নিউমেরোলজি বা সংখ্যাতত্ত্ব এমনই এক বিদ্যা, যার যুক্তিকাঠামো একান্তভাবেই তার নিজস্ব। এই যুক্তি কাঠামোকে প্রয়োগ করেই নিউমেরোলজি জানায়, আমাদের চারপাশে ঘিরে সংখ্যারা আমাদের সম্পর্কে অনেক কিছুই বলে। এমনকী, এই সংখ্যাগুলির যথাযথ বিশ্লেষণ থেকে ভবিষ্যৎও জানা যায়।

আমাদের সব থেকে কাছের সংখ্যা হল আমাদের টেলিফোন নাম্বার। ফোনের নম্বরের সংখ্যাতত্ত্বগত বিশ্লেষণ থেকে নাকি জানা যায় ভবিষ্যৎ। এক্ষেত্রে প্রথমে একটি সহজ অঙ্ক কষে নিতে হবে, তার পরেই আপনি রেডি আপনার ভবিষ্যৎ জানার জন্য।

আপনার দশ ডিজিটের ফোন নম্বরের শেষ চারটি সংখ্যাকে নিন। কারণ এই সংখ্যগুলিই আপনার একান্ত নিজস্ব। এবারে ওই চারটি সংখ্যার যোগফল বের করুন। অর্থাৎ আপনার ফোন নম্বরের শের চার ডিজিট যদি ৫৪২১ হয়ে থাকে, তা হলে ৫+৪+৩+১ করতে হবে। এবারে যে যোগফল বেরবে তাদি এক সংখ্যার হয়, তা হলে আপনার কাজ শেষ। কিন্তু যদি দুই টিজিটের উত্তর আসে(অর্থাৎ ৫+৪+৩+১= ১৩ হয়), তবে সেই সংখ্যা দু’টিকেও যোগ দিন (অর্থাৎ ১+৩= ৪)। এই যোগফলটিই হবে আপনার অভিষ্ট সংখ্যা।

এবারে দেখে নেওয়া যাক, কী জানায় এই যোগফল সম্পর্কে।

• ১ যোগফল হলে আপনি বেশ শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব। অন্যকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা আপনার প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। অপনার ব্যবসা-ভাগ্য দারুণ। অন্য পেশাতেও আপনার উন্নতির যোগ রয়েছে।

• ২ যোগফল হলে আপনি খুবই রোম্যান্টিক স্বভাবের মানুষ। অন্যের কাচ থেকে সহযোগিতা আশা করেন। সেলস জব বা এজেন্সি ব্যবসায় আপনার উন্নতি সম্ভব।

• ৩ যোগফল হলে আপনি সৃজনশীল মানুষ। শিল্পী, সংগীতশিল্পী প্রমুখের জন্য এই সংখ্য শুভ। লেখকদের ফোন নম্বর থেকে এই যোগফল পাওয়া গেলে, তাঁদের উন্নতির যোগ রয়েছে ধরতে হবে।

• ৪ যোগফল যাঁর, তিনি স্থিতধী ব্যক্তি। তাঁর উপরে অনেকেই নির্ভর করতে চাইবেন। এমন মানুষ ব্যাঙ্ক, হিসাবরক্ষক সংস্থা ইত্যাদিতে খ্যাতির সঙ্গে কাজ করতে পারবেন।

• যোগফল ৫ হলে বুঝতে হবে, তিনি অ্যাডভেঞ্চার-প্রিয় লোক। ভ্রমণে বিশেষ উৎসাহী। এঁদের পারিবারিক জীবন তেমন সুখের হয় না। জীবন যাপনে শৃঙ্খলার অভাব থাকে এঁদের।

• ৬ যাঁদের যোগফল, পারিবারিক ব্যক্তিত্বের পক্ষে ভাল। জীবনের একটা বড় অংশ কাটবে প্রাণখোলা আড্ডা দিয়ে।

• ৭ যোগফল হলে তিনি আধ্যাত্মিক দিকে পা বাড়িয়েই থাকেন, বুঝতে হবে।

• ৮ একটি অতি রহ্স্যময় সংখ্যা। তবে, এই সংখ্যা যাঁর, তিনি উচ্চাভিলাষী। আবার এই সংখ্যা অনেকেকে আধ্যাত্মিক দিকে ঠেলেও নিয়ে যায়।

• ৯ যোগফল হলে তিনি চিকিৎসক হিসেবে হতে পারেন। ওযুধের ব্যবসাতেও তাঁর উন্নতির যোগ রয়েছে। তবে এই সংখ্য অনেক সময়েই কিছুটা পতন ডেকে আনে।

or

নবম ঘর -> ধর্মস্থান -> দীক্ষাগুরু

• দশম ঘর -> কর্মস্থান

১ ঘণ্টা = ৩৬০০ সেকেন্ড (৩+৬+০+০ = ৩+৬ = ৯)

২৪ ঘণ্টা = ৮৬৪০০ সেকেন্ড (৮+৬+৪+০+০= ১৮= ১+৮= ৯)

৩০ দিন = ২৫,৯২,০০০ সেকেন্ড (২+৫+৯+২+০+০+০ = ১৮ = ১+৮= ৯)

১২ মাস = ৩,১১,০৪,০০০ সেকেন্ড (৩+১+১+০+৪+০+০+০ = ৯)

◯ = ৩৬০° = ৩+৬+০= ৯ ( একটি পূর্ণ বৃত্ত ৩৬০° হয়)

