প্রশ্ন:-…মাতা গুরু, পিতা গুরু ও দীক্ষা গুরু- এই তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে বড় কে.?. উত্তর- কলিযুগপাবনাবতারী শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু নিদের্শ দিয়েছেন- যেই কৃষ্ণতত্তবেত্তা সেই গুরু হয়। (চৈতন্যচিরতামৃত মধ্য-৮/১২৭) কৃষ্ণতত্ত্ববিদ্ ছাড়া যে কেউ গুরু হতে পারেন না। শ্রীগুরুদেবই জড়-সংসারবদ্ধ জীবকে দিব্যজ্ঞান দান করে ভগবদ্ধামে সন্ধান দেন। চক্ষুদান দিল যেই জন্মে জন্মে প্রভু সেই। দিব্য জ্ঞান হৃদে প্রকাশিত। (প্রেমভক্তিচন্দ্রিকা) প্রতি জন্মে মাতা পিতা সহজেই লাভ হয়। কিন্তু সব জন্মে পারমাথির্ক গুরুকে পাওয়া যায় না। সকল জন্মে পিতামাতা সবে পায়। কৃষ্ণ গুরু নাহি মিলে, ভজহ হিয়ায়্। (চৈতন্যমঙ্গল) বদ্ধজীব নানা যোনি ভ্রমণ করতে করেত নানা প্রকার পশুপাখি, জীবজন্তু, কীটপতঙ্গ, মানুষ ইত্যাদি দেহ লাভ করে এবং নানা কর্মফল ভোগ করতে করতে ব্রহ্মান্ড ভ্রমণ করে। তখন তার কত মাতাপিতার সাক্ষাৎ হয়্। কিন্তু অত্যন্ত ভাগ্যবানক না হলে পারমার্থিক দীক্ষাগুরুর সাক্ষাৎ পাওয়া সম্ভব নয়। ব্রহ্মান্ড ভ্রমিতে কোন ভাগ্যবান জীব। গুরু-কৃষ্ণ-প্রসাদে পায় ভক্তিলতা বীজ।। (চৈঃ চঃ১৯/১৫১) যে কেউই গুরু হতে পারেন না। গুরুদেব হচ্ছেন পরমেশ্বর ভগবানের প্রতিনিধি। তিনি পরমেশ্বর ভগবান থেকে পরম্পরা সূত্রে আগত প্রতিনিধি।পরম্পরার নির্দেশ অনুসারে তিনি গুরুরূপে জগজ্জীবকে উদ্ধারকরবার জন্য আসেন। শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু তাই নির্দেশ দিয়েছেন। আমার আজ্ঞায় গুরু হঞা তার এই দেশ। জন্ম-মৃত্যু-জরা ব্যাধিময় সংসারচক্রে আবদ্ধ জীবের তাঁরাই প্রকৃত পিতামাতা যাঁরা সন্তানকে এই জড়বদ্ধ জীবনধারা থেকে মুক্তি পাওয়ার উদ্দেশ্যে শ্রীকৃষ্ণতত্ত্ববিদ্ গুরুর সমীপে প্রেরণ করেন। সেই সে পরম বন্ধু সেই পিতামাতা। শ্রীকৃষ্ণচরণে যেই প্রেমভক্তিদাতা। (চৈতন্যমঙ্গল) শ্রীগুরুদেব দীক্ষাদান করে শিষ্যকে কলুষমুক্ত করে পরমেশ্বর ভগবানের সেবায় নিয়োগ করেন। যারা পারমার্থিক দীক্ষাগুরুকে সাধারণ মানুষ বলে মনেক করে,তাদের বৈষ্ণব অপরাধ হেতু নরকে গতি হয়। গুরুষু নরমতির্যস্য বা নারকী সঃ। ‘যে গুরুকে মনুষ্যবুদ্ধি করে, সে নারকী।” (পদ্মপুরাণ) শ্রীগুরুদেব হচ্ছেন পারমার্থিক ইপিতা। সবার পূজনীয়। জড়জাগতিক সমস্ত মাতাপিতার কর্তব্য হল পারমার্থিক পিতাকে সম্যকভাবে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা । অতএব দীক্ষা গুরুই সর্বশ্রেষ্ঠ, সব চেয়ে বড়।
গুরুর কাছে সব সমর্পণ করুন। আপনার অহং চিন্তাকে তাঁর পাদোপদ্মে রাখুন এবং সমর্পণ ভাবনা নিয়ে থাকুন। গুরু কে তার নিজের মতন করে গঠন উন্নতিশীল কাজ করতে দিন সেখানে নিজের অহংকার, কামনা, কল্পনা,অপযুক্তি, জড়জগতের কাজের অজুহাত, অন্য কর্তব্য করবার যুক্তি দেখানো, ভয় রুপি মতবাদকে রাখবেন না - গুরু কে তার নিজের জ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে কোন শিষ্য এর কিভাবে উন্নতি হবে এই গঠনমূলক কাজ গুরুকে তার নিজের জ্ঞান অনুসারে করতে দিন- তিনি যেমন চান ঠিক তেমন করতে দিন এইভাবে চললেই গুরু সকল ত্রুটি ও দুর্বলতা দূর করবেন। নীরবতায় গুরুর প্রতিটি আদেশকে পালনের আনন্দ অনুভব করুন।
