কুণ্ডলিনীস্তবঃ
শাস্ত্রে বলা হয়েছে, কুণ্ডলিনী হলেন শিবের অন্তঃস্থিত চিদ-শক্তি, যিনি মূলাধার–কুলকুঠীতে সর্পাকৃতি হয়ে সুপ্ত অবস্থায় বিশ্রাম নেন। কিন্তু তিনি নিস্তরঙ্গ নন, এক মুহূর্তে জীবনের স্থূল সীমাকে অতিক্রম করে তেজ, বুদ্ধি, জ্ঞান, বাক্ এবং আনন্দের নবজন্ম দান করেন। যখন সাধক তাঁর প্রতি স্তব করে, তখন দেবী কেবল কানে শোনা শব্দ নন, তখন তিনি বীজতরঙ্গ, কম্পন, নাদ, চেতনাস্তরের পরিবর্তন, মনঃসংস্কারের রূপান্তর।
এই কুণ্ডলিনীস্তবঃ রুদ্রযামলের নির্দেশে তিনটি স্তরে কার্যকর:
(১) মনঃশুদ্ধি,
(২) নাড়িপথশুদ্ধি,
(৩) চৈতন্যোন্মেষ।
এর প্রত্যেকটি শ্লোক কুণ্ডলিনীর ভিন্ন ভিন্ন দিক প্রকাশ করে। কোথাও তিনি রক্তাভামৃত, কোথাও অমৃতচন্দ্রিকা, কোথাও গ্রন্থিভেদিনী, আবার কোথাও মায়াক্রিয়ার অতিসূক্ষ্ম নিয়ন্ত্রিণী।
এই স্তব সেই চিরন্তন শক্তিমার্গের দ্বার উন্মুক্ত করুক। আর পাঠক ভক্তচিত্তে উপলব্ধি করুন, দেহেই ব্রহ্মমন্দির, নাড়িই তার অলিন্দ, আর কুণ্ডলিনীই সেই জীবন্ত মহাশক্তি, যিনি নিজেকে উপলব্ধ করাতে চিরব্যস্ত।
কুণ্ডলিনীস্তবঃ - রুদ্রয়ামলোত্তরতন্ত্রান্তর্গতম্
॥ কুণ্ডলিনী-স্তুতি-স্তোত্রঃ ॥
জন্মোদ্ধার নিরীক্ষণীহতরুণী বেদাদিবীজাদিমা
নিত্যং চেতসি ভাব্যতে ভুবি কদা সদ্বাক্য সঞ্চারিণী।
মাং পাতু প্রিয়দাস ভাবকপদং সঙ্ঘাতয়ে শ্রীধরা
ধাত্রি ত্বং স্বয়মাদিদেব বনিতা দীনাতিদীনং পশুম্ ॥৬-২৯॥
রক্তাভামৃত চন্দ্রিকা লিপিময়ী সর্পাকৃতির্নিদ্রিতা
জাগ্রৎ কূর্মসমাশ্রিতা ভগবতি ত্বং মাং সমালোকয়।
মাংসোদ্গন্ধ কুগন্ধদোষ জডিতং বেদাদিকার্যান্বিতং
স্বল্পান্যামল চন্দ্রকোটি কিরণৈর্নিত্যং শরীরং কুরু ॥৬-৩০॥
সিদ্ধার্থী নিজদোষবিৎ স্থলগতির্ব্যাজীয়তে বিদ্যযা
কুণ্ডল্যা কুলমার্গমুক্ত নগরী মায়াকুমার্গঃ শ্রিয়া।
যদ্যেবং ভজতি প্রভাতসময়ে মধ্যাহ্নকালেঽথবা
নিত্যং যঃ কুলকুণ্ডলী জপ পদাম্ভোজং স সিদ্ধো ভবেৎ ॥৬-৩১॥
বায়্বাকাশচতুর্দলেঽতিবিমলে বাঞ্ছাফলান্যালকে
