সধবা নারী,যে কোন প্রকারের উপবাস
পত্যৌ জীবতি যা যোষিদুপবাসব্রতং চরেৎ।
আয়ুঃ সা হরতে ভর্ত্তুর্নরকঞ্চৈব গচ্ছতি।। ( বিষ্ণু সংহিতা ২৫-১৬)
অর্থাৎঃ- যে স্ত্রী স্বামী জীবিত থাকতে উপবাস ব্রতের আচরন করে, সে স্বামীর আয়ু হরণ ও নরক গমন করে। তাই স্বামী জীবিত থাকতে উপবাস বাঞ্ছনীয় নয়।
উপবাসস্তথায়াসো বিত্তোৎসর্গস্তথা কলৌ।
ধর্ম্মো যথাভিরুচিতৈরনুষ্ঠানৈরনুষ্ঠিতঃ""।। (ব্রহ্মপুরাণ ২৩০ অধ্যায়ে শ্লোক ১৫)
কলি যুগে -উপবাস,আয়াস,ধন-দানাদি ধর্ম্মকর্ম্ম নিশ্চয় যথেচ্ছা রুপে অনুষ্ঠিত হতে থাকবে।
তিন। সধবা স্ত্রীলোকের উপবাসাদি ব্রত নাই।
এ প্রসঙ্গে ভগবান ব্যাসদেব বলেছেন-
সধবানাং হি নারীণাংনেপবাসাদিকংব্রতম। (বৃহদ্ধর্ম্মপুরাণ, উত্তরখণ্ডম ৮ম অধ্যায় ৭নং শ্লোকে)
অর্থাৎঃ- সধবা স্ত্রীলোকের উপবাসাদি ব্রত নাই।
অত্রিমুনি বলেছেন-
জীবদ্ভর্ত্তরি যা নারী উপোষ্য ব্রতচারিণী।
আয়ুষ্যং হরতে ভর্ত্তুঃ সা নারী নরকং ব্রজেৎ।। (অত্রিসংহিতা ১৩৬নং শ্লোক।)
অর্থাৎঃ- যে নারী স্বামী জীবিত থাকিতে উপবাস করিয়া ব্রত করে,সে নারী স্বামীর আয়ু হরণ করে ও নরকে গমন করেন।
এই বচন অনুসারে কোন হিন্দু সধবা নারী,যে কোন প্রকারের উপবাস ব্রত পালন করে স্বর্গে যাওয়া ত দুরের কথা, সাথে স্বামীর আয়ু হরণ কারিনী হন।