গুরুনিন্দা মহাপাপ। গুরুর সমালোচনা করাও মহাপাপ। শাস্ত্র ও ধর্মের নিন্দা ও বিদ্বেষ দ্বারা এবং দেব-দ্বিজ, সাধু-সন্ন্যাসী ও অন্যান্য গুরু মহারাজদের নিন্দা অবজ্ঞা ও সমালোচনার দ্বারা সদ্গুরু প্রতি চরম আঘাত করা হয়। ইহার ফলে নিন্দুকের বিশেষ ক্ষতি হয়। গুরুভক্তের পক্ষে গুরুনিন্দা ব্রহ্মহত্যা তুল্য জ্ঞান করা উচিত…।”
"প্রকৃত মহাপুরুষ " এর সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ কি কি? অথবা কোন ব্যক্তিকে "প্রকৃত মহাপুরুষ " বলা যেতে পারে? কোন কোন সাধন লক্ষণ যোগ্যতা থাকলে কোন ব্যক্তিকে "প্রকৃত মহাপুরুষ " বলা যেতে পারে??” কিন্তু আমরা শাস্ত্রানুসারে "প্রকৃত মহাপুরুষ " তাকেই বলবো - যিনি “আত্মজ্ঞান-পরমাত্মজ্ঞান এবং ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করে পরম মুক্তি" প্রাপ্ত হয়েছেন l তাই যিনি “আত্মজ্ঞান-পরমাত্মজ্ঞান এবং ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করে পরম মুক্তি" প্রাপ্ত হয়েছেন তাকে আমরা "প্রকৃত মহাত্মা"এর সঙ্গে সঙ্গে তাকে আমরা শাস্ত্রানুসারে "সদগুরু / ব্রহ্মজ্ঞানী / মহাপুরুষ / মুক্তপুরুষ /প্রকৃত মহাপুরুষ " বলতে পারি l তাই যিনি "মহাপুরুষ" তিনি "প্রকৃত মহাত্মা" তো তিনি আগেই হয়েছেন কিন্তু যিনি "প্রকৃত মহাত্মা" তার মুক্তি এখনো বাকি -তিনি এখনো সাধন পথে ব্রতী l আর যিনি "মহাপুরুষ" তিনি সাধনা সাম্যক রূপে সিদ্ধি করেছেন -তার পরম মুক্তি লাভ হয়ে গিয়েছে -তার যার সাধনা বাকি নেই -তিনি শুধু পরমমুক্তির পথ-প্রদর্শক l তাহলে বোঝা গেলো যে যিনি -"প্রকৃত মহাত্মা" -তিনি ধৰ্ম উপদেশ দিতে পারেন কিন্তু দীক্ষা দিতে পারেন না অথবা এক কথায় বলা যায় যে -শাস্ত্রানুসারে যিনি "প্রকৃত মহাত্মা" তিনি ধৰ্ম উপদেশ দিতে পারলেও দীক্ষা দেওয়ার অধিকার শাস্ত্রানুসারে তার নেই l তাই শাস্ত্রানুসারে যিনি "প্রকৃত মহাত্মা" হয়েও যদি তিনি দীক্ষা দেন তো শাস্ত্রানুসারে তাকে " ধর্মেরগ্লানিকারী / ভন্ড / শাস্ত্রাদ্রোহী / গুরুদ্রোহী " বলে l একমাত্র যিনি " “আত্মজ্ঞান/পরমাত্মজ্ঞান / ব্রহ্মজ্ঞান /পরম মুক্তি" / কৈবল্য / ব্রহ্মজ্ঞান-ব্রহ্মস্থিতি " লাভ করেছেন তারই দীক্ষা দেওয়ার শাস্ত্রসম্মত অধিকার হয়েছে এবং তাকেই একমাত্র আমরা শাস্ত্র অনুসারে " প্রকৃত মহাপুরুষ " বলতে পারি l শাস্ত্র যদি দশ সাধন যোগ্যতা-লক্ষণএর কোনো এক একটা সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ লাভকারী "প্রকৃত মহাত্মা" কেও দীক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করলে " ধর্মেরগ্লানিকারী / ভন্ড / শাস্ত্রাদ্রোহী / গুরুদ্রোহী " বলে , তাহলে চিন্তা করুন আজ এই কলি যুগে দশ সাধন যোগ্যতা-লক্ষণএর কোনো এক একটা সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ লাভ না করেও যারা দীক্ষা দেন তাদিকে তাহলে কি বলা যাবে ???? তাহলে বোঝা গেলো যে একমাত্র যিনি "" “আত্মজ্ঞান/পরমাত্মজ্ঞান / ব্রহ্মজ্ঞান /পরম মুক্তি" / কৈবল্য / ব্রহ্মজ্ঞান-ব্রহ্মস্থিতি " লাভ করেছেন তারই দীক্ষা দেওয়ার শাস্ত্রসম্মত অধিকার হয়েছে এবং তাকেই একমাত্র আমরা শাস্ত্র অনুসারে "প্রকৃত মহাপুরুষ " বলতে পারি এবং " প্রকৃত মহাপুরুষ "রুপি সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ ব্যাক্তিই