□ = ৩৬০°= ৩+৬+০= ৯ { প্রত্যেকটি কোণের মান ৯০°-> চারটি কোণের মান (৯০+৯০+৯০+৯০)৩৬০° }

△= ১৮০°= ১+৮+০= ৯ {প্রত্যেকটি কোণের মান ৬০° -> তিনটি কোণের মান (৬০+৬০+৬০) ১৮০° }

⬡ = ১৮০°= ১+৮+০= ৯ {প্রত্যেকটি কোণের মান ৩০° -> ছয়টি কোণের মান (৩০+৩০+৩০+৩০+৩০+৩০) ১৮০° }

০ -> নিরাকার ব্রহ্ম

১ -> প্রকৃতি

৯ -> পূর্ণ বিকাশ

শ্বাসের ক্রিয়াও ৯ ওপর রয়েছে।

৪ সেকেন্ড = ১ প্রাণ (১ নিশ্বাস+প্রশ্বাস)

১ মিনিট = ১৫ প্রাণ

৬০ মিনিট = ৯০০ প্রাণ

২৪ ঘণ্টা = ২১৬০০ প্রাণ

গুরু শিষ্যের মধ্যে জ্যোতিষ শাস্ত্রীয় সম্বন্ধীয় আলোচনা প্রশ্ন উত্তর

গুরু::: তুমি একটা জ্যোতিষশাস্ত্রীয় প্রতিকার করো না কেন?"

শিষ্য:::::"আমার কি উচিত, গুরুদেব? আমি জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাস করি না"???

"এটি বিশ্বাসের প্রশ্ন নয়; যে কোনো বিষয়ে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি বিচার করে গ্রহণ করা উচিত তা সত্য কিনা। মহাকর্ষের সূত্র নিউটনের আগেও- তার পরে যতটা দক্ষতার সাথে কাজ করেছিল। মহাবিশ্ব বিশৃঙ্খল হবে যদি এর নিয়ম ছাড়া কাজ না করে।

“সৃষ্টির সমস্ত অংশ একত্রে যুক্ত এবং তাদের প্রভাব বিনিময় করে। মহাবিশ্বের ভারসাম্যপূর্ণ ছন্দ পারস্পরিকতার মধ্যে নিহিত,"মানুষকে, তার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে, দুটি শক্তির সাথে লড়াই করতে হবে - প্রথমত, তার শরীর সত্তার মধ্যে গণ্ডগোল, যা পঞ্চমহাভূত--মাটি, জল, আগুনের মিশ্রণের কারণে ঘটে , বায়ু এবং আকাশ উপাদান; দ্বিতীয়ত, প্রকৃতির বাহ্যিক বিচ্ছিন্নকারী শক্তি। যতক্ষণ মানুষ তার জীবন-মৃত্যুর সাথে লড়াই করে, ততক্ষণ সে ইহলৌকিক ও পরলৌকিক অগণিত কর্মফল দ্বারা প্রভাবিত হয়।

“জ্যোতিষশাস্ত্র হল গ্রহের উদ্দীপনার প্রতি মানুষের কর্মফলের প্রতিক্রিয়ার অধ্যয়ন। নক্ষত্রের কোন সচেতন বন্ধুত্ব বা শত্রুতা নেই; তারা কেবল ইতিবাচক এবং নেতিবাচক বিকিরণ পাঠায়। নিজেদের মধ্যে, এগুলি মানবতার সাহায্য বা ক্ষতি করে না, তবে কার্যকারণ ভারসাম্যের বাহ্যিক কর্মফলের জন্য একটি শাস্ত্রীয় বৈধ নিয়মে সরবরাহ করে যা প্রতিটি মানুষ তার অতীতে কর্মফল তৈরি করেছে।

“একটি শিশু সেই দিনে এবং সেই সময়ে জন্মগ্রহণ করে যখন গ্রহদের রশ্মিগুলি তার ব্যক্তিগত কর্মের সাথে গাণিতিক সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। তার রাশিফল ​​একটি কর্মফল দাতা প্রতিকৃতি, যা তার অপরিবর্তনীয় অতীত এবং এর সম্ভাব্য ভবিষ্যতের কর্মের ফলাফল প্রকাশ করে। কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্রের মাধ্যমে শুধুমাত্র স্বজ্ঞাত জ্ঞানের পুরুষদের দ্বারা সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে: ।

বেদে পরমেশ্বর স্বয়ং বলেছেন যে আমি কর্মফলদাতা ঈশ্বর এবং নক্ষত্র গ্রহদের মাধ্যমেই ইতিবাচক-নেতিবাচক কর্মের ফল আমি ইহলৌকিক জীবনে এবং অলৌকিক জীবনে প্রদান করে থাকি ।

জ্যোতিষশাস্ত্রের মাধ্যমে বেদে পরমেশ্বর এর বাণী অনুসারী আমরা আমাদের প্রাক্তন এবং ইহলৌকিক কর্মফলে গতিবিধি বুঝেশুনে চলার যোগ্যতা লাভ করতে পারি - এবং কিছু ক্ষেত্রে প্রতিকারের মাধ্যমে অর্থাৎ শাস্ত্রীয় প্রতিকারের মাধ্যমে আমরা অনেক দূষিত কর্মফলকে বিশেষ বিধান অনুসারে অল্পের মধ্যে কর্মফল করতে পারি .।

তাই তোমাকে বেদের পরমেশ্বর এর বাণী অনুসারে তোমার দূষিত কর্মের প্রতিকার জ্যোতিষশাস্ত্রের মাধ্যমে করবার উপদেশ দিচ্ছি ।.