পূজার সংকল্প :-- কোষাকুশীতে হরতকি ফুল চন্দন দুর্গা ধান যব আতপ চাল নিয়ে উত্তর অথবা পূর্ব দিক কোণে ধারণ করে বলতে হবে। ওঁ বিষ্ণুরোম্ তৎ সদ্ অদ্য _ মাসি _ রাশিস্থ ভাষ্করে _পক্ষে _ তিথৌ __ গোত্র __ নাম _লোক প্রাপ্তি কামঃ যথা শক্ত্যু পচারনাং _ পূজা তদ্ ব্রতকথা পাঠ জাগরনোপবাস কর্ম্মাহং করিষ্যে। দক্ষিণাবাক্য:- এতস্মৈ কাঞ্চন মূল্যায় নমঃ (৩ বার) এতৎ অধিপতয়ে শ্রী বিষ্ণুবে নমঃ। এতৎ সম্প্রদানায় ব্রাহ্মণায় নমঃ। (হাত জোড় করে বলিবে) সাঙ্গতার্থ সংকল্প :- কোষাকুশীতে হরতকি ফুল চন্দন দুর্গা ধান যব আতপ চাল নিয়ে উত্তর অথবা পূর্ব দিক কোণে ধারণ করে বলতে হবে। ওঁ বিষ্ণুরো তৎ সৎ_ মাসি _রাশিস্থ ভাস্করে _পক্ষে _ তিথৌ __ গোত্র __ নাম কৃতৈ তৎ _ দেবতয়া প্রীতি কাম_পূজা তদ ব্রতকথা পাঠ জাগরনোপবাস কর্ম্মন্ সাঙ্গতার্থং যদ্ বৈগুন্যং জাতং তোদ্দোষ প্রশমনায় বিষ্ণু স্মরণ মনন করিষ্যে। ওঁ তদবিষ্ণু পরমং পদম্ সদা পশ্যন্তি সুরয়ঃ দিবীব চক্ষুরাততম। ওঁ বিষ্ণুঃ ওঁ বিষ্ণুঃ ওঁ বিষ্ণুঃ।। • ওঁ অজ্ঞানাদ যদি বা মোহাৎ প্রচ্যবেতাধ্বরেষু যৎ স্মরনা দেব তদ বিষ্ণু সম্পূর্ণং স্যাদিতি শ্রুতি । • ওঁ যদ সাঙ্গং কৃতং কর্ম জানতা বাপ্য জানতা সাঙ্গং ভবতু তৎ সৰ্ব্বং হরে নামানু কীৰ্তনাৎ। ডান হাতের তালুতে জল নিয়ে --- ওঁ শ্রী হরি ওঁ শ্রী হরি ওঁ শ্রী হরি ওঁ প্রিয়তাং পুন্ডরীকাক্ষং সর্ব্বযজ্ঞেশ্বরো হরি তস্মিন তুষ্টে জগৎ তুষ্টং প্রীনিতে প্রীনিতং জগৎ এতৎ কর্ম শ্রী কৃষ্ণায়াপিত মস্তু। ...........( জল মাটিতে ফেলে দাও )
মধুসুক্ত :- ওঁ মধু বাতা ঋতায়তে মধু ক্ষরন্তি সিন্ধবঃ। মাধ্বীর্নঃ সন্তোষধীঃ। ওঁ মধুনক্ত সুতোষসো। মধু মৎ পার্থিবং রজঃ মধু দৌ রস্তু নঃ পিতা। ওঁ মধু মান্নো বনস্পতি স্মধুমান অন্তু সূর্যঃ। মাধ্বীগাব ভবন্তু নঃ ওঁ মধু ওঁ মধু ওঁ মধু ।। শান্তি মন্ত্র পাঠ :-- একটি পাত্রে সামান্য জল নিয়ে তাহাতে চন্দন পুষ্প বেলপাতা দিয়ে জলের ছিটা দিতে দিতে পাঠ কর। ওঁ স্বস্তি নঃ ইন্দ্রো বৃদ্ধশ্রবাঃ। স্বস্তি নঃ পূষা বিশ্ববেদাঃ। স্বস্তি নঃ স্তার্ক্ষ্যো অরিষ্টনেমী। স্বস্তি নঃ বৃহস্পতি দধাতু।। দৌঃ শান্তিঃ হি অন্তরীক্ষ শান্তি হিঃ পৃথিবী শান্তি হি অপ শান্তি হি ঔষধয় শান্তি হি বনস্পতয় শান্তি হিঃ বিশ্বদেবা শান্তি হিঃ শান্তিরেব শান্তি হিঃ ওঁ শান্তি রস্তু শিবাঞ্চাস্তু বিনশ্যত্য শুভঞ্চ যৎ যতঃ। এবা গতং পাপং তত্রৈব প্রতি গচ্ছতু। ওঁ শান্তি ওঁ শান্তি ওঁ শান্তি
ভূতাপসারণ:- এই মন্ত্র বলার সময় শ্বেত সরিষা অথবা আতপ চাল মাথার চারিদিকে ছড়াইবে। মন্ত্র :--- ওঁ অপসর্পন্তু তে ভূতাঃ যে ভূতাঃ ভূমি সংস্থিতাঃ । যে ভূতা বিঘ্ন কর্তারস্তে নশ্যন্তু শিবজ্ঞয়া ।। এবার মস্তকের উপর তিনবার "ফট" মন্ত্রে করতালি দিয়া ভূত অপসারণ ও "তুড়ি" দিয়া দশদিক বন্ধন করিবে। ভূত শুদ্ধি :- নিজের চারিদিকে জলধারা দিয়া 'বং' মন্ত্র উচ্চারন করিয়া হাত জোড় হাত করে বল :----- মন্ত্র :--- ওঁ মূল শৃঙ্গাটাচ্ছিরঃ সুষুম্না পথেন জীব শিবং পরম শিব পদে যোজয়ামি স্বাহা। ওঁ যং লিঙ্গ শরীরং শোষয় শোষয় স্বাহা। ওঁ রং সংকোচং শরীরং দহ দহ স্বাহা। ওঁ পরম শিব সুষুম্না পথেন মূল শৃঙ্গাট মূল্ল সোল্লস জ্বল জ্বল প্রজ্বল প্রজ্বল হংস সোহহং স্বাহা। প্রাণায়াম :- ডান হাতের অঙ্গুষ্ট দ্বারা ডান নাক বন্ধ করে 'ওঁ নমঃ শিবায়' বা 'ওঁ' মন্ত্রে 'চার' বার জপ করিতে করিতে বা নাকে শ্বাস নিবে। তারপর ১৬ বার জব করতে করতে শ্বাস রুদ্ধ রাখবে। পরে ৮ বার জপ করতে করতে শ্বাস ত্যাগ করবে। এইরকম তিনবার করতে হবে।