একমাত্র "প্রকৃত দীক্ষা " দেওয়ার শাস্ত্র অনুসারে অধিকারী এবং ঐরকম সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ সম্পন্ন " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর কাছে কেও যদি দীক্ষা প্রাপ্ত হয় তবেই আত্ম-উন্নতির রাস্তায় সেই দীক্ষা প্রাণবন্ত হয় নচেৎ নিস্প্রান-ভন্ড দীক্ষায় কি উন্নতি হয় ???? আর একটা কথা - "প্রকৃত মহাত্মা" এর কথা -বার্তায় একটু ভালো করে লক্ষ্য করলে বোঝা যায় যে উনি শাস্ত্র অনুসারে দশ সাধন যোগ্যতা-লক্ষণএর কোনো এক একটা সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ লাভ করেছেন কিন্তু " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর সঙ্গে বছরের পর বছর মিশলেও তার আচার -আচরণে , কথা-বার্তায় (একমাত্র যদি উনি নিজে কাহাকেও ইচ্ছাকৃত ধরা না দেন ) কেও কোনো ভাবে মোটেও বুঝতে পারে না যে উনি একজন " প্রকৃত মহাপুরুষ " l তাহলে বোঝা গেলো - "প্রকৃত মহাত্মা" আর " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর তফাৎ কি ??? " প্রকৃত মহাপুরুষ " যিনি - একমাত্র যদি উনি নিজে কাহাকেও ইচ্ছাকৃত ধরা না দেন তাহলে সেই " প্রকৃত মহাপুরুষকে " বাইরে থেকে চিনিবার উপায় কি ? বা শাস্ত্রে কি কিছু এমন লক্ষন দেওয়া আছে যার দ্বারা সাধারণ মানুষ ও সে সব লক্ষন এর দ্বারা " প্রকৃত মহাপুরুষকে " ( তাতে যদি উনি নিজে কাহাকেও ইচ্ছাকৃত ধরা না দেন তাহলেও ) চিনতে পারা যাবে ????? হাঁ - বৈদিক শাস্ত্রে এমন কিছু শরীর লক্ষন দেওয়া আছে যার দ্বারা সাধারণ মানুষ ও সে সব শরীর লক্ষন (মিলিয়ে ) এর দ্বারা " প্রকৃত মহাপুরুষ" কে তা অতি সহজেই ( তাতে যদি উনি নিজে কাহাকেও ইচ্ছাকৃত ধরা না দেন তাহলেও ) চিনতে পারা যাবে l সেগুলো বৈদিক শাস্ত্রে " প্রকৃত মহাপুরুষ" এর 32 শরীর লক্ষন বলে বিস্তারিত দেওয়া আছে l এই 32 শরীর লক্ষন যে কোনো " প্রকৃত মহাপুরুষ / মুক্তপুরুষ / পরমমুক্তিপুরুষ / কৈবল্যপুরুষ / ব্রহ্মজ্ঞান-ব্রহ্মস্থিতিমহাপুরুষ / সিদ্ধপুরুষ " এর রক্ত-মাংসের শরীরে বিদ্যমান থাকে -যা বাইরে থেকে ভালোকরে পরিলক্ষ্য করলে জানা যায় যে উনি " প্রকৃত মহাপুরুষ " না " প্রকৃত মহাপুরুষ' নন l এই লক্ষন জ্ঞান থাকলে "ভন্ডপুরুষ" আর " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর জ্ঞান উৎপন্ন হয় - যার ফলে "ভন্ডপুরুষ" এর পাল্লায় পড়ে দিকভ্রষ্ট বা প্রতারিত হতে হয় না l এই লক্ষন জ্ঞান দ্বারা কে " প্রকৃত মহাপুরুষ " !!!!- এটা জেনে সেই " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর চরণ বন্দনা করে দীক্ষা প্রার্থনা দ্বারা যদি সেই " প্রকৃত মহাপুরুষ " কৃপাতে সে " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর কাছে দীক্ষা পাওয়া সম্ভব হয় তাহলে "পরম মুক্তির প্রকৃত রাস্তা" পাওয়া সম্ভব হয় - এটাকেই শাস্ত্রে সদগুরু দীক্ষা প্রাপ্তি বলে --- ইহাই প্রাণবন্ত দীক্ষা l এবার আমরা নিম্নে শাস্ত্রের " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর 32 শরীর লক্ষন বর্ণনা করার চেষ্টা করবো .......... সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ সম্পন্ন " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর আছে দীক্ষা না পেয়ে