তৃষ্ণা মিটাতে যেমন জলের প্রয়োজন তেমনি মুক্তিলাভের জন্যে বেদান্ত জ্ঞান এর প্রয়োজন।
বেদান্ত জ্ঞানহীন ব্যক্তি কখনোই কোনোভাবেই মুক্তির পথ প্রাপ্ত হয় না , তাই মুক্তির জন্যে বেদান্ত জ্ঞান শিক্ষা অতি আবশ্যক।
1.যিনি গুরুপ্রদত্ত বীজ-গায়িত্রীদীক্ষা অথবা সূর্য গায়িত্রী লাভ করেছেন তাকে "দ্বিজ" বলা হয় ।
2.যিনি গুরুপ্রদত্ত ক্রিয়াবিদ্যা লাভ করেছেন অথবা সূর্য গায়িত্রীতে সিদ্ধিলাভ করেছেন তাকে "বিপ্র" বলা হয় ।
3.যিনি গুরুপ্রদত্ত ক্রিয়াবিদ্দ্যা বা ব্ৰহ্মবিদ্দ্যার সাধনা করেছেন তাকে "সাধক" বলা হয় ।
4.যিনি গুরুপ্রদত্ত ক্রিয়াবিদ্দ্যা বা ব্ৰহ্মবিদ্দ্যার সাধনা করেছেন এবং পূর্ণরূপে আহার সংযম করে ব্রতাদি সহকারে সাধনা করেন তাকে "তপস্যাকরি সাধক বা তপস্বী " বলা হয় ।
5.যিনি বিবাহ না করে , গার্হস্থ্যধৰ্ম পালন না করে ,পূর্ণ ব্রহ্মহচর্য্য পালন সহকারে গুরুপ্রদত্ত ব্ৰহ্মবিদ্দ্যার সাধনা করেছেন তাকে "ব্রহ্মচারী-সাধক" বলা হয় ।
6.যিনি গুরুপ্রদত্ত ব্ৰহ্মবিদ্দ্যার সাধনা করেছেন ও দিব্যচক্ষু লাভ করছেন তাকে "যতি" বলা হয় ।
7.যিনি সাধন ও মনন দ্বারা মনকে কূটস্থে বা একাগ্রতা নিয়ন্ত্রণ করেছেন তাকে "মুনি" বলা হয়।
8.যিনি যোগের দ্বারা সাম্য অবস্থা লাভ করেছেন তাকে "যোগী" বলা হয় ।
9.যিনি আত্ম জ্ঞান লাভ করেছেন তাকে "ঋষি অথবা মুক্তপুরুষ" বলা হয় ।
10.যিনি পরমাত্ম জ্ঞান লাভ করেছেন তাকে "মহর্ষি বা যোগীপুরুষ" বলা হয় ।
11.যিনি ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেছেন তাকে বেদের জ্ঞানকাণ্ডের "ব্রাহ্মণ অথবা মহাপুরুষ অথবা ব্রহ্মর্ষি "বলা হয় ।
12.যিনি আত্ম-পরমাত্ম -ব্রহ্মজ্ঞান ও শাস্ত্র এবং তত্ত্ব জ্ঞান লাভ করেছেন তাকে "অবধূত মহাপুরুষ" বলা হয় ।
13.যিনি ব্রহ্মজ্ঞান ও নির্বিকল্প সমাধি দ্বারা ব্ৰহ্মস্থিতি অবস্থা লাভ করেছেন তাকে "জীবকোটি ব্রহ্মর্ষি মহাপুরুষ" বলা হয় ।
14.যিনি ব্রহ্মজ্ঞান ও নির্বিকল্প সমাধি দ্বারা ব্ৰহ্মস্থিতি এবং নির্বীজ সমাধি অবস্থা লাভ করেছেন তাকে "ঈশ্বরকোটি ব্রহ্মর্ষি মহাপুরুষ" বলা হয় ।
15. যিনি ব্রহ্মজ্ঞান ও নির্বিকল্প সমাধি দ্বারা ব্ৰহ্মস্থিতি ও নির্বীজ সমাধি এবং কম্পক্ষে 12000 বার নির্বিকল্প -নির্বীজ সমাধি অবস্থা লাভ করেছেন তাকে "দেবর্ষি"বলা হয় ।