পুষ্প শুদ্ধি:-- পুষ্প পাত্রে হাত রেখে বল:--- মন্ত্র :--- ওঁ পুষ্পে পুষ্পে মহাপুষ্পে সুপুষ্পে পুষ্প সম্ভবে। পুষ্প চয়াবকীর্ণে চ হূং ফট্ স্বাহা॥ ভূমি শুদ্ধি:- গন্ধ পুষ্প ভূমিতে ফেলিতে ফেলিতে বলিবে:- মন্ত্র :--- ওঁ আঁধার শক্তয়ে নমঃ ওঁ কূর্ম্মায় নমঃ ওঁ অনন্তায় নমঃ ওঁ পৃথিবৌ নমঃ জল শুদ্ধি:- এবার ' ফট ' বলিয়া কোষাকুশীপাত্র ধুবে । পরে ত্রিকোণ মন্ডল আঁকিয়া তাম্র পাত্রটি রাখিবে । পাত্রটি রাখার পর ওঁ মন্ত্র বলিয়া পাত্রে জল দিবে । এবং ফুল দিয়ে মন্ত্র বলিতে বলিতে পূজা করিবে। মন্ত্র :--- ওঁ মং বহির্মন্ডলায় দশ কলাত্মনে নমঃ অং সূর্য মন্ডলায় দ্বাদশ কলাত্মনে নমঃ উং সোম মন্ডলায় ষোড়শ কলাত্মনে নমঃ ---(উপরোক্ত পদ্ধতির দ্বারা কোষাকুশী শুদ্ধ করিতে হবে)--- একটি ত্রিকোণ মণ্ডল আঁকিয়া তার উপর একটি চতুষ্কোণ আকিয়া কোষায় জল ভরিয়া ও চন্দনযুক্ত ফুল ও বিল্ব পত্র দিয়া অঙ্কুশ মুদ্রার দ্বারা জল স্পর্শ করিয়া বল :- মন্ত্র :--- ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরি সরস্বতি। নর্মদে সিন্ধু কাবেরি জলে হস্মিন্ সন্নিধিং কুরু ।। ' ওঁ ' মন্ত্রে জলে গন্ধ পুষ্প দিয়া 'বং' মন্ত্রে ধেনুমুদ্রা দেখাইয়া মৎস মুদ্রা দ্বারা ঢাকিয়া নিজের " বীজ মন্ত্র " দশবার জপ করিবে। জল শুদ্ধির পর ঐ জল বিল্বপত্র দ্বারা পূজোর উপাচারে ও নিজের মাথায় ছিটাইবে ।
কর শুদ্ধি:---- একটি রক্ত বর্ণ পুষ্প গ্রহণ করিয়া ওঁ মন্ত্রে কর দ্বারা পেষণ করিয়া "হে সৌ" মন্ত্রে ঐ পুষ্প ঈশান কোণে ফেলিবে । করন্যাস:---- আং অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নমঃ [ উভয়হস্তের তর্জ্জনী অঙ্গুলী দ্বারা উভয় হস্তের অঙ্গুষ্ঠ স্পর্শ করিবে] ঈং তর্জ্জনীভ্যাং স্বাহা [ অঙ্গুষ্ঠদ্বারা উভয় হস্তের তর্জ্জনী স্পর্শ করিবে] উং মধ্যমাভ্যাং বষট্ [ অঙ্গুষ্ঠদ্বারা উভয় হস্তের মধ্যমা স্পর্শ করিবে] ঐং অনামিকাভ্যাং হূং [ অঙ্গুষ্ঠদ্বারা উভয় হস্তের অনামিকা স্পর্শ করিবে] ঔং কনিষ্ঠাভ্যাং বৌষট্ [ অঙ্গুষ্ঠদ্বারা উভয় হস্তের কনিষ্ঠা স্পর্শ করিবে] অঃ করতল পৃষ্ঠাভ্যা মন্ত্রায় ফট্ [ তর্জ্জনী ও মধ্যমা অঙ্গুলির দ্বারা বাম হস্তের তলদেশে করতল ধ্বনি করিবে] আদিতে "ওঁ" এবং অন্তে "নমঃ" শব্দ যোগ করিয়া নিম্নলিখিত মন্ত্রে নিম্নলিখিতস্থান সমুদয় স্পর্শ করিবে। যথা হৃদি - ওঁ আধারশক্তয়ে নমঃ (এই ক্রমে) প্রকৃত্যৈ, কূর্ম্মায়, অনন্তায়, পৃথিব্যৈ, ক্ষীরসমুদ্রায়, শ্বেতদ্বীপায়, মণিমণ্ডপায়, কল্পবৃক্ষায়, মণিবেদিকায়ৈ, রত্নসিংহাসনায়, দক্ষিণস্কন্ধে ধর্ম্মায়, বামস্কন্ধে জ্ঞানায়, ঊরুদ্বয়ে বৈরাগ্যায়, ঐশ্বর্য্যায়, মুখে অধর্ম্মায়, বামপার্শ্বে অজ্ঞানায়, নাভৌ অবৈরাগ্যায়, দক্ষিণপার্শ্বে অনৈশ্বর্য্যায়, পুনঃ হৃদি অনন্তায়, পদ্মায়, অং অর্কমণ্ডলায় দ্বাদশকলাত্মনে নমঃ, উং