সাধনহীন ভন্ড লোককে গুরু বলে ভক্তি করে দিকভ্রষ্ট ও প্রতারিত হওয়ার থেকে দীক্ষাহীন অবস্থায় থাকা অনেক ভালো কারণ তাতে অজানিত অবস্থায় ধর্মগলানি রুপি কাজ তো হয় না - তার চেয়ে সদগুরু না পাওয়া পর্যন্ত দীক্ষা নিতে হলে কমপক্ষে কুলগুরু এর কাছে দীক্ষা নিয়ে সদগুরুর অপেক্ষা করা অনেক ভালো কিন্তু কোনো সাধন যোগ্যতা-লক্ষণহীন কোনো ভন্ড -রিত্তিক / আশ্রমের মহারাজ / সাধুবেশী লোক এর কাছে দীক্ষার থেকে - দীক্ষা না নিয়ে (অদীক্ষিত থাকা) ঈশ্বরের কাছে সদগুরু প্রাপ্তি কামনায় দিন কাটানো অনেক ভালো -কারণ আত্মজ্ঞান এরর রাস্তায় দিকভ্ৰষ্ট / প্রতারিত হলে বহু জন্ম নষ্ট হবার ভয় থাকে l তাই শাস্ত্র সম্মত " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর 32 শরীর লক্ষন বিচার করেই দীক্ষা নেওয়া উচিত l যায় হোক কেও যাতে দিকভ্ৰষ্ট না হয় তার জন্যে আমরা বৈদিক শাস্ত্রের " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর 32 শরীর লক্ষন নিম্নে বর্ণনা করার চেষ্টা করবো ............. 32 শরীর লক্ষন-- এক একটি শরীর লক্ষন অপরের শরীর লক্ষন সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত , তাই কারো মধ্যে কোনো একটা সামান্য মিল পেয়ে তাকে মহাপুরুষ ভাববেন না , সব লক্ষন একসঙ্গে একই দেহে থাকতে হবে l বৈদিক শাস্ত্রের " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর 32 শরীর লক্ষন নিম্নে বর্ণনা করলেও হাতে-কলমে এই বিশেষ শিক্ষা কোনো এই শিক্ষাজ্ঞানীর কাছে করলে তবেই পূর্ণ লক্ষন জ্ঞান হয় নচেৎ শুধু পড়ে (হাতে-কলমে না শিখেই) এই লক্ষন জ্ঞান এর পূর্ণ জ্ঞান হয় না , কিন্তু প্রাথমিক জ্ঞান অবশই হয় - তাই প্রথমে বহু লোকের প্রাথমিক জ্ঞান এর জন্যে আমরা নিচে এই বর্ণনা করে চেষ্টা করছি l কিন্তু এই বিষয়ে হাতে-কলমে শিক্ষায় মূল ও পূর্ণ l " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর 32 টি শরীর লক্ষন আছে , "প্রকৃত মহাত্মা"দের 20-22 টি লক্ষন , সতী-সাদ্ধী সাধক নারীদের মধ্যে 18-20 টি লক্ষন , দেবতাদের 15-18 টি লক্ষন , সতী-সাদ্ধী সাধারণ নারীদের মধ্যে 6-8 টি লক্ষণ থাকে , ভালো উদার মানুষএর 4-8 টি লক্ষন , নিচলোকদের বা দৈত্যদের নিচের লক্ষণের বিকৃত লক্ষন থাকে l বৈদিক শাস্ত্র অনুযায়ী " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর 32 শরীর লক্ষন :- ( " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর একসঙ্গে 32 টি সব লক্ষণ থাকতে হবে , কোনো একটা-দুটো-কয়েকটা লক্ষণ থাকলে নয়) “ইমস্মিং সতি, ইদং হোতি,ইমস্সুপ্পদা ইদং, উপ্পজ্জতি, ইমস্মিং অসতি, ইদং ন হোতি, ইমস্স নিরোধা, ইদং নিরুজ্ঝতি ”। অর্থাৎ, এটা হলে ওটা হয়, এটার উৎপত্তিতে ওটার উৎপত্তি, এটা না হলে ওটা হয় না, এটার নিরোধে ওটার নিরোধ হয়। মানে, বত্রিশ প্রকার মহাপুরুষ লক্ষণ সম্বলিত হেতুর উদ্ভব হেতু নিরোধে ফলের নিরোধ। শাস্ত্রোক্ত মতে মনুষ্য জন্মেই এসব বত্রিশ মহাপুরুষ লক্ষণের হেতু সমূহ সৃষ্টি করেছেন বা মহাপুরুষ লক্ষণ উদ্ভুত হবার মত সৎ কর্ম ও উপলব্ধি করা যায় যে, কুশল কর্মাদি সম্পাদন করে পারমী পূরণের সর্বোৎকৃষ্ঠ ক্ষেত্র হল মানব জন্ম। কিন্তু মানব জন্ম অতি দুর্লভ, আর তাই সকলের উচিত কুশল কর্মাদি সম্পাদনের মাধ্যমে নিজেকে অগ্রগতির দিকে পরিচালিত করা। বত্রিশ মহাপুরুষ লক্ষণ উদ্ভবের প্রতিটিতে কুশলজাত হেতুর ফল বিদ্যমান এগুলোর একটি পালন করলেও তা ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে সুফল দায়ক এবং সহায়ক। সুতরাং সকলের প্রত্যাশা এবং উদ্যম হোক সৎ চিন্তা, সৎ বাক্য ও সৎ কর্মের অনুশীলন। 