ভাব ও ইস্টদেব এর সম্পর্ক কি কি ??
উত্তর :-
32 লক্ষণ সম্পন্ন মহান সৎগুরু -মহাপুরুষ সেই ধৰ্মপথে প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তির "সমাধিযোগে দিব্যদৃষ্টি এর দ্বারা " কমপক্ষে তিন জন্ম এর "ধৰ্ম যুক্ত কর্ম , আধার ,ভাব, ধর্মস্থিতি ও ইস্ট " দেখে - সেই ব্যাক্তির উপযুক্ত "মন্ত্র - গায়িত্রী - ব্রহ্মবিদ্যা" পশন্তিনাদ থেকে শাস্ত্রানুসারের নির্ণয় প্রথমে করেন l তারপর সেই ধৰ্মপথে প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তির গ্রহ-নক্ষত্র অনুসারে একান্তই তার শুভ তিথি-দিন দেখে
"দীক্ষার" পদ্ধতি শুরু করেন l
একান্তই সেই ধৰ্মপথে প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তির শুভ তিথি-দিন দেখে "মূল দীক্ষার" দিনে প্রথমে গুরুদেব নিজে উত্তর দিকে মুখ করে বসেন এবং শিষ্য রুপি ব্যাক্তিকে পূর্ব দিকে মুখ করে বসতে হয় শাস্ত্রানুসারে , তারপর 32 লক্ষণ সম্পন্ন মহান সৎগুরু -মহাপুরুষ তার দিব্য যোগবলে " পশ্যন্তি নাদ " থেকে শিষ্য রুপি ব্যাক্তির ধৰ্ম যুক্ত কর্ম ও আধার এবং ধর্মস্থিতি উপযুক্ত "বীজমন্ত্র" নামিয়ে নিয়ে এসে শিষ্য রুপি ব্যাক্তির ডানকর্ণে ( মহিলাশিষ্য হলে তার বামকর্ণে ) দিব্য যোগবলে প্রবিষ্ট করিয়ে - সেই মন্ত্রকে " মূলাধার - অনাহত- আজ্ঞl চক্রে " সর্বদা জন্যে প্রতিষ্টিত করে দেন ---(ইহাকে সৎগুরু দীক্ষা পদ্ধতি বলে )
অর্থাৎ গুরু তার সমাধিযোগে দিব্যদৃষ্টি দ্বারা ধৰ্মপথে প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তির তিন জন্ম এর "ধৰ্ম যুক্ত কর্ম , আধার ,ভাব, ধর্মস্থিতি ও ইস্টদেব " দেখেন ও তারপর তার যোগ্যতা অনুসারে পথ নির্দেশ করেন l ধৰ্মপথে প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তি উপরুক্ত সাত ভাব এর কোন ভাব এবং ঈশ্বর এর কোন সাকার স্বরূপ (ইষ্টদেব) এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে শিষ্য মুক্তি লাভ করবে সেটা 32 লক্ষণ সম্পন্ন মহান সৎগুরু তার সমাধিযোগে দিব্যদৃষ্টি দ্বারা দেখে পথ নির্দেশ করেন l
অর্থাৎ আমাদের মূল স্বভাব এ ঈশ্বর এর কোন সাকার স্বরূপ (ইষ্টদেব) এর সঙ্গে যুক্ত মুক্তি লাভ হবে সেটাই ভাব ও ইস্টদেব এর সম্পর্ক l
আমাদের মূল স্বভাব ও স্বরূপ হলো যে আমরা জীবাত্মা , একমাত্র কোনো জীবাত্মা তখনি মুক্ত হয় যখন সে পরমাত্মায় (ইষ্টদেব) যুক্ত হতে পারে , তার আগে না l তাহলে আমরা প্রথমে ভাব শুদ্ধি করে সভাবে স্থিতি হয়ে আত্মজ্ঞান লাভ করে , সেই আত্মজ্ঞান এর দ্বারা মূল স্বভাবে স্থিতি হয়ে ইস্ট প্রাপ্তি হলেই মুক্তি লাভ হয় , তাই ভাব ও ইস্টদেব এর সম্পর্ক েকে ওপরের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত , কখনোই ভাব ও ইস্ট আলাদা করে সাধনা হয় না l ভাব ও ইস্ট ছাড়া সাধনা হয় না l ভাব হলো সাধনা আর ইষ্টপ্রাপ্তি হলো সাধনার পূর্ণ সিদ্ধি l
******************************************************************************************
ভাব সমাধি কাকে বলে ??
উত্তর:-
আমাদের মূল স্বভাব ও স্বরূপ হলো যে আমরা জীবাত্মা l একমাত্র কোনো জীবাত্মা যখন উপরুক্ত 7 প্রকারের ভাব এর মধ্যে কোনো এক প্রকার ভাব যুক্ত হয়ে পরমাত্মায় (ইষ্টদেব) যুক্ত হয়ে অনবরত স্বরূপ ভাবে স্হিতি লাভ করতে সমথ হয় , আর তখন যে সমাধি অবস্থা লাভ হয় তাকে ভাবসমাধি বলে l যখন তখন ভাবসমাধিতে প্রবেশ শক্তি অবশ্য তখনি আসে যখন সাধক প্রথমে "সবিকল্পসমাধি" তারপর "নির্বিকল্পসমাধি" তারপর "নির্বীজসমাধি" স্তর এ যেতে সমর্থ হয়
,তারপর এবং তখনি সাধক যখন তখন ভাবসমাধিতে প্রবেশ করার শক্তি লাভ করতে পারে l অর্থাৎ পূর্ণ মোক্ষ লাভ করার পরই কোনো সাধক যখন তখন ভাবসমাধিতে প্রবেশ শক্তি প্রাপ্ত হয় , তার আগে কোনো কারণেই যখন তখন ভাবসমাধিতে প্রবেশ শক্তি প্রাপ্ত হয় না l ভাবসমাধি হলো পূর্ণ ব্রহ্মজ্ঞান ও পূর্ণ মোক্ষ প্রাপ্তি এর পর "ভাব সহযোগে ইষ্টদেব এর প্রতি পরাভক্তি বা প্রেম " l ইহা শাস্ত্র মতে অতি উচ্চ সাধন অবস্থা l