সোমমণ্ডলায় ষোড়শকলাত্মনে নমঃ, মং বহ্নিমণ্ডলায় দশকলাত্মনে, হ্রীং জ্ঞানাত্মনে নমঃ। অঙ্গুষ্ঠ যোগে তর্জনী দ্বয়ে - নং তৎপুরুষায় নমঃ। কমন তর্জনী যোগে অঙ্গুষ্ঠ দ্বয়ে - য়ং ঈশানায় নমঃ। প্রথম অঙ্গুষ্ঠ যোগে মধ্যমা দ্বয়ে - মং অখোরায় নমঃ। দ্বিতীয় অঙ্গুষ্ঠ যোগে অনামিকা দ্বয়ে - বাং বামদেবতায় নমঃ। তৃতীয় অঙ্গুষ্ঠ যোগে কনিষ্ঠা দ্বয়ে - শিং সদ্যজাতায় নমঃ। চতুর্থ ***************************************************************************************** ★ন্যাস★অঙ্গন্যাস:-
ব্যাপকন্যাস
ঋষ্যাদিন্যাস:
পীঠন্যাস
শিবের শিবরাত্রিমূর্তিন্যাস --
আসন শুদ্ধি:-- আসনের নিচে ভূমিতে ত্রিকোণ মন্ডল আঁকিয়া পরে একটি ফুল নিয়ে বলিবে :--- মন্ত্র:--- ওঁ হ্রীং আধার শক্তয়ে কমলাসনায় নমঃ পরে আসনে একটি গন্ধ পুষ্প দিয়া বলিবে :--- মন্ত্র:--- 'ওঁ আসন মন্ত্রস্য মেরু পৃষ্ঠ ঋষিঃ সুতলং ছন্দঃ কূৰ্ম্মো দেবতা আসনোপবেশনে বিনিয়োগঃ।' 'ওঁ পৃথ্বি ত্বয়া ধৃতা লোকাঃ দেবি ত্বং বিষ্ণুনা ধৃতা। ত্বঞ্চ ধারয় মাং নিত্যং পবিত্রং কুরু চাসনম ॥' পরে হাত জোড়ে বামদিকে ঝুঁকে বলিবে :--- মন্ত্র:--- ওঁ গুরুভ্যো নমঃ ওঁ পরম গুরুভ্যো নমঃ ওঁ পরাপর গুরুভ্যো নমঃ ওঁ সশক্তি গুরুভ্যো নমঃ ওঁ পরমেষ্টি গুরুভ্যো নমঃ দক্ষিণ দিকে ঝুঁকে বল:--- ওঁ গনেশায় নমঃ মাথার ওপরে :--- ও ব্রহ্মণে নমঃ নিচের দিকে :--- ওঁ অনন্তায় নমঃ বুকের কাছে:--- ও নারায়ণায় নমঃ ওঁ সত্য নারায়ণায় নমঃ
আচমন :- প্রথমে মুখে জলের তিনবার ছিটা দিয়ে ও মুখে হাত দিয়ে মুছে আচমন করিবে। তারপর তর্জনী, মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুলি মিলিত করে মুখ স্পর্শ করিবে। বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনী দ্বারা নাসিকা স্পর্শ করিবে। বৃদ্ধাঙ্গুলি ও অনামিকা দ্বারা চক্ষুদ্বয় ও পরে কর্ণদ্বয় স্পর্শ করিবে। বৃদ্ধাঙ্গুলি ও কনিষ্ঠা দ্বারা নাভিদেশ স্পর্শ করিবে। হস্তদল দ্বারা হৃদয় স্পর্শ করিবে। সমস্ত অঙ্গুলীর দ্বারা মস্তক স্পর্শ করিবে। অঙ্গুলীর অগ্রভাগ দ্বারা বাহুদ্বয় স্পর্শ করিবে। এবং শুচি হইবে । [উপরোক্ত সমস্ত কাজটি বিষ্ণুস্মরণ করিতে করিতে করতে হবে] বিষ্ণুস্মরণ মন্ত্র :----- ওঁ বিষ্ণুঃ ওঁ বিষ্ণুঃ ওঁ বিষ্ণুঃ ওঁ তদবিষ্ণু পরমং পদম্ সদা পশ্যন্তি সুরয়ঃ দিবীব চক্ষুরাততম্ ।। • পরে হাত জোড় করে :----- ওঁ শঙ্খ চক্র ধরং বিষ্ণু দ্বিভূজং পীত বাসসম্। । নমঃ অপবিত্র পবিত্রো বা সর্বাবস্থাং গতোহপি বা । যঃ স্মরেৎ পুণ্ডরীকাক্ষং স বাহ্য অভ্যন্তরঃ শুচিঃ।। নমঃ সর্বমঙ্গল মঙ্গল্যং বরেণ্যং বরদং শুভম্ । নারায়ণং নমস্কৃত্য সর্বকর্মাণী কারয়ে ।। নমোঃ মাধবো মাধবো বাচি মাধবো মাধবো হৃদি। স্মরন্তি সাধবঃ সর্ব সর্বকার্যেষু মাধবঃ নমঃ শ্রী মাধবঃ॥
অগ্নি,দীপ,ধূপ জ্বালাবার মন্ত্র:-----
1. অগ্নি জ্বালাবার মন্ত্র :-----
ওঁ অগ্নিমিলে পুরোহিতং যজ্ঞস্য দেব মৃত্বিজম্।
হোতারং রত্নধাতম্।।
2. দীপ জ্বালাবার মন্ত্র :-----
ওঁ সুপ্রকাশো মহাদীপ সর্বতস্তি মীরাপহঃ
সবাহ্য অভ্যন্তর জ্যোতি দীপ হয়ং প্রতি গৃহ্যতাম।ইতি দীপ।।
3. ধূপ জ্বালাবার মন্ত্র :-----
ওঁ বনস্পতি রসো দিব্যো গন্ধাতোঃ সুমনোহরঃ
