যে কর্ম বা ক্রিয়া এর ফলে একাগ্রশক্তি , সম্পূর্ণতারশক্তি , নির্জরারর্শক্তি , সাধন শক্তি , মনো শক্তি , ধর্য্যশক্তি , সহ্যশক্তি , মনোন শক্তি , বুদ্ধি-বিবেক দীপ্তিমান হয় তাকেই ব্রত বলে l
শাস্ত্রে বহু প্রকার ব্রতের কথা লেখা আছে , তারমধ্যে সিদ্ধি অনুসারে কর্মকান্ডের (কামনা পূরণের )
জন্যে :-" সকাম ব্রত"
আর
জ্ঞান কাণ্ডের ( ঈশ্বর বা ব্রহ্ম বা মোক্ষের ) জন্যে :-" নিষ্কাম ব্রত"
এই " নিষ্কাম ব্রত" বা " সকাম ব্রত" এর দুটো ভাগ আছে :-
1. খণ্ডিত ব্রত (যাহা সম্পূর্ণ করা যাই নি , যে কোনো কারণেই ভঙ্গ বা বিঘ্ন হয়েছে -পূর্ণ হয় নি )
2. অখণ্ড ব্রত ( যতই বাধা আসুক বা হাজার বিঘ্ন সত্ত্বেও ব্রত সম্পূর্ণ করা হয়েছে )
যে কোনো ক্ষেত্রেই "খণ্ডিত ব্রত " অশুভ ফলদাতা হয় আর "অখণ্ড ব্রত" সিদ্ধিদাদা হয় l
তাই এখানে আমরা "খণ্ডিত ব্রত " নিয়ে আলোচনা করবো না -কারণ ওটা অসুম্পূর্ণ , তাই এখানে আমরা শুধু সকাম বা নিষ্কাম ভেদে "অখণ্ড ব্রত" নিয়েই আলোচনা করবো l
.ব্রত কত প্রকার কি কি ?
উত্তর:-
" সকাম ব্রত":- আমাদের নিজেদের ইহ জীবনের নানা সমস্যা এর সমাধানের জন্যে শাস্ত্রে কর্মকান্ডের অন্তরাগত বহু ব্রতের বিধান আছে -যে গুলো সঠিক শাস্ত্রানুসারে নিয়ম করে করলে অবশই সেই কামনা পূর্তি বা সমস্যা সমাধান হয় l যেমন :- দূর্গা ব্রত, কালী ব্রত , বিপদতারিনী ব্রত , ধর্মরাজ ব্রত , সন্তোষীমাতা ব্রত , শিবচতুর্দশী ব্রত ইত্যাদি বহু প্রকারের ব্রত আছে l
" নিষ্কাম ব্রত":- আমাদের নিজেদের মোক্ষ বা ঈশ্বর লাভের পথের সাধন জীবনের নানা সমস্যা এর সমাধানের জন্যে শাস্ত্রে জ্ঞানকান্ডের অন্তরগত বহু ব্রতের বিধান আছে -যে গুলো সঠিক শাস্ত্রানুসারে নিয়ম করে করলে অবশই সেই মোক্ষ বা ঈশ্বর লাভের পথের সাধন জীবনের নানা সমস্যা এর অবশ্যৈ সমাধান হয় l যেমন:- পক্ষা ব্রত , চন্দ্রায়ণ ব্রত , পক্ষী ব্রত , মাধুকরী ব্রত , আসন ব্রত , জপ ব্রত , পুনশ্চরণ ব্রত ইত্যাদি বহু প্রকারের ব্রত আছে l
তবে " সকাম ব্রত" এর শিক্ষা আমাদের সমাজ সংসারের বহুজনের কাছ থেকেই পাওয়া যায় কিন্তু "নিষ্কাম ব্রত" এর শিক্ষা একমাত্র শাস্ত্র ও গুরুমুখী l