জ্ঞানকাণ্ড ব্যক্তির সঠিক চারিত্রিক বিবরণ
জ্ঞানকাণ্ড যুক্ত ব্যক্তির এর সঠিক চারিত্রিক বিবরণ:----
কর্মকাণ্ডের উত্তমচরিত্র যুক্ত ব্যক্তি যদি অন্তঃকরনে 100% আসক্তি ও কামনা এবং প্রবৃত্তিমুক্ত অবস্থায় সদাসর্বদাই স্থিতি থেকে নিম্নলিখিত যোগ্যতা অর্জন করতে পারে তাহলে সেই কর্মকাণ্ডের চরিত্র থেকে সেই ব্যক্তি জ্ঞানকান্ডের দিব্য চরিত্রে উত্তীর্ণ যোগ্যতা প্রাপ্ত হবে :..........................
1. 42 বৈদিক অনুশাসনের কায়মনোবাক্যে পূর্ণরূপে প্রতিপালন
2. সাংসারিক সামাজিক এবং সাংসারিক প্রতিটি দায়িত্ব-কর্তব্যের পূর্ণরূপে প্রতিপালন
3. নিজের নিজের নিয়তি কর্মবসত সৎ পথে উপার্জন
4. সর্বাবস্থায়- মন অনুসারে না চলে শাস্ত্র অনুসারে কায়মনোবাক্যে আচরণ
5. কোন ব্যক্তি বা বস্তু বা সম্পত্তি বা ধন বা পদ বা সামাজিক সম্মানের প্রতি আসক্তিহীন ভাবে এই জগত সংসারের সমস্ত সৃষ্টি ঈশ্বরের এই জ্ঞানে কর্ম করা
6. ঈশ্বরীও কর্মের গুরুত্ব জীবনের সর্বাধিক ভাবে প্রাথমিক গুরুত্ব দেওয়া
7. অন্তঃকরণ এ সর্ব লোকের কল্যাণ ভাবনা
8. সাধারণত কী ভাবল বা কিনা ভাবল / কি মনে করলো বা কে কি মনে করলো না —-- এই ভাবনাকে পরিত্যাগ করে শাস্ত্র এবং ধর্ম সম্বন্ধীয় কর্মকে জীবনে সর্বপ্রথম গুরুত্ব দেওয়া
9. আমাদের বাহ্যিক জগত এর প্রত্যেকটা কর্মকে ধর্ম যুক্ত কর্ম করা
10. শাস্ত্র গুরু এবং ইশ্বরের পরম ভক্তিতে প্রতিষ্ঠিত থাকা
11. দরিদ্র ও দুর্বল ব্যক্তিকে নিজের সামর্থ্য ও যোগ্যতা অনুসারে শিব জ্ঞানে জীব সেবা করা
12. শাস্ত্র জ্ঞান অর্জন করে নিজের প্রতিটি কর্মকে শাস্ত্র অনুসারে পরিচালনা করে প্রতিটি আদেশ পালন এবং গুরুসেবা অত্যন্ত আবশ্যক
এই উপরোক্ত যতরকম লক্ষণ বা তার সঙ্গে আরো ছোট ছোট অনেক আনুষাঙ্গিক লক্ষণযুক্ত যে ব্যক্তির চরিত্র তৈরি হয় তাকে বৈদান্তিক জ্ঞানকাণ্ডের চরিত্রের মানুষ বলে ব্যাখ্যা করা হয় এবং ইহাকেই জ্ঞানকান্ডের সঠিক ব্যক্তি চরিত্র বলে ।
যতক্ষণ না কোন ব্যক্তি বৈদান্তিক জ্ঞানকান্ডের জ্ঞানকর্ম চরিত্রে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে ততদিন সে নিত্য-অনিত্য বিচার কোন কারনেই শত চেষ্টাতেও করতে সমর্থ হবে না
তাই নিত্য-অনিত্য বিচার সহকারে 42 বৈদিক অনুশাসন অখন্ড ভাবে প্রতিপালনের দ্বারা পশুত্ব ভাবের পূর্ণরূপে নাশ করার উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথমে বৈদিক জ্ঞানচরিত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা অতি আবশ্যক—-কারণ বৈদিক জ্ঞানকান্ডের জ্ঞানচরিত্র বা ধর্মচরিত্র দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত না হলে কেউ নিত্য-অনিত্য বিচার করতে সমর্থ হয় না
তাই আত্মজ্ঞান লাভের ইচ্ছুক ব্যাক্তি কে সর্বপ্রথম নিজের ব্যক্তিত্বকে জ্ঞান চরিত্রে দৃঢ়রূপে প্রতিষ্ঠা করা অতি আবশ্যক