত্ত্যবপুষা স্বগতিং ব্যনক্তি।।
অর্থাৎ “হে ঈশ্বর, তুমি বাইরে আচার্যরূপে এবং অন্তরে অন্তর্যামীরূপে দেহধারী জীবের অশুভ অর্থাৎ ভক্তিপ্রতিকূল বিষয়-বাসনা নাশ করে তার গতি প্রদান করো। অতএব তোমাতে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ভক্তিরূপ পরমানন্দে নিমগ্ন হয়ে ব্রহ্মজ্ঞানসম্পন্ন কবিগণ কল্পান্তকাল তোমার সেবায় নিযুক্ত থেকেও তোমার উপকারের কথা স্মরণ করে কিছুতেই ঋণমুক্ত হতে পারেন না।
রথে চ বামনং দৃষ্ট্বা পুনর্জন্ম ন বিদ্যতে” রথে জগন্নাথকে দর্শন করলে তার ‘পুনর্জন্ম হয় না।
যো যো যাং যাং তনুং ভক্তঃ শ্রদ্ধয়ার্চিতুমিচ্ছতি৷
তস্য তস্যাচলাং শ্রদ্ধাং তামেব বিদধাম্যহম্৷৷৭/২১ অর্থ: পরমাত্মারুপে আমি সকলের হৃদয়ে বিরাজ করি। যখন কেউ দেবতাদের পূজা করতে ইচ্ছা করে আমি তাদের শ্রদ্ধানুসারে সেই সেই দেবতাদের প্রতি ভক্তি বিধান করি।
**********************************
য়স্য নাস্তি স্বয়ম্ প্রজ্ঞম্ শাস্ত্রম্ তস্য করোতি কিম্।লোচনাভ্যাম্ বিহীনস্য দর্পণঃ কিম্ করিষ্যতি।।যার মধ্যে বুদ্ধি নেই বেদাদি শাস্ত্র তাকে কিছুই শেখাতে পারবে না, যেমন চক্ষুহীন অন্ধ ব্যক্তিকে দর্পণ বা আয়না কিছুই দেখাতে পারে না।
নরাশংসমিহ প্রিয়মস্মিন্যজ্ঞ উপ হ্বয়ে।মধুজিহ্বং হবিষ্কৃতম্।। =[সামবেদ– ১৩৪৯] ভাবার্থ – জীবাত্মা যখন আত্মসমর্পণ করে দেয় তখন পরমাত্মা স্বয়ং তাকে নিজের সমীপে নিয়ে আসে।***********************************************************************************************বীজৈর্য়জ্ঞেষু য়ষ্টব্যমিতি বৈ বৈদিকী শ্রুতিঃ।অজ সম্জ্ঞানি বীজানি চ্ছাগ নো হন্ত্তমর্হথ।নৈষ ধর্মঃ সতাম্ দেবা য়ত্র বধ্যেত বৈ পশুঃ।।( মহাভারত শান্তিপর্ব অধ্যায় ৩৩৭|৪,৫)_যজ্ঞ বীজ (অন্ন আদি) দ্বারা করা উচিত, এটাই হল বৈদিক বিধান। এই বীজগুলোকে অজ বলা হয়। ছাগ (ছাগল) মারা উচিত নয়। যেখানে পশুবধ হবে, সেটা বিদ্বানদের ধর্ম নয়।************************************************************************************ভাগ্যম ফলতি সর্বত্রম্ ন চা বিদ্যা ন চ পৌরুষম্**********************************************************মনুর্ভব জনয়া দৈবং জনম্। (ঋগ্বেদ মন্ডল ১০/ সুক্ত ৫৩/ মন্ত্র ৬) অর্থঃ প্রকৃত মানুষ হও এবং অন্যকেও মানুষ হিসেবে গড়ে তোলো।*




কামাভিকামমনু যঃ প্রপতন্ প্রসঙ্গাৎ ।
কৃত্বাত্মসাৎ সুরর্ষিণা ভগবান্ গৃহীতঃ
সোহহং কথং নু বিসৃজে তব ভৃত্যসেবাম্ ।।
(ভাগবত ৭/৯/২৮)
(ভগবান শ্রীনৃসিংহদেবের প্রতি প্রহ্লাদ মহারাজ)
শ্রীমদ্ভাগবতে (১১/২৯/৬) বলা হয়েছে-
নৈবোপযন্ত্যপচিতিং কবয়স্তবেশ
ব্রহ্মায়ুষাপি কৃতমৃদ্ধমুদঃ স্মরন্তঃ।
যোহন্তর্বহিস্তনুভৃতামশুভং বিধুন্ব-
ন্নাচার্যচৈত্ত্যবপুষা স্বগতিং ব্যনক্তি।।
অর্থাৎ “হে ঈশ্বর, তুমি বাইরে আচার্যরূপে এবং অন্তরে অন্তর্যামীরূপে দেহধারী জীবের অশুভ অর্থাৎ ভক্তিপ্রতিকূল বিষয়-বাসনা নাশ করে তার গতি প্রদান করো। অতএব তোমাতে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ভক্তিরূপ পরমানন্দে নিমগ্ন হয়ে ব্রহ্মজ্ঞানসম্পন্ন কবিগণ কল্পান্তকাল তোমার সেবায় নিযুক্ত থেকেও তোমার উপকারের কথা স্মরণ করে কিছুতেই ঋণমুক্ত হতে পারেন না।
রথে চ বামনং দৃষ্ট্বা পুনর্জন্ম ন বিদ্যতে” রথে জগন্নাথকে দর্শন করলে তার ‘পুনর্জন্ম হয় না।
যো যো যাং যাং তনুং ভক্তঃ শ্রদ্ধয়ার্চিতুমিচ্ছতি৷
তস্য তস্যাচলাং শ্রদ্ধাং তামেব বিদধাম্যহম্৷৷৭/২১ অর্থ: পরমাত্মারুপে আমি সকলের হৃদয়ে বিরাজ করি। যখন কেউ দেবতাদের পূজা করতে ইচ্ছা করে আমি তাদের শ্রদ্ধানুসারে সেই সেই দেবতাদের প্রতি ভক্তি বিধান করি।
**********************************