নিত্যং সম্প্রতি নিত্যদেহঘটিতা শাঙ্কেতিতা ভাবিতা ।
বিদ্যাকুণ্ডল মালিনী স্বজননী মায়াক্রিয়া ভাব্যতে
যৈস্তৈঃ সিদ্ধকুলোদ্ভবৈঃ প্রণতিভিঃ সৎস্তোত্রকৈঃ শম্ভুভিঃ ॥৬-৩২॥
ধাতাশঙ্কর মোহিনী ত্রিভুবনচ্ছায়া পটোদ্গামিনী
সংসারাদি মহাসুখ প্রহরণী তত্রস্থিতা যোগিনী।
সর্বগ্রন্থি বিভেদিনী স্বভুজগা সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মাপরা
ব্রহ্মজ্ঞান বিনোদিনী কুলকুটী ব্যাঘাতিনী ভাব্যতে ॥৬-৩৩॥
বন্দে শ্রীকুলকুণ্ডলী ত্রিবলিভিঃ সাঙ্গৈঃ স্বয়ম্ভূং প্রিয়ম্
প্রাবেষ্ট্যাম্বরমার্গ চিত্তচপলা বালাবলা নিষ্কলা।
যা দেবী পরিভাতি বেদবচনা সম্ভাবিনী তাপিনী
ইষ্টানাং শিরসি স্বয়ম্ভু বনিতাং সম্ভাবয়ামি ক্রিয়াম্ ॥৬-৩৪॥
বাণীকোটি মৃদঙ্গনাদ মদনানিশ্রেণি কোটিধ্বনিঃ
প্রাণেশীরসরা শিমূল কমলোল্লাসৈক পূর্ণাননা।
আষাঢোদ্ভব মেঘবাজ নিয়ুতধ্বান্তাননা স্থায়িনী
মাতা সা পরিপাতু সূক্ষ্মপথগে মাং যোগিনাং শঙ্করঃ ॥৬-৩৫॥
ত্বামাশ্রিত্য নরা ব্রজন্তি সহসা বৈকুণ্ঠকৈলাসয়োঃ
আনন্দৈক বিলাসিনীং শশি শতানন্দাননাং কারণাম্।
মাতঃ শ্রীকুলকুণ্ডলী প্রিয়করে কালীকুলোদ্দীপনে
তৎস্থানং প্রণমামি ভদ্রবনিতে মামুদ্ধর ত্বং পশুম্ ॥৬-৩৬॥
কুণ্ডলী শক্তিমার্গস্থং স্তোত্রাষ্টক মহাফলম্।
যতঃ পঠেৎ প্রাতরুত্থায় স যোগী ভবতি ধ্রুবম্ ॥৬-৩৭॥
ক্ষণাদেব হি পাঠেন কবিনাথো ভবেদিহ।
পঠেৎ শ্রীকুণ্ডলো যোগো ব্রহ্মলীনো ভবেৎ মহান্ ॥৬-৩৮॥
ইতি তে কথিতং নাথ কুণ্ডলীকোমলং স্তবম্।
এতৎস্তোত্র প্রসাদেন দেবেষু গুরুগীষ্পতিঃ ॥৬-৩৯॥
সর্বে দেবাঃ সিদ্ধিয়ুতাঃ অস্যাঃ স্তোত্রপ্রসাদতঃ।
দ্বিপরার্দ্ধং চিরঞ্জীবী ব্রহ্মা সর্বসুরেশ্বরঃ ॥৬-৪০॥
॥ ইতি রুদ্রয়ামলোত্তরতন্ত্রান্তর্গতে কুণ্ডলিনীস্তবঃ সম্পূর্ণম্ ॥
নিচে প্রত্যেকটি শ্লোকের অর্থ বর্ণনা করা হল —
জন্মোদ্ধার নিরীক্ষণীহতরুণী বেদাদিবীজাদিমা
নিত্যং চেতসি ভাব্যতে ভুবি কদা সদ্বাক্য সঞ্চারিণী।
মাং পাতু প্রিয়দাস ভাবকপদং সঙ্ঘাতয়ে শ্রীধরা