1. চোখের মনি প্রায় সব সময় শাম্ভবী অবস্থায় অথবা অর্ধ-শাম্ভবী অবস্থায় থাকবে 2. কপাল দীর্ঘ-বিস্তৃত হবে ও মুখমন্ডল গম্ভীর হবে 3. কপালে 24 রকমের দিব্যা চিহ্ন এর কোনো একটা বা কোনো কোনো চিহ্ন থাকবে 4. চোখের তারা উর্দ্ধমুখ হবে 5. চোখে অন্তর একগ্র দৃষ্টি এবং অগ্নিদৃষ্টি হবে ও অন্তর্ভেদী ও স্বচ্ছ দৃষ্টি হবে (কপটতা / চালাকি / লোভী ভাব দৃষ্টিতে থাকবে না ) 6. চোখ অপলক বা পলকহীন বা বিস্তৃতখন পলকহীন হবে (নারী-পুরুষ সম দৃষ্টি ) 7. চোখ আকারে ছোট বা বড় যাই হোক কিন্তু আকার নারীদের যোনি এর আকার এর মতো হবে এবং চোখের মনি এর রং গাড়ো নীল / বাদামি হবে 8. মস্তক এর তুলনামূলক বড় ও ভারী হবে 9. কান - হস্তীকর্ণ / গরুড়কর্ণ / উন্নতকর্ণ হবে 10. নাসিকা উন্নত ও দৃঢ় হবে 11.জীভ বাইরে নাসিকার অগ্রভাগ স্পর্শ করবে 12.জীভ এর অগ্রভাগ মহা সর্প-সূচালু হবে ও গলার আওয়াজ নাদ গম্ভীর হবে 13.জীভ এর নিচে শিরা থাকবে না (যে শিরা জিভকে নিচের চোয়ালের সঙ্গে যুক্ত রাখে) 14.দাঁত ছিদ্র সূক্ষ্ম হবে ও দাঁত সূক্ষ্ম হবে 15.গলা দৃঢ় ও দীর্ঘ্য বা কিছু মোটা হবে 16.পিছনে ঘাড় ছোট হতে হবে 17.কাঁধ দৃঢ় ও বিস্তৃত হতে হবে 18.বুক দৃঢ় ও বিস্তৃত হতে হবে 19.বুক এর স্তন বা গঠন উন্নত ও দৃঢ় হবে 20.পা , চোখের প্রান্ত, হাতের তালু , নখ এর অগ্রভাগ , ঠোঁট, চামড়া এর রং লালচে হবে 21. হাতে আপনা আপনি মুদ্রা তৈরি হয় 22 .হাতের সব আঙ্গুল দৃঢ় ও সোজা হবে (বেঁকা আঙ্গুল তমোগুণের লক্ষন) 23. দুটি হাতের তালুতে মোট কম্পক্ষে 7+ টি ত্রিশুল চিহ্ন অথবা চক্র চিহ্ন / মন্দিরচিহ্ন / পদ্মচিহ্ন / যোনী চিহ্ন / কোনো প্রকার দিব্য চিহ্ন থাকতে হবে 24.হাতের তালুতে (যেখানে রেখা থাকে ) - বিশেষ নক্ষত্র চিহ্ন এবং ধর্মচক্র ছেদ চিহ্ন থাকতে হবে 25.হাতের তালুর পাশে দিব্যচক্ষু ও জ্ঞানরেখা রেখা বিদ্যমান থাকতে হবে 27.হাতের তালুতে বৃহস্পতি স্থান অত্যান্ত উঁচু এবং ধর্ম চিহ্ন থাকতে হবে 28. নাভি খুব গভীর হবে ও পেট গঠনক্রোম হবে 29. হাঁটু ও নিতম্ব ভালভাবে উন্নত হবে 30.কোমর দৃঢ় ও তুলনামূলক সুবিননস্থ হবে 31.উরু তুলনামূলক দৃঢ় হবে 32.দুটি পায়ের তালুতে ত্রিশুল চিহ্ন / চক্র চিহ্ন / মন্দিরচিহ্ন / পদ্মচিহ্ন / যোনী চিহ্ন / কোনো প্রকার দিব্যা চিহ্ন থাকতে হবে উপরুক্ত মাথা হইতে পা পর্যন্ত মোট " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর 32 শরীর লক্ষন থাকবেই l তাই " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর 32 শরীর লক্ষন হাতে -কলমে শিক্ষা গ্রহণ করে " প্রকৃত মহাপুরুষ " চিনতে সক্ষম হন ও ভন্ড দের প্রতারণা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন l ভবতু সব্ব মঙ্গলম্ llমহাপুরুষের ৩২টি শারীরিক লক্ষণ
সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুসারে মহাপুরুষের নিম্নলিখিতএই ৩২টি শারীরিক লক্ষণ থাকবে