আঘ্ৰেয়ঃ সর্বদেবানং ধূপো হয়ং প্রতি গৃহ্যতাম।ইতি ধূপ।।
অর্ঘ্য ---> চন্দন, জল, পুষ্প, আতপ চাল, কুশ, তিল, দূর্বা, সরিসা, যব। সুর্যার্ঘ্য:--- কুশীর মধ্যে দূর্বা চন্দন পুষ্প জল বেলপাতা দু হাতে ধরে বলবে:--- মন্ত্র :--- ওঁ বিবস্বতে ব্রাহ্মণ ভাস্বতে বিষ্ণু তেজসে জগৎ সবিত্রে শুচয়ে সবিত্রে কর্মদায়িতে। ইদ্দমর্ঘং ওঁ নমো ভগবতে শ্রী সূর্যায় নমঃ।। ওঁ এহি সূর্য্য সহস্রাংশে তেজোরাসে জগৎপতে। অনুকম্পায় মাং ভক্তং গৃহাণার্ঘং দিবাকর ॥ জল তাম্র পাত্রে ফেলে দিয়ে হাত জোড় করে বল :--- দ্বারদেবতা & বাস্তুপুরুষ পূজা:---- পুষ্প নিয়ে - " এতে গন্ধে পুষ্পে ওঁ দ্বারদেবতাভ্যোঃ নমঃ " বলিয়া পুষ্প দ্বারে ফেলিবে। এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ ব্রাহ্মণে নমঃ এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁ বাস্তু পুরুষায় নমঃ
পঞ্চামৃত বা মধুপর্ক দধি, দুধ, ঘৃত, মধু, দেশী চিনি, একসঙ্গে মিশ্রিত করে মধুপর্ক তৈরি করা হয়। মধুপর্ক শোধন মন্ত্র :----- ওঁ মধু বাতা ঋতায়তে মধু ক্ষরন্তি সিন্ধবঃ। মাধ্বীর্নঃ সন্তোষধীঃ।। ওঁ মধু নক্ত সু তো ষ সো। মধু মৎ পার্থিবং রজঃ। মধু দ্যৌ রস্তু নঃ পিতা। ওঁ মধুমান্নো বনস্পতি স্মধুমান অন্তু সূর্যঃ মাধ্বীগা ভবন্তু নঃ।। ওঁ মধু ওঁ মধু ওঁ মধু
তিলক- ভক্তগণ কর্তৃক ললাটাদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে অঙ্কিত চিহ্নবিশেষ। সম্প্রদায়ভেদে চন্দন, খড়িমাটি জাতীয় গুঁড়া, ভস্ম প্রভৃতি দিয়ে তিলক অঙ্কিত হয়। কবে কোথায় এর প্রথম প্রচলন হয় তা সঠিকভাবে বলা না গেলেও বৈদিক যজ্ঞানুষ্ঠানে ললাটে হোমভস্মের টিকা ধারণ প্রথার সঙ্গে এর একটা সম্পর্ক আছে বলে মনে করা হয়। সপ্তম শতকে রচিত বাণভট্টের কাদম্বরী গ্রন্থে শিবভক্ত দৃঢ়দস্যু এবং জাবালি ঋষির বর্ণনায় ললাটে ভস্ম দ্বারা ত্রিপুন্ড্র অঙ্কনের কথা জানা যায়, যা থেকে পরবর্তীকালে শৈবদের কপালে তিনটি সমান্তরাল রেখার সমন্বয়ে তিলকচিহ্ন অঙ্কনের প্রথা প্রচলিত হয় বলে অনেকের ধারণা। 10ম-11শ শতকে রচিত বিভিন্ন পুরাণ ও উপপুরাণ থেকে জানা যায় যে, ওই সময় থেকে শৈবাদি সম্প্রদায়ের মধ্যে তিলক ধারণ ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এ সময়ের চর্যাপদেও ‘বাণচিহ্ন’ নামে এ তিলক ব্যবহারের পরিচয় পাওয়া যায়। গবেষকদের অনুমান, তিলক ধারণের প্রথা প্রথমে শৈবদের মধ্যে শুরু হয় এবং তদনুসরণে অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যেও তা বিস্তার লাভ করে।তিলক ধারণের প্রথম অনুপ্রেরণা কোথা থেকে এসেছিল তা সঠিকভাবে বলা যায় না। তবে এটা মোটামুটি নিশ্চিত যে, শৈবাদি বিভিন্ন সম্প্রদায় যেসব ভঙ্গিতে তিলক ধারণ করে তার অনুপ্রেরণা এসেছে স্বস্ব ইষ্ট দেবদেবীর মূর্তিতে অঙ্কিত বিভিন্ন চিহ্ন থেকে। যেমন শৈবদের ললাটে অঙ্কিত ত্রিপুন্ড্র চিহ্ন শিবলিঙ্গ বা শিবের কপালে অঙ্কিত চিহ্নের অনুরূপ। আবার দক্ষিণ ভারতের বিষ্ণুমূর্তির ললাটে অঙ্কিত তিনটি ঊর্ধ্বাধ রেখার সমন্বয়ে অঙ্কিত তিরুনামম্ বা শ্রীনামম্ নামে যে চিহ্ন দেখা যায় তা বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের ব্যবহূত তিলকচিহ্নের