ধাত্রি ত্বং স্বয়মাদিদেব বনিতা দীনাতিদীনং পশুম্ ॥৬-২৯॥
অর্থ:
হে দেবী কুণ্ডলিনী! তুমি জন্মের বন্ধন ছিন্নকারী, সকল শাস্ত্রের বীজশক্তি, নবযৌবনা প্রভা-ধারিণী। যে সাধক তোমাকে হৃদয়ে নিত্য ধ্যান করে, তার বাক্য সত্য ও শক্তিময় হয়। হে আদিশক্তি, হে জগতধাত্রী, হে আদিদেবীর সহধর্মিণী! অতিদীনেরও দীন—এই ‘পশু’ (অজ্ঞ) আমাকে রক্ষা করো।
রক্তাভামৃত চন্দ্রিকা লিপিময়ী সর্পাকৃতির্নিদ্রিতা
জাগ্রৎ কূর্মসমাশ্রিতা ভগবতি ত্বং মাং সমালোকয়।
মাংসোদ্গন্ধ কুগন্ধদোষ জডিতং বেদাদিকার্যান্বিতং
স্বল্পান্যামল চন্দ্রকোটি কিরণৈর্নিত্যং শরীরং কুরু ॥৬-৩০॥
অর্থ:
তুমি রক্তাভা, অমৃত-চন্দ্রিকা-দীপ্তিময়ী, সর্পাকৃতিতে কুণ্ডলী পাকানো, নিদ্রিত শক্তি। তুমি জাগ্রত হলে কূর্মনাড়ির মাধ্যমে শরীরে প্রণ-উদিত করো। হে দেবী! আমার দিকে দয়া করে চাও। আমার দেহ, যা মাংসের দুর্গন্ধ, অজ্ঞান, ও দোষে ভরা, তাকে তোমার কোটি চন্দ্রকিরণের মতো পবিত্র ও দীপ্তময় করে দাও।
সিদ্ধার্থী নিজদোষবিৎ স্থলগতির্ব্যাজীয়তে বিদ্যযা
কুণ্ডল্যা কুলমার্গমুক্ত নগরী মায়াকুমার্গঃ শ্রিয়া।
যদ্যেবং ভজতি প্রভাতসময়ে মধ্যাহ্নকালেঽথবা
নিত্যং যঃ কুলকুণ্ডলী জপ পদাম্ভোজং স সিদ্ধো ভবেৎ ॥৬-৩১॥
অর্থ:
সাধক যখন বিদ্যা দ্বারা নিজের দোষ ও স্থূলগতিকে জয় করে, তখন কুণ্ডলিনী শক্তির অকলুষ পথ উন্মুক্ত হয়, আর মায়ার কু-মার্গ লুপ্ত হয়। যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে বা মধ্যাহ্নে কুলকুণ্ডলী-শক্তির পদপদ্ম জপ ও ধ্যান করে, সে নিঃসন্দেহে সিদ্ধ(যোগসিদ্ধ) হয়।
বায়্বাকাশচতুর্দলেঽতিবিমলে বাঞ্ছাফলান্যালকে
নিত্যং সম্প্রতি নিত্যদেহঘটিতা শাঙ্কেতিতা ভাবিতা।
বিদ্যাকুণ্ডল মালিনী স্বজননী মায়াক্রিয়া ভাব্যতে
যৈস্তৈঃ সিদ্ধকুলোদ্ভবৈঃ প্রণতিভিঃ সৎস্তোত্রকৈঃ শম্ভুভিঃ ॥৬-৩২॥
অর্থ:
