দীক্ষা চারপ্রকার
সনাতন ধৰ্ম কথা -বেদান্ত তত্ত্ব কথা ................
দিব্যাং জ্ঞানং যতো দদ্যাৎ কুর্যাৎ পাপস্য সংক্ষয়ম |
তস্মাদ্দীক্ষেতি সা প্রোক্তা দেশিকৈস্তত্ত্বকোবিদৈঃ ||
অর্থাৎ "যাতে দিব্যজ্ঞান দান করে এবং পাপের সংক্ষয় করে
ভগবততত্ত্ববিদগণ এজন্যই তাকে দীক্ষা বলে থাকেন। দিব্যজ্ঞান বলতে মন্ত্রে সাক্ষাৎ ভগবত স্বরূপ জ্ঞান এবং সেই ভগবানের সঙ্গে সম্বন্ধ জ্ঞান।
সদ্গুরু এর কাছ থেকে প্রাপ্ত দীক্ষা চারপ্রকার ..................
1. নাম দীক্ষা ------ দীক্ষার প্রথম ধাপ
2. বীজ দীক্ষার সঙ্গে গায়িত্রী দীক্ষা ------ দীক্ষার দ্বীতৃয় ধাপ
3.ক্রিয়াযোগে ক্রিয়াদীক্ষা ------ দীক্ষার তৃতীয় ধাপ
১. যোগ প্রণাম
২. খেচরীমুদ্রা
৩. প্রাণ -অপান= হোম প্রাণায়াম
৪. নাভিক্রিয়া
৫.যোনীমুদ্রা
৬. মহামুদ্রা
উপরোক্ত এই ৬ টি ক্রিয়া একসঙ্গে যিনি প্রাপ্ত হন তাকে ক্রিয়াযোগে ক্রিয়াদীক্ষা প্রাপ্তি বলা হয় ।
4. ব্রহ্মবিদ্যাদীক্ষা ------ দীক্ষার চতুর্থ ধাপ
উপরুক্ত এই চার প্রকার দীক্ষা প্রাপ্তি হলে তাকে সম্পূর্ণ দীক্ষা প্রাপ্তি বলা হয় ।
1. নাম দীক্ষা ------ দীক্ষার প্রথম ধাপ ....এই দীক্ষা দেবার সময় গুরু শিষ্যের অনাহত চক্র এর মধ্যে নাম প্রতিষ্টা করে দেন ।
2. বীজ দীক্ষার সঙ্গে গায়িত্রী দীক্ষা ------ দীক্ষার দ্বীতৃয় ধাপ ...........এই দীক্ষা দেবার সময় গুরু শিষ্যের এর মধ্যে তার নিজের স্বরূপ এর বা কারণ শরীরের মূল সাধন এবং ইস্ট বীজ প্রতিষ্টা করে দেন এবং কুলকুণ্ডলিনীর পূর্ণ জাগরণ ঘটিয়ে দেন এবং অজপা স্তরে যাবার রাস্তা করে দেন ।
3.ক্রিয়াযোগে ক্রিয়াদীক্ষা ------ দীক্ষার তৃতীয় ধাপ ...........এই দীক্ষা দেবার সময় গুরু শিষ্যের মূলাধার , স্বাধিষ্ঠান, মনিপুর , অনাহত, বিশুদ্ধ , আজ্ঞা চক্র এর মধ্যে সাধন এবং ইস্ট বীজ প্রতিষ্টা করে দেন এবং চক্র জাগরণ এর পথ করে দেন এবং অনাহত চক্র এর মধ্যে অনাহত নাদ এর সঙ্গে ইস্ট বীজকে যুক্ত করে এবং চক্র জাগরণ এর পথ করে দেন ও ও কুলকুণ্ডলিনীর ১৬ রকম শিকল বাঁধন খুলে দিয়ে বহুজন্মের কর্মমূল হেতু সুষুন্মার যে দ্বার বহু জন্ম ধরে বদ্ধ ছিল তা খুলে দিয়ে সাধনপথ প্রসস্থ করে দেন ।
4. ব্রহ্মবিদ্যাদীক্ষা ------ দীক্ষার চতুর্থ ধাপ ....এই দীক্ষা দেবার সময় গুরু শিষ্যের দিব্যচক্ষুর 16 টি পর্দা এর মধ্যে 15 টি পর্দা সরিয়ে দিয়ে দিব্যচক্ষু উন্ম্মিলন করে মহা আত্মজ্ঞান লাভের উপযুক্ততা প্রদান করেন এবং মহা মুক্তির অরবর্তী চরম এবং পরম মুক্তির রাস্তা প্রদর্শন করেন ..............এর পর এ সাধক গুরু প্রদত্ত ব্রহ্মবিদ্যার সাধনা করে আত্মজ্ঞান -পরমাত্ত্বজ্ঞান-ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করে চরম এবং পরম মুক্তি অবস্থা প্রাপ্ত হন ।