অনুরূপ। শক্তিদেবীর ললাটস্থ ত্রিনয়নের নিম্নে যে রক্তবর্ণ বিন্দুচিহ্ন দেখা যায় তার অনুকরণে শাক্তরা কপালে ধারণ করে লাল বিন্দুচিহ্ন। এসব দৃষ্টান্ত থেকে বলা যায় যে, এ তিলকচিহ্ন অনেকাংশেই সম্প্রদায়গত বিশ্বাস, ভক্তি, চিন্তাভাবনা ও স্বাতন্ত্র্যের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয়েছে। তিলকের ব্যবহার সকলের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। সাধারণত নিষ্ঠাবান হিন্দুরা নিত্য, নৈমিত্তিক ও কাম্য এবং পৈত্র্যাদি কর্ম অনুষ্ঠানের পূর্বে তিলকচর্চা করে থাকেন। তবে শৈব, শাক্ত, বৈষ্ণব, সৌর এবং গাণপত্য সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এটি একটি নিয়মিত আচার। এদের মধ্যে আবার বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অধিক। স্নানের পর বৈষ্ণবরা বিষ্ণুর দ্বাদশ নাম স্মরণ করে দেহের দ্বাদশ অঙ্গে তিলক ধারণ করেন। এ দ্বাদশ অঙ্গ ও দ্বাদশ নাম হলো: ললাটে কেশব, উদরে নারায়ণ, বক্ষে মাধব, কণ্ঠে গোবিন্দ, দক্ষিণ পার্শ্বে বিষ্ণু, দক্ষিণ বাহুতে মধুসূদন, দক্ষিণ স্কন্ধে ত্রিবিক্রম, বাম পার্শ্বে বামন, বাম বাহুতে শ্রীধর, বাম স্কন্ধে হূষীকেশ, পৃষ্ঠে পদ্মনাভ এবং কটিতে দামোদর। বৈষ্ণবদের মধ্যে যে বিভিন্ন উপবিভাগ রয়েছে তাদের মধ্যে তিলকচিহ্নেরও রকমফের আছে। যেমন কেউ ইংরেজি ভি-অক্ষর, কেউ ইউ-অক্ষর, কেউবা একরেখ বা অধিকরেখ তিলকচিহ্ন ধারণ করে। এছাড়া অন্যান্য অঙ্গে তারা বিষ্ণুর শঙ্খ, চক্র, গদা ইত্যাদির চিহ্নও ধারণ করে। শৈবরা ললাটে যে তিলকচিহ্ন ধারণ করে তার নাম ত্রিপুন্ড্র। এটি তিনটি সমান্তরাল রেখার সমন্বয়ে রচিত হয়; কখনও ঈষৎ বক্র ও খন্ডচন্দ্রের মতোও হয়। ত্রিপুন্ড্রধারণ শৈবদের জন্য অবশ্যকরণীয়। এতে গঙ্গাস্নান ও বিষ্ণু-মহেশ্বরের কোটি নাম জপের পুণ্য অর্জিত হয় বলে তাদের বিশ্বাস। শৈব তিলকচিহ্নের অন্যান্য রূপ হচ্ছে সবিন্দু অর্ধচন্দ্রাকৃতি, বিল্বপত্রাকৃতি, প্রস্তরগুটিকাকৃতি ইত্যাদি। শাক্ত তিলকচিহ্ন শৈবচিহ্নের প্রায় অনুরূপ। এতে এক বা একাধিক বিন্দুচিহ্নের উপস্থিতি সাধারণ; সে সঙ্গে থাকতে পারে ত্রিপুন্ড্র চিহ্ন, ঈষৎ বক্র একটি রেখা কিংবা অন্য কোনো চিহ্ন। দক্ষিণাচারী, বামাচারী, মহাকালী, শৈব, শাক্ত প্রভৃতি উপসম্প্রদায়ভেদে শাক্ত তিলকচিহ্ন বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। সৌর ও গাণপত্য তিলকচিহ্নের সংখ্যা ও বৈচিত্র্য অপেক্ষাকৃত কম। সৌর সম্প্রদায়ের চিহ্ন দুটি স্থূল সরলরেখার সমন্বয়ে রচিত হয়। দ্বিতীয়টির দৈর্ঘ্য প্রথমটির এক-চতুর্থাংশের কম এবং এটি দুই ভ্রূর মধ্যস্থলে প্রথমটির নিচে কেন্দ্র বরাবর সংযুক্ত থাকে। গাণপত্যদের তিলকচিহ্ন ইংরেজি ইউ-অক্ষরের মতো এবং তার মধ্যস্থলে প্রদীপশিখার মতো একটি রেখা থাকে। তিলকচিহ্ন রচনার জন্য কাঠ বা ধাতু নির্মিত মুদ্রা অথবা অফুটন্ত গাঁদাফুল ব্যবহূত হয়। উপর্যুক্ত তিলকচিহ্নসমূহের ব্যবহারে হিন্দুদের অনেক সামাজিক প্রথার প্রতিফলন লক্ষ করা যায়। তার মধ্যে প্রথমেই উল্লেখযোগ্য বর্ণপ্রথা। বর্ণনির্বিশেষে সকল হিন্দুই তিলক ধারণের অধিকারী হলেও বিভিন্ন পুরাণ ও তন্ত্রগ্রন্থে এ ব্যাপারে কিছু বিধান দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে: ব্রাহ্মণরা ঊর্ধ্বপুন্ড্র, ক্ষত্রিয়রা ত্রিপুন্ড্র, বৈশ্যরা অর্ধচন্দ্রাকৃতি তিলক এবং শূদ্ররা বর্তুলাকার তিলক ধারণ করবে। তবে এ বিধান অপেক্ষাকৃত পরবর্তীকালের এবং বর্তমানে এর তেমন প্রয়োগ নেই। লৌকিক দেবতার পূজার্চনার সঙ্গেও কোনো কোনো তিলকচিহ্নের একটা দূরায়ত সংযোগ লক্ষ করা যায়। যেমন দক্ষিণ ভারতের গঙ্গম্মা দেবীর পূজায় ঘরের দেয়ালে যে চিহ্ন অঙ্কিত হয় তা শৈব ত্রিপুন্ড্রের প্রায় অনুরূপ। এ থেকে আর্য সংস্কৃতির সঙ্গে অনার্য সংস্কৃতির একটা সংমিশ্রণ লক্ষ করা যায়। 12টি স্থানে তিলক লাগানো হয়। মাথা, ললাট, কণ্ঠ, হৃদয়, দুই বাহু, বাহুমূল, নাভি, পিঠ ইত্যাদি স্থানে তিলক লাগানো হয়ে থাকে। তিলকের ব্যবহার সকলের জন্য বাধ্যতা মূলক নয়। সাধারণত নিষ্ঠাবান ভক্তরা নিত্য নৈমিত্তিক ও কাম্য এবং পৈত্র্যাদি কর্ম অনুষ্ঠানের পূর্বে তিলকচর্চা করে থাকেন। তবে বৈদিক সভ্যতার পাঁচ সম্প্রদায় শৈব, শাক্ত, বৈষ্ণব, সৌর এবং গাণপত্য সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এটি একটি নিয়মিত আচার। . এদের মধ্যে আবার বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অধিক। স্নানের পর বৈষ্ণবরা বিষ্ণুর দ্বাদশ নাম স্মরণ করে দেহের দ্বাদশ অঙ্গে তিলক ধারণ করেন। এই দ্বাদশ অঙ্গ ও দ্বাদশ নাম হলো:-. 1.ললাটে কেশব, 2.উদরে নারায়ণ, 3.বক্ষে মাধব, 4.কণ্ঠে গোবিন্দ, 5. দক্ষিণ পার্শ্বে বিষ্ণু, 6.দক্ষিণ বাহুতে মধুসূদন, 7. দক্ষিণ স্কন্ধে ত্রিবিক্রম, 8.বাম পার্শ্বে বামন, 9.বাম বাহুতে শ্রীধর, 10.বাম স্কন্ধে হূষীকেশ, 11.পৃষ্ঠে পদ্মনাভ এবং 12.কটিতে দামোদর। . বৈষ্ণবদের মধ্যে যে বিভিন্ন উপবিভাগ রয়েছে, তাদের মধ্যে তিলক চিহ্নেরও রকমফের আছে। এছাড়া অন্যান্য অঙ্গে তারা বিষ্ণুর শঙ্খ, চক্র, গদা ইত্যাদির চিহ্নও ধারণ করেন। শৈবরা ললাটে যে তিলকচিহ্ন ধারণ করে, তার নাম ত্রিপুন্ড্র। এটি তিনটি সমান্তরাল রেখার সমন্বয়ে রচিত হয়; কখনও ঈষৎ বক্র ও খন্ড চন্দ্রের মতোও হয়। ত্রিপুন্ড্রধারণ শৈবদের জন্য অবশ্যকরণীয়। এতে গঙ্গাস্নান ও বিষ্ণু-মহেশ্বরের কোটি নাম জপের পুণ্য অর্জিত হয়। শৈব তিলক চিহ্নের অন্যান্য রূপ হচ্ছে সবিন্দু অর্ধচন্দ্রাকৃতি, বিল্ব পত্রাকৃতি,প্রস্তরগুটিকাকৃতি ইত্যাদি। তিলক ধারনের প্রয়োজনীয়তা:- বৈষ্ণবের তিলকে অঙ্গ ভূষিত করা প্রয়োজন মন্ত্র উচচারণের মধ্য দিয়ে. যারা তিলক ধারন করেন শ্রীকৃষ্ণ তাদের রক্ষা করেন। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু বলে গেছেন, "বৈষ্ণব হচ্ছেন তিনি, যাকে দেখা মাত্রই শ্রীকৃষ্ণের কথা মনে পড়ে।" তাই মানুষকে শ্রীকৃষ্ণের কথা মনে করিয়ে দিতে বৈষ্ণবের তিলক ধারন করা আবশ্যক। স্কন্ধ পুরানে বলা হয়েছে:- 1.'যিনি তিলক অথবা গোপীচন্দন দ্বারা বিভুষিত হয়ে সমস্ত শরীর ধারন করেন, যমদূত সেই বৈষ্ণবদের কাছে ও আসতে পারেনা। পদ্মপুরানে বর্নিত হয়েছে:-. 1. তিলক ধারন না করে যজ্ঞ, দান, তপ, হোম, বেদপাঠ, পিতৃ তর্পনাদি যা কিছু ধর্ম কার্য করা হয় সে সমস্ত বিফল হয়।. 