নিষ্কাম কর্ম কাকে বলে ?
উত্তর:-
কোনো প্রাপ্তি বা প্রত্যুৎপ্রকার কামনা না করে এবং প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তিতে সমজ্ঞান রেখেই ---> যিনি নিজের ও অন্যজনের প্রকৃত মুক্তির জন্যে , ভগবত লাভের জন্যে , আত্মউন্নতির জন্যে , পরম জ্ঞান লাভের জন্যে , পড়া ভক্তি বা প্রেম লাভের জন্যে ,পরমাত্ম প্রাপ্তি এর জন্যে , ব্রহ্মজ্ঞান ও ব্রহ্মস্থিতি এর জন্যে , মানবহিত এর জন্যে , জগৎ বা দেশ ও জনের কল্যাণ ও সুরক্ষার জন্যে , অসহায় এর সহায় এর জন্যে , গুরু - ইস্ট - মা - বাবা - গুরুজন এর সেবার জন্যে ,মনুষত্ব এর বিকাশ এর জন্যে যে যে কর্ম করা হয় তাকেই নিষ্কাম কর্ম বলে l
আর....
ইহলোকিক জড় -->শরীর সম্বন্ধীয় কামনা, রূপ কামনা , সংসার বাসনা , ভোগ বাসনা ,ঘর-বাড়ি-গাড়ি কামনা, সম্পর্ক কামনা , সস্পত্তি বা অর্থ কামনা, মান-সম্মান কামনা, পদ এর কামনা , শক্তি কামনা , আধিপত্য কামনা, বাদ্ধতা বা বশীকরণ কামনা , উত্তরাধিকার পদ বা সম্পত্তি এর কামনা , মৃত্যুর পর সর্গ কামনা , পুণ্য কামনা , অস্থায়ী যে কোনো বস্তুর অস্তিত্বের স্থায়িত্ব এর কামনা , ইন্দ্রিয় সুখ কামনা , কোনো কামনা করে পূজা - যজ্ঞ - মন্ত্র -জপ - ব্রত - হরিনাম - ধর্মউৎসব - বস্ত্রদান - অন্নদান - অর্থদান - পরোপকার ইত্যাদি কর্ম সকল কামনা করে ,প্রাপ্তি ভাবনা সহকারে যে কর্ম করা হয় তাকে সকাম কর্ম বলে l
সাধারণ ভাবে কামনা না করে এবং প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তিতে সমজ্ঞান এ থেকে যে কোনো শুভ বা কল্যাণ কর্ম করা হোক না কেন তাকেই নিষ্কাম কর্ম বলে l
এই নিষ্কামভাব স্থিতি থেকেই ধর্মের পথ শুরু হয় l যে কোনো প্রকার সকাম ভাব থাকলে প্রকৃত ধৰ্ম পথে যাওয়া শুরুই হয় না l তাই নিষ্কামভাব ধৰ্ম আচরণের প্রথম ধাপ l
**************************************************************************************************
শাসন কাকে বলে ?
উত্তর:-
শাস্ত্রানুসারে যে ব্যাক্তি / যে বিধান বা যিনি ধর্মআচরণ , সংযম , সাধনা, সমাধি , মোক্ষ , ঈস্বরপ্রাপ্তি , মানবকল্যাণশিক্ষা ,আত্মউন্নতির ও ব্রহ্মজ্ঞানলাভ এর জন্যে উপদেশ বা আদেশ দেন তাকেই শাসন বলে l ইহা একমাত্র মূল সনাতন শাস্ত্র / সৎগুরু / ব্রাম্হস্থিতি সম্পন্ন মহাপুরুষ / কোনো ধার্মিক ব্যাক্তি / প্রকৃত কল্যাণকামী ব্যাক্তিই করতে পারে কোনো কেহ নহে l
আর সামাজিক ভাবে কোনো সৎও ধার্মিক বাবা-মা বা নিকট কল্যাণকামী গুরুজনেরা সামাজিক লোক কল্যানহেতু শাসন করার অধিকারের কথা শাস্ত্রে আছে l
নিস্পৃহ কাকে বলে ?
উত্তর:-
যিনি জগতের সমস্থ জড় বস্তু বা সম্পর্ক বা সম্পত্তি বা কামনাকে অস্থায়ী বা অনিত্য জানেন বা ভাবেন বা এই ভাবনাতেই সর্বদা স্থিতি থাকেন -- সেই রকম ব্যাক্তির সামাজিক বা প্ররাদ্ধকর্ম বসত কর্তব্য বা দায়িত্ব জ্ঞানে কর্ম করলেও অন্তরে কোনো আসক্তি বা কামনা থাকে না -- এই রকম ভাবস্থিতি অবস্থাকেই নিস্পৃহ অবস্থা বলে l এই নিস্পৃহ অবস্থা ব্যাতিত উন্নত জ্ঞান ও ভক্তি লাভ সম্ভব হয় না l
তাই ধর্মআচরণ ও সাধনার জন্যে এই নিস্পৃহ ভাব অতি প্রয়োজন l
সিদ্ধান্ত বাক্য কাকে বলে ?
উত্তর:-
বেদান্ত ও মূল বৈদিক দর্শন শাস্ত্রে আছে যে.....
1.মানব শরীর ও মানব জীবনের মূল উদ্যেশ্য কি ?
2.মানবতার চরম বিকাশ কি ?
3.আত্মজ্ঞান কি ?
4. পরমাত্ম জ্ঞান কি ?
5. ব্রহ্মজ্ঞান কি ?
6. ব্রাম্হস্থিতি কি ?
7. মোক্ষ কি ?
8. পরা ভক্তি বা প্রেম কি ?
9. নিত্যলীলা কি ?
10. পুরুষোত্তম কে বা কি তত্ত্ব ?
11. প্রকৃত নিত্যতা কি ?
12. চরম বা পরম পর্যায় কি ?
13.সৃষ্টি-স্থিতি-লয় কি ?
14.সময় চক্র কি ?
15. অমৃতস্য পুত্র কি বা কেন ?
চরম শেষ পর্যায় এর এই সকল উপরুক্ত প্রশ্ন আর তার পরম পর্যায় উত্তর ও পথ এর যে বিধান তাকেই "সিদ্ধান্ত বাক্য" বলে l ( যার পর আর কোনো প্রশ্ন বা উত্তর থাকে না )