সামুদ্রিক শাস্ত্রে ব্যক্তির শরীরের লক্ষণ দেখে তাঁদের চরিত্রের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানা যায়। শরীরের কোন লক্ষণ শুভ, তা-ও জানানো রয়েছে এই শাস্ত্রের মধ্যে – এমন ৩২টি গুণের উল্লেখ পাওয়া যায়, যা কোনও শরীরে থাকলে তাঁরা ভাগ্যবান ও মহাপুরুষ হিসেবে গণ্য হন।
"প্রকৃত মহাপুরুষ " এর সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ কি কি? অথবা কোন ব্যক্তিকে "প্রকৃত মহাপুরুষ " বলা যেতে পারে? কোন কোন সাধন লক্ষণ যোগ্যতা থাকলে কোন ব্যক্তিকে "প্রকৃত মহাপুরুষ " বলা যেতে পারে??” কিন্তু আমরা শাস্ত্রানুসারে "প্রকৃত মহাপুরুষ " তাকেই বলবো - যিনি “আত্মজ্ঞান-পরমাত্মজ্ঞান এবং ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করে পরম মুক্তি" প্রাপ্ত হয়েছেন l তাই যিনি “আত্মজ্ঞান-পরমাত্মজ্ঞান এবং ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করে পরম মুক্তি" প্রাপ্ত হয়েছেন তাকে আমরা "প্রকৃত মহাত্মা"এর সঙ্গে সঙ্গে তাকে আমরা শাস্ত্রানুসারে "সদগুরু / ব্রহ্মজ্ঞানী / মহাপুরুষ / মুক্তপুরুষ /প্রকৃত মহাপুরুষ " বলতে পারি l তাই যিনি "মহাপুরুষ" তিনি "প্রকৃত মহাত্মা" তো তিনি আগেই হয়েছেন কিন্তু যিনি "প্রকৃত মহাত্মা" তার মুক্তি এখনো বাকি -তিনি এখনো সাধন পথে ব্রতী l আর যিনি "মহাপুরুষ" তিনি সাধনা সাম্যক রূপে সিদ্ধি করেছেন -তার পরম মুক্তি লাভ হয়ে গিয়েছে -তার যার সাধনা বাকি নেই -তিনি শুধু পরমমুক্তির পথ-প্রদর্শক l তাহলে বোঝা গেলো যে যিনি -"প্রকৃত মহাত্মা" -তিনি ধৰ্ম উপদেশ দিতে পারেন কিন্তু দীক্ষা দিতে পারেন না অথবা এক কথায় বলা যায় যে -শাস্ত্রানুসারে যিনি "প্রকৃত মহাত্মা" তিনি ধৰ্ম উপদেশ দিতে পারলেও দীক্ষা দেওয়ার অধিকার শাস্ত্রানুসারে তার নেই l তাই শাস্ত্রানুসারে যিনি "প্রকৃত মহাত্মা" হয়েও যদি তিনি দীক্ষা দেন তো শাস্ত্রানুসারে তাকে " ধর্মেরগ্লানিকারী / ভন্ড / শাস্ত্রাদ্রোহী / গুরুদ্রোহী " বলে l একমাত্র যিনি " “আত্মজ্ঞান/পরমাত্মজ্ঞান / ব্রহ্মজ্ঞান /পরম মুক্তি" / কৈবল্য / ব্রহ্মজ্ঞান-ব্রহ্মস্থিতি " লাভ করেছেন তারই দীক্ষা দেওয়ার শাস্ত্রসম্মত অধিকার হয়েছে এবং তাকেই একমাত্র আমরা শাস্ত্র অনুসারে " প্রকৃত মহাপুরুষ " বলতে পারি l শাস্ত্র যদি দশ সাধন যোগ্যতা-লক্ষণএর কোনো এক একটা সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ লাভকারী "প্রকৃত মহাত্মা" কেও দীক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করলে " ধর্মেরগ্লানিকারী / ভন্ড / শাস্ত্রাদ্রোহী / গুরুদ্রোহী " বলে , তাহলে চিন্তা করুন আজ এই কলি যুগে দশ সাধন যোগ্যতা-লক্ষণএর কোনো এক একটা সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ লাভ না করেও যারা দীক্ষা দেন তাদিকে তাহলে কি বলা যাবে ???? তাহলে বোঝা গেলো যে একমাত্র যিনি "" “আত্মজ্ঞান/পরমাত্মজ্ঞান / ব্রহ্মজ্ঞান /পরম মুক্তি" / কৈবল্য / ব্রহ্মজ্ঞান-ব্রহ্মস্থিতি " লাভ করেছেন তারই দীক্ষা দেওয়ার শাস্ত্রসম্মত অধিকার হয়েছে এবং তাকেই একমাত্র আমরা শাস্ত্র অনুসারে "প্রকৃত মহাপুরুষ " বলতে পারি এবং " প্রকৃত মহাপুরুষ "রুপি সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ ব্যাক্তিই একমাত্র "প্রকৃত দীক্ষা " দেওয়ার শাস্ত্র অনুসারে অধিকারী এবং ঐরকম সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ সম্পন্ন " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর কাছে কেও যদি দীক্ষা প্রাপ্ত হয় তবেই আত্ম-উন্নতির রাস্তায় সেই দীক্ষা প্রাণবন্ত হয় নচেৎ নিস্প্রান-ভন্ড দীক্ষায় কি উন্নতি হয় ???? আর একটা কথা - "প্রকৃত মহাত্মা" এর কথা -বার্তায় একটু ভালো করে লক্ষ্য করলে বোঝা যায় যে উনি শাস্ত্র অনুসারে দশ সাধন যোগ্যতা-লক্ষণএর কোনো এক একটা সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ লাভ করেছেন কিন্তু " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর সঙ্গে বছরের পর বছর মিশলেও তার আচার -আচরণে , কথা-বার্তায় (একমাত্র যদি উনি নিজে কাহাকেও ইচ্ছাকৃত ধরা না দেন ) কেও কোনো ভাবে মোটেও বুঝতে পারে না যে উনি একজন " প্রকৃত মহাপুরুষ " l তাহলে বোঝা গেলো - "প্রকৃত মহাত্মা" আর " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর তফাৎ কি ??? " প্রকৃত মহাপুরুষ " যিনি - একমাত্র যদি উনি নিজে কাহাকেও ইচ্ছাকৃত ধরা না দেন তাহলে সেই " প্রকৃত মহাপুরুষকে " বাইরে থেকে চিনিবার উপায় কি ? বা শাস্ত্রে কি কিছু এমন লক্ষন দেওয়া আছে যার দ্বারা সাধারণ মানুষ ও সে সব লক্ষন এর দ্বারা " প্রকৃত মহাপুরুষকে " ( তাতে যদি উনি নিজে কাহাকেও ইচ্ছাকৃত ধরা না দেন তাহলেও ) চিনতে পারা যাবে ????? হাঁ - বৈদিক শাস্ত্রে এমন কিছু শরীর লক্ষন দেওয়া আছে যার দ্বারা সাধারণ মানুষ ও সে সব শরীর লক্ষন (মিলিয়ে ) এর দ্বারা " প্রকৃত মহাপুরুষ" কে তা অতি সহজেই ( তাতে যদি উনি নিজে কাহাকেও ইচ্ছাকৃত ধরা না দেন তাহলেও ) চিনতে পারা যাবে l সেগুলো বৈদিক শাস্ত্রে " প্রকৃত মহাপুরুষ" এর 32 শরীর লক্ষন বলে বিস্তারিত দেওয়া আছে l এই 32 শরীর লক্ষন যে কোনো " প্রকৃত মহাপুরুষ / মুক্তপুরুষ / পরমমুক্তিপুরুষ / কৈবল্যপুরুষ / ব্রহ্মজ্ঞান-ব্রহ্মস্থিতিমহাপুরুষ / সিদ্ধপুরুষ " এর রক্ত-মাংসের শরীরে বিদ্যমান থাকে -যা বাইরে থেকে ভালোকরে পরিলক্ষ্য করলে জানা যায় যে উনি " প্রকৃত মহাপুরুষ " না " প্রকৃত মহাপুরুষ' নন l এই লক্ষন জ্ঞান থাকলে "ভন্ডপুরুষ" আর " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর জ্ঞান উৎপন্ন হয় - যার ফলে "ভন্ডপুরুষ" এর পাল্লায় পড়ে দিকভ্রষ্ট বা প্রতারিত হতে হয় না l এই লক্ষন জ্ঞান দ্বারা কে " প্রকৃত মহাপুরুষ " !!!!- এটা জেনে সেই " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর চরণ বন্দনা করে দীক্ষা প্রার্থনা দ্বারা যদি সেই " প্রকৃত মহাপুরুষ " কৃপাতে সে " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর কাছে দীক্ষা পাওয়া সম্ভব হয় তাহলে "পরম মুক্তির প্রকৃত রাস্তা" পাওয়া সম্ভব হয় - এটাকেই শাস্ত্রে সদগুরু দীক্ষা প্রাপ্তি বলে --- ইহাই প্রাণবন্ত দীক্ষা l