2. তিলক ধারন না করে সন্ধ্যা বন্দনা সর্বকর্মাচরন নিত্য রাক্ষসের নিমিত্ত হয়, পরিনামে নরক গমন হয় । . তিলক ধারন কতোটা গুরুত্ব পূর্ণ বোঝা যায়। এই তিলক মাটির অভাবে অনেকে শুধু জল দিয়েও দ্বাদশ অঙ্গে মন্ত্র সহকারে তিলক ফোটা দিয়ে থাকেন। তিলক মাটির কথা আমাদের অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগে, তিলকের উৎপওি কিভাবে, তিলকে কে কোথায় বাস করেন, শ্রীকৃষ্ণ কেনো তিলক ধারন করতেন, শ্রীমতি রাধারাণী কেনো তিলক পরেন না, তিলক ছাড়া সন্ধ্যা-বন্দনা হবে না কেনো, যমরাজ কেনো তিলক ধারী বৈষ্ণবকে দেখে পালায় ইত্যাদি সম্পর্কে। "যজ্ঞো দানং তপো হোমঃ স্বাধ্যায়ঃ পিতৃতর্পণম্। ব্যর্থং ভব তত্ সর্বমূর্দ্ধপূনড্রং বিনাকৃতং।।"...(পদ্ম পুরাণ) অর্থাৎ, তিলক ব্যতিরেকে যজ্ঞ, দান, তপস্যা, হোম, বেদ শাস্ত্রাদি পাঠ, পিতৃতর্পণাদি ও শুভ কর্ম যা কিছু করা হয়, সে সমুদয় বৃথা হইয়া থাকে। তিলকের মহিমা:- যা জানতে পারি:--- তিলক না থাকে তবে কপাল শ্মশাণ। সর্বকার্যে তিলক করে শুভ শক্তিদান।। শুভ কার্যে কপালে যদি থাকে তিলক। সর্বলোকে গুন গায় গতি উর্ধ্ব-লোক।। তিলক বিনে গুরু-কৃষ্ণ, সেবা বিফলে গেল ভাই।।" 1.অনামিকা আঙুল দিয়ে তিলক করলে মন ও মস্তিষ্ক শান্তি লাভ করে। 2.মধ্যমার সাহায্যে তিলক করলে আয়ু বৃদ্ধি হয় আবার বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দিয়ে করা তিলক পুষ্টিবর্ধক। 3.তর্জনি দিয়ে তিলক করলে মোক্ষ লাভ করা যায়। অনামিকা আঙুল দিয়ে তিলক করলে মন ও মস্তিষ্ক শান্তি লাভ করে। মধ্যমার সাহায্যে তিলক করলে আয়ু বৃদ্ধি হয় আবার বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দিয়ে করা তিলক পুষ্টিবর্ধক। তর্জনি দিয়ে তিলক করলে মোক্ষ লাভ করা যায়। বিষ্ণু সংহিতা অনুযায়ী, দেব কাজে অনামিকা, পিতৃ কাজে মধ্যমা, ঋষি কাজে কনিষ্ঠা ও তান্ত্রিক কাজে প্রথমা আঙুল ব্যবহার করা হয়। 2. নানা দ্রব্য দিয়ে তৈরি তিলকের উপযোগিতা ও গুরুত্ব পৃথক পৃথক। কুমকুমের তিলক তেজস্বীতা প্রদান করে। জাফরানের তিলক লাগালে সাত্বিক গুণ এবং সদাচারের ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে বৃহস্পতি শক্তিশালী হয় এবং ভাগ্যবৃদ্ধি ঘটে। হলুদের তিলক ত্বক শুদ্ধ করে। পাপ নাশের জন্য চন্দনের তিলক লাগানো হয়। আতরের তিলক লাগালে শুক্র শক্তিশালী হয় এবং ব্যক্তির মন-মস্তিষ্কে শান্তি ও প্রসন্নতা থাকে। গোরচনের তিলক আধ্যাত্মিক উন্নতি ঘটায়। গ্রহ দোষ দূর ও লক্ষ্মীকে প্রসন্ন করার জন্য অষ্টগন্ধের তিলক করা উচিত। বিশুদ্ধ মাটির তিলকে বুদ্ধি ও পুণ্যফল লাভ করা য়ায়। দই বা জলের তিলকে চন্দ্রবলে বৃদ্ধি হয় এবং মন-মস্তিষ্ক শীতল থাকে। 3. ললাটে তিলক লাগালে মস্তিষ্ক শান্ত ও শীতল হয়। এ ছাড়াও বিটাএন্ডোর্ফিন এবং সেরাটোনিন নামক রসায়নের ক্ষরণে ভারসাম্য থাকে। এই রসায়নের অভাবে উদাসীনতা ও হতাশা জন্মাতে শুরু করে। তিলক উদাসীনতা ও হতাশা থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক। এর ফলে মাথা ব্যথাও কম হয়। 4. যে স্থানে তিলক লাগানো হয় সেখানেই আত্মার অবস্থান। এটি আমাদের আত্মসম্মানের প্রতীক। ললাটে ভুরুযুগলের মাঝে, যেখানে তিলক করে থাকি, সেটিকে অগ্নি চক্র বলা হয়। এখান থেকেই পুরো শরীরে শক্তি সঞ্চার হয়। 