বায়ু–আকাশের অতি নির্মল চতুর্দল পদ্মে(বিশুদ্ধ চক্রে) তুমি নিত্য বিরাজ করো, সকল কামনাকে সিদ্ধ করার শক্তিস্বরূপে। তুমি বিদ্যা-কুণ্ডল-মালিনী, মায়াশক্তির জননী। যেসব কুল-সিদ্ধ যোগীরা তোমাকে ভজে, শিব স্বয়ং সেই মহাযোগীদের স্তুতি করেন।
ধাতাশঙ্কর মোহিনী ত্রিভুবনচ্ছায়া পটোদ্গামিনী
সংসারাদি মহাসুখ প্রহরণী তত্রস্থিতা যোগিনী।
সর্বগ্রন্থি বিভেদিনী স্বভুজগা সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মাপরা
ব্রহ্মজ্ঞান বিনোদিনী কুলকুটী ব্যাঘাতিনী ভাব্যতে ॥৬-৩৩॥
অর্থ:
হে শক্তি! তুমি ধাতা-ব্রহ্মা, শঙ্কর ও মোহিনীর (বিষ্ণুমায়া) ত্রি-বৃত শক্তি হিসেবে তিন লোককে আচ্ছন্ন করে আছো। তুমি সংসার-মোহ ভেদকারী, মুক্তির দাত্রী যোগিনী। তুমি সকল গ্রন্থি (ব্রহ্মগ্রন্থি, বিষ্ণুগ্রন্থি, রুদ্রগ্রন্থি) ছিন্নকারী, অতিসূক্ষ্ম, অতিগুপ্ত, কুণ্ডলী-দেবী।
তোমাকে ধ্যান করলে জ্ঞান-সুখ উদয় হয়,
এবং শক্তির সমস্ত বাধা দূর হয়।
বন্দে শ্রীকুলকুণ্ডলী ত্রিবলিভিঃ সাঙ্গৈঃ স্বয়ম্ভূং প্রিয়ম্
প্রাবেষ্ট্যাম্বরমার্গ চিত্তচপলা বালাবলা নিষ্কলা।
যা দেবী পরিভাতি বেদবচনা সম্ভাবিনী তাপিনী
ইষ্টানাং শিরসি স্বয়ম্ভু বনিতাং সম্ভাবয়ামি ক্রিয়াম্ ॥৬-৩৪॥
অর্থ:
আমি সেই কুলকুণ্ডলিনীকে বন্দনা করছি,
যিনি ত্রিবলি(ইড়া–পিংলা–সুষুম্নার তিন বল) দ্বারা সংবলিত, মনকে বায়ুর মতো চপল করে তোলেন, বেদ-উচ্চারিত তপশক্তির দেবী। আমি তোমাকে, হে স্বয়ম্ভূ দেবী, সকল ইষ্টের মস্তকে প্রতিষ্ঠিত বলে ধ্যান করি।
বাণীকোটি মৃদঙ্গনাদ মদনানিশ্রেণি কোটিধ্বনিঃ
প্রাণেশীরসরা শিমূল কমলোল্লাসৈক পূর্ণাননা।
আষাঢোদ্ভব মেঘবাজ নিয়ুতধ্বান্তাননা স্থায়িনী
মাতা সা পরিপাতু সূক্ষ্মপথগে মাং যোগিনাং শঙ্করঃ ॥৬-৩৫॥
অর্থ:
তোমার বাণী কোটি মৃদঙ্গের নাদসম, কামনাশক্তি ও প্রাণশক্তির অগ্নি-স্রোত একত্রে তোমার মুখে পূর্ণ। আষাঢ়-ঘনমেঘের বজ্রধ্বনির মতো, তুমি অজ্ঞতার অন্ধকার ভেদ করো। হে যোগিনীদের শঙ্করী-মাতা! এই অতিসূক্ষ্ম সুষুম্নাপথে গমনকারী আমাকে রক্ষা করো।