"প্রকৃত মহাত্মা এর সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ কি কি? অথবা কোন ব্যক্তিকে মহাত্মা বলা যেতে পারে? কোন কোন সাধন লক্ষণ যোগ্যতা থাকলে কোন ব্যক্তিকে মহাত্মা বলা যেতে পারে??” শাস্ত্রানুসারে কোন ব্যাক্তিকেই "প্রকৃত মহাত্মা" বলা হয় , তা আগে আমরা জেনেছি যে - উপরুক্ত সাধন যোগ্যতা-লক্ষণগুলির মধ্যে কোনো এক একটা সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ লাভ হলেই তাকে আমরা "প্রকৃত মহাত্মা" শাস্ত্রানুসারে বলবো এবং সেই "প্রকৃত মহাত্মা" শাস্ত্রানুসারে সকলকে ধৰ্ম উপদেশ প্রদান ও সকলের প্রণাম গ্রহণএর উপযুক্ত হয় l কারণ শাস্ত্রে আছে যার মধ্যে নীচের শাস্ত্রে সম্মত যে ক টি লক্ষণ আছে তার মধ্যে যে কোনো কমপক্ষে অন্তত একটি লক্ষণ ও প্রতক্ষ্য সাধন যোগ্যতার দ্বারা প্রাপ্ত হয়ে থাকে ...একমাত্র শাস্ত্রানুসারে সেই সেই ব্যাক্তির ধৰ্ম উপদেশ দেওয়া শাস্ত্র সম্মত হয়। তাই শাস্ত্র সম্মত লক্ষণ প্রতক্ষ্য সাধন যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যাক্তির কাছ থেকে সর্বদা ধৰ্ম উপদেশ নেওয়া উচিত। শাস্ত্রানুসারে (মনু সংহিতা )ধৰ্ম উপদেশদাতার যোগ্যতার লক্ষণ:---- 1.যিনি কূটস্থ পর্যন্ত গিয়ে আত্মদর্শন করেছেন ...অথবা 2.যিনি নিজের প্রাণকে কূটস্থ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পেরেছেন ..........অথবা 3.যাহার দিব্যচক্ষু উন্মিলিত হয়েছে ..........অথবা 4.যাহার মূলাধার থেকে মস্তক পর্যন্ত প্রাণবায়ুর গতিপথ হয়েছে..........অথবা 5.যিনি ব্রহ্মবিদ্যার উর্ধতন ওঙ্কার ক্রিয়া গুরুই নিকট থেকে প্রাপ্ত হয়েছেন .........অথবা 6.যাহার জিহবা মস্তিষ্কের রাজিকা পর্যন্ত পৌঁছিয়া গিয়াছে .........অথবা 7. যিনি সাধনার দ্বারা উন্মনি অবস্থা প্রাপ্ত হয়েছেন .........অথবা 8. যিনি সর্বদা কূটস্থে ধ্যান অবস্থা লাভ করেছেন... উপরোক্ত শাস্ত্র সম্মত এই 8 টি প্রতক্ষ্য সাধন যোগ্যতার লক্ষণ গুলির মধ্যে কোনো একটি প্রতক্ষ্য সাধন যোগ্যতার লক্ষণ যিনি নিজের কঠোর সাধনার দ্বারা লাভ করছেন....... তিনি বা সেই সেই প্রতক্ষ্য সাধন যোগ্যতার লক্ষণ সম্পন্ন ব্যাক্তিই একমাত্র ধৰ্ম উপদেশ দেওয়ার যোগ্য। আর শাস্ত্র সম্মত এই 8 টি প্রতক্ষ্য সাধন যোগ্যতার লক্ষণ গুলির মধ্যে কোনো একটি প্রতক্ষ্য সাধন যোগ্যতার লক্ষণ যিনি নিজের কঠোর সাধনার দ্বারা লাভ করতে পারেন নি।।। তিনি যদি ধৰ্ম উপদেশ দেওয়া শুরু করেন তাকে ধর্মের গ্লানি বা ভণ্ডামি বলা হয়। আর এই রকম ধর্মের গ্লানি বা ভণ্ডামি কোর্মা করি লোকের কাছ থেকে ধৰ্ম উপদেশ নিয়ে চললেই যে কোনো মানুষের দুর্গতি হয়। তাই যে কোনো মানুষের উচিত উপরুক্ত লক্ষণের যে কোনো একটাও লক্ষণ যিনি প্রাপ্ত করতে পেরেছেন ....একমাত্র সেই রকম যোগ্য ব্যাক্তির কাছ থেকে ধৰ্ম কথা শুনা বা ধৰ্ম উপদেশ শুনা। কিন্তু উপরুক্ত সাধন যোগ্যতা-লক্ষণএর কোনো এক একটা সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ লাভ হলেই তাকে আমরা "প্রকৃত মহাত্মা" শাস্ত্রানুসারে বললেও কিন্তু তাকে "সদগুরু / ব্রহ্মজ্ঞানী / মহাপুরুষ / মুক্তপুরুষ " বলবো না - কারণ "সদগুরু / ব্রহ্মজ্ঞানী / মহাপুরুষ / মুক্তপুরুষ " রুপি সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ আরো ঊন্নত l "প্রকৃত মহাত্মা" -শাস্ত্রানুসারে সকলকে ধৰ্ম উপদেশ প্রদান ও সকলের প্রণাম গ্রহণ করতে পারেন কিন্তু "দীক্ষা / ব্রহ্মবিদ্যা / শক্তি পাত উৎক্রমণ / মুক্তির পথ " দেওয়ার অধিকার বা ক্ষমতা নেই l কারণ সে নিজে এখনো মুক্ত হয় নি-তাই মুক্তির পথ দিতে সে পারে না (শুধু ধৰ্ম উপদেশ প্রদান করতে পারে )