5. ললাটে ভুরুযুগলের মাঝে নাকের শুরুর স্থানে তিলক করা হয়। এটি আমাদের চিন্তন ও মননের স্থান। এর ফলে চিন্তত ও মনন বৃদ্ধি পায়। এতে স্মরণ শক্তি, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা, বৌদ্ধিকতা, তার্কিকতা, সাহস ও শক্তি বৃদ্ধি হয়। [এই 5 জিনিস খোলা রাখলে দুর্ভাগ্য তাড়া করবে চিরকাল!] 6. ললাটের এই অংশ চেতন ও অবচেতন অবস্থাতেও জাগৃত ও সক্রিয় থাকে, একে আজ্ঞা চক্রও বলা হয়। এই দুইয়ের সঙ্গম বিন্দুতে স্থিত চক্রকে নির্মল, বিবেকশীল, অবসাদ মুক্ত রাখার জন্য তিলক লাগানো হয়। 7. এই বিন্দুতে সৌভাগ্যসূচক দ্রব্য যেমন- চন্দন, জাফরান, কুমকুম ইত্যাদির তিলক লাগালে ব্যক্তি সাত্ত্বিক ও তেজস্বী হয় এবং তাঁর আত্মবিশ্বাসে অভূতপূর্ব বৃদ্ধি হয়। পাশাপাশি মনে নির্মলতা, শান্তি এবং ধৈর্য বৃদ্ধি পায়। 8. ললাটে নিয়মিত তিলক লাগালে মস্তিষ্ক শান্ত থাকে এবং স্বস্তি অনুভূত হয়। পাশাপাশি একাধিক মানসিক রোগও ঠিক হয়। 9. শাস্ত্রে শ্বেত চন্দন, লাল চন্দন, কুমকুম, ভস্ম ইত্যাদির তিলক লাগানো শুভ। 10. তিলক বিজয়, পরাক্রম, সম্মান, শ্রেষ্ঠতা ও আধিপত্যের প্রতীক। বোনের দ্বারা তিলক লাগালে তাঁর সুরক্ষার জন্য এই সমস্ত গুণের বিকাশ হয়। গোপীচন্দন শুদ্ধি এবং মৃত্তিকা শুদ্ধি ওঁ অশ্বক্রান্তে রথক্রান্তে বিষ্ণক্রান্তে বসুন্ধরে। মৃত্তিকা হরমে পাপং যন্ময়া দুস্কৃতং কৃতম।। নমোঃ মাধবো মাধবো বাচি মাধবো মাধবো হৃদি। স্মরন্তি সাধবঃ সর্ব সর্বকার্যেষু মাধবঃ নমঃ শ্রী মাধবঃ॥ ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু এই তিলক ধারণের কিছু নিয়ম কানুন :---- তিলক গুলিবার মন্ত্র:- "ওঁ নমো কেশবানন্ত গোবিন্দ বরাহ পুরুষোত্তম। পূণর্যশাস্যামায়ুস্যং তিলকং মে প্রসীদতু।।" তিলক ধারণ মন্ত্র:- দ্বাদশ অঙ্গে তিলক ধারণের মন্ত্র:- . 1.ললাটে —"শ্রী কেশবায় নমঃ।". 2. উদরে—"শ্রী নারায়নায় নমঃ।" 3.বক্ষে—--"শ্রী মাধবায় নমঃ।". 4. কণ্ঠে—--"শ্রী গোবিন্দায় নমঃ।" 5.ডানকুক্ষিতে—------"শ্রী বিষ্ণবে নমঃ।". 6. ডানহাতে—-----"শ্রী মধুমৃদনায় নমঃ।". 7.ডানস্কন্ধে—--------"শ্রী ত্রিবিক্রমায় নমঃ।". 8.বামকুক্ষিতে—------"শ্রী বামনায় নমঃ।". 9.বামহাতে—------"শ্রী শ্রীধরায় নমঃ।". 10.মস্তকে—--------"শ্রী ঋষীকেশায় নমঃ।". 11.পৃষ্ঠে—-------"শ্রী পদ্মনাভায় নমঃ।" . 12.কোটিতে—--------"শ্রী দামোদরায় নমঃ।" . অতঃপর হস্ত ধৌত জল, “ওঁ নমো ভগবতে বাসুদেবায়ঃ।”— বলে হস্ত ধৌত জল স্বীয় মস্তকে ধারণ করবে।যে কোনও শুভ কাজে যাওয়ার আগে হিন্দু ধর্মে কপালে তিলক কাটার রীতি প্রচলিত আছে। তিলক কাটা অত্যন্ত শুভ। তবে তিলকেরও রকমফের আছে।.
স্বস্তি বাচন
ওঁ স্বস্তি ন ইন্দ্রো বৃদ্ধশ্রবাঃ স্বস্তি নঃ পূষা বিশ্ববেদাঃ ।
স্বস্তি নস্তার্ক্ষ্যো অরিষ্টনেমিঃ স্বস্তি নো বৃহস্পতিদধাতু।
ওঁ গণানাং ত্বা গণপতি হঁং হবামহে
ওঁ প্রিয়াণাং ত্বা প্রিয়পতি হঁং হবামহে
ওঁ নিধিনাং ত্বা নিধিপতি হঁং হবামহে। বসো মম॥
ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি
সুক্ত মন্ত্র
ওঁ দেবো বো দ্রবিণোদাঃ পূর্ণাং বিবষ্ট্বাসিচম্।
উদ্বা সিঞ্চধ্বমুপ বা পৃণধ্বমাদিদ্বো দেব ওহতে॥
ওঁ অয়মারম্ভ শুভায় ভবতু।