ত্বামাশ্রিত্য নরা ব্রজন্তি সহসা বৈকুণ্ঠকৈলাসয়োঃ
আনন্দৈক বিলাসিনীং শশি শতানন্দাননাং কারণাম্।
মাতঃ শ্রীকুলকুণ্ডলী প্রিয়করে কালীকুলোদ্দীপনে
তৎস্থানং প্রণমামি ভদ্রবনিতে মামুদ্ধর ত্বং পশুম্ ॥৬-৩৬॥
অর্থ:
যারা তোমার আশ্রয় নেয়, তারা দ্রুত কৈলাস ও বৈকুণ্ঠসম উচ্চলোক অনুভব করে, অর্থাৎ আনন্দ, নির্বাণ ও চিদানন্দ লাভ করে। হে কালীকুলপ্রিয় কুণ্ডলিনী-মাতা! তোমার তেজে কালীকুল জাগ্রত হয়। আমি সেই পবিত্র আসনকে প্রণাম করি, হে ভদ্রবনিতা, আমাকে অজ্ঞতার ‘পশুত্ব’ থেকে উদ্ধার করো।
কুণ্ডলী শক্তিমার্গস্থং স্তোত্রাষ্টক মহাফলম্।
যতঃ পঠেৎ প্রাতরুত্থায় স যোগী ভবতি ধ্রুবম্ ॥৬-৩৭॥
অর্থ:
যে কুণ্ডলিনী-মার্গস্থ এই অষ্টক-স্তব, প্রতিদিন ভোরে উঠে পাঠ করে, সে যোগী অবশ্যই সিদ্ধ হয়।
ক্ষণাদেব হি পাঠেন কবিনাথো ভবেদিহ।
পঠেৎ শ্রীকুণ্ডলো যোগো ব্রহ্মলীনো ভবেৎ মহান্ ॥৬-৩৮॥
অর্থ:
মাত্র কিছুক্ষণ পাঠ করলেই মানব কবিরাজ (কবিতাশক্তিধর) হয়ে ওঠে। আর যে নিয়মিত পাঠ করে, সে ব্রহ্মলীন, মহান যোগী হয়ে যায়।
ইতি তে কথিতং নাথ কুণ্ডলীকোমলং স্তবম্।
এতৎ স্তোত্রপ্রসাদেন দেবেষু গুরুগীষ্পতিঃ ॥৬-৩৯॥
অর্থ:
হে নাথ! তোমাকে আমি এই কোমল কুণ্ডলিনীস্তব বলেছি। এই স্তোত্রের কৃপায় দেবতাদের মধ্যেও পূজিত গুরু ও ঈশ্বরপতি হওয়া যায়।
সর্বে দেবাঃ সিদ্ধিয়ুতাঃ অস্যাঃ স্তোত্রপ্রসাদতঃ।
দ্বিপরার্দ্ধং চিরঞ্জীবী ব্রহ্মা সর্বসুরেশ্বরঃ ॥৬-৪০॥
অর্থ:
সকল দেবতা এই স্তোত্রের কৃপায় সিদ্ধিশালী হন। ব্রহ্মাও দ্বিপরার্ধকাল (অতি দীর্ঘ আয়ু) চিরঞ্জীবি, এই স্তবের প্রসাদে।
॥ ইতি রুদ্রয়ামলোত্তরতন্ত্রান্তর্গতে কুণ্ডলিনীস্তবঃ সম্পূর্ণম্ ॥
পরিশেষে বলা যায় - কুণ্ডলিনীস্তব রুদ্রযামল–উত্তরতন্ত্রের অন্তর্গত এক অপূর্ব শক্তিস্তোত্র। এখানে কুণ্ডলিনীকে কেবল যোগতত্ত্বের শক্তি হিসেবে নয়—বরং জ্ঞান, শব্দ, অস্তিত্ব ও মুক্তির মূলচেতনা হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে।