"প্রকৃত মহাত্মা এর সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ কি কি? অথবা কোন ব্যক্তিকে মহাত্মা বলা যেতে পারে? কোন কোন সাধন লক্ষণ যোগ্যতা থাকলে কোন ব্যক্তিকে মহাত্মা বলা যেতে পারে??”
শাস্ত্রানুসারে কোন ব্যাক্তিকেই "প্রকৃত মহাত্মা" বলা হয় , তা আগে আমরা জেনেছি যে - উপরুক্ত সাধন যোগ্যতা-লক্ষণগুলির মধ্যে কোনো এক একটা সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ লাভ হলেই তাকে আমরা "প্রকৃত মহাত্মা" শাস্ত্রানুসারে বলবো এবং সেই "প্রকৃত মহাত্মা" শাস্ত্রানুসারে সকলকে ধৰ্ম উপদেশ প্রদান
ও সকলের প্রণাম গ্রহণএর উপযুক্ত হয় l
কারণ শাস্ত্রে আছে যার মধ্যে নীচের শাস্ত্রে সম্মত যে ক টি লক্ষণ আছে তার মধ্যে যে কোনো কমপক্ষে অন্তত একটি লক্ষণ ও প্রতক্ষ্য সাধন যোগ্যতার দ্বারা প্রাপ্ত হয়ে থাকে ...একমাত্র শাস্ত্রানুসারে সেই সেই ব্যাক্তির ধৰ্ম উপদেশ দেওয়া শাস্ত্র সম্মত হয়। তাই শাস্ত্র সম্মত লক্ষণ প্রতক্ষ্য সাধন যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যাক্তির কাছ থেকে সর্বদা ধৰ্ম উপদেশ নেওয়া উচিত।
শাস্ত্রানুসারে (মনু সংহিতা )ধৰ্ম উপদেশদাতার যোগ্যতার লক্ষণ:----
1.যিনি কূটস্থ পর্যন্ত গিয়ে আত্মদর্শন করেছেন ...অথবা
2.যিনি নিজের প্রাণকে কূটস্থ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পেরেছেন ..........অথবা
3.যাহার দিব্যচক্ষু উন্মিলিত হয়েছে ..........অথবা
4.যাহার মূলাধার থেকে মস্তক পর্যন্ত প্রাণবায়ুর গতিপথ হয়েছে..........অথবা
5.যিনি ব্রহ্মবিদ্যার উর্ধতন ওঙ্কার ক্রিয়া গুরুই নিকট থেকে প্রাপ্ত হয়েছেন .........অথবা
6.যাহার জিহবা মস্তিষ্কের রাজিকা পর্যন্ত পৌঁছিয়া গিয়াছে .........অথবা
7. যিনি সাধনার দ্বারা উন্মনি অবস্থা প্রাপ্ত হয়েছেন .........অথবা
8. যিনি সর্বদা কূটস্থে ধ্যান অবস্থা লাভ করেছেন...
উপরোক্ত শাস্ত্র সম্মত এই 8 টি প্রতক্ষ্য সাধন যোগ্যতার লক্ষণ গুলির মধ্যে কোনো একটি প্রতক্ষ্য সাধন যোগ্যতার লক্ষণ যিনি নিজের কঠোর সাধনার দ্বারা লাভ করছেন.......
তিনি বা সেই সেই প্রতক্ষ্য সাধন যোগ্যতার লক্ষণ সম্পন্ন ব্যাক্তিই একমাত্র ধৰ্ম উপদেশ দেওয়ার যোগ্য।
আর শাস্ত্র সম্মত এই 8 টি প্রতক্ষ্য সাধন যোগ্যতার লক্ষণ গুলির মধ্যে কোনো একটি প্রতক্ষ্য সাধন যোগ্যতার লক্ষণ যিনি নিজের কঠোর সাধনার দ্বারা লাভ করতে পারেন নি।।। তিনি যদি ধৰ্ম উপদেশ দেওয়া শুরু করেন তাকে ধর্মের গ্লানি বা ভণ্ডামি বলা হয়। আর এই রকম ধর্মের গ্লানি বা ভণ্ডামি কোর্মা করি লোকের কাছ থেকে ধৰ্ম উপদেশ নিয়ে চললেই যে কোনো মানুষের দুর্গতি হয়।
তাই যে কোনো মানুষের উচিত উপরুক্ত লক্ষণের যে কোনো একটাও লক্ষণ যিনি প্রাপ্ত করতে পেরেছেন ....একমাত্র সেই রকম যোগ্য ব্যাক্তির কাছ থেকে ধৰ্ম কথা শুনা বা ধৰ্ম উপদেশ শুনা।
কিন্তু উপরুক্ত সাধন যোগ্যতা-লক্ষণএর কোনো এক একটা সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ লাভ হলেই তাকে আমরা "প্রকৃত মহাত্মা" শাস্ত্রানুসারে বললেও কিন্তু তাকে "সদগুরু / ব্রহ্মজ্ঞানী / মহাপুরুষ / মুক্তপুরুষ " বলবো না - কারণ "সদগুরু / ব্রহ্মজ্ঞানী / মহাপুরুষ / মুক্তপুরুষ " রুপি সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ আরো ঊন্নত l
"প্রকৃত মহাত্মা" -শাস্ত্রানুসারে সকলকে ধৰ্ম উপদেশ প্রদান ও সকলের প্রণাম গ্রহণ করতে পারেন কিন্তু "দীক্ষা / ব্রহ্মবিদ্যা / শক্তি পাত উৎক্রমণ / মুক্তির পথ " দেওয়ার অধিকার বা ক্ষমতা নেই l কারণ সে নিজে এখনো মুক্ত হয় নি-তাই মুক্তির পথ দিতে সে পারে না (শুধু ধৰ্ম উপদেশ প্রদান করতে পারে )