শাস্ত্রানুসারে -- দীক্ষা যে কোনো লোক দিতে পারে না বা যে কোনো লোকর শাস্ত্র সম্মত লক্ষণ সাধন যোগ্যতা না হয়ে থাকে তার নিজেরও কাহাকেও দীক্ষা দেওয়া উচিত নয় -কারণ তাতে শাস্ত্র বিরুদ্ধে কাজ করে অধঃপাতের কর্ম হয় অথবা যে কোনো লোকের কাছ থেকে দীক্ষা নেওয়া ঠিক না- কারণ ভুল পথে চালতা হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে ।
তাই শাস্ত্র সম্মত লক্ষণ সাধন যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যাক্তির কাছ থেকে সর্বদা দীক্ষা নেওয়া উচিত। শাস্ত্র সম্মত লক্ষণ সাধন যোগ্যতা হীন ব্যাক্তির কাছ থেকে কখনোই দীক্ষা গ্রহণ করা উচিত নয়
।
কারণ শাস্ত্রে আছে যার মধ্যে প্রতক্ষ্য সাধন যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যাক্তির কাছ থেকে সর্বদা দীক্ষা নেওয়া উচিত ...একমাত্র শাস্ত্রানুসারে সেই সেই ব্যাক্তির দীক্ষা দেওয়া শাস্ত্র সম্মত হয়। তাই শাস্ত্র সম্মত লক্ষণ প্রতক্ষ্য সাধন যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যাক্তির কাছ থেকে সর্বদা দীক্ষা নেওয়া উচিত।
এখানে কোন কোন প্রতক্ষ্য সাধন যোগ্যতা হিসাবে কোন কোন দীক্ষা দেবার যোগ্যতা হয় -সেটা আমরা বর্ণনা করবো :---
1. যিনি আত্মজ্ঞান লাভ অথবা ঈশ্বর দর্শন করেছেন --- তিনি শাস্ত্রানুসারে নাম দীক্ষা , বীজ এবং গায়িত্রী দীক্ষা দিতে পারেন।
2. যিনি আত্মজ্ঞান এবং পরমাত্মজ্ঞান লাভ করেছেন --- তিনি শাস্ত্রানুসারে নাম দীক্ষা , বীজ ও গায়িত্রী দীক্ষা এবং ক্রিয়াযোগে ক্রিয়াদীক্ষা দিতে পারেন।
3. যিনি আত্মজ্ঞান ও পরমাত্মজ্ঞান এবং ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করেছেন --- তিনি শাস্ত্রানুসারে নাম দীক্ষা , বীজ ও গায়িত্রী দীক্ষা এবং ক্রিয়াযোগে ক্রিয়াদীক্ষা এবং ব্রহ্মবিদ্যাদীক্ষা দিতে পারেন।
4. যিনি আত্মজ্ঞান ও পরমাত্মজ্ঞান এবং ব্রহ্মজ্ঞান এ ব্রহ্মস্থিতি লাভ করেছেন --- তিনি শাস্ত্রানুসারে নাম দীক্ষা , বীজ ও গায়িত্রী দীক্ষা এবং ক্রিয়াযোগে ক্রিয়াদীক্ষা এবং ব্রহ্মবিদ্যাদীক্ষা ও মুলাসমাধিবিদ্যা দিতে পারেন।
তাই উপরুক্ত প্রতক্ষ্য সাধন যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যাক্তির কাছ থেকে সর্বদা দীক্ষা নেওয়া উচিত।
আর প্রতক্ষ্য সাধন যোগ্যতাহীন ব্যাক্তির কাছ থেকে কখনোই দীক্ষা নেওয়া উচিত নয়-তাতে ধর্মের গ্লানি বাড়ে এবং অধঃপতন হয়।
কোনো আশ্রমের মাহান্ত / মহারাজ , গেরুয়াবস্ত্র বা কথাবার্তা বলার ক্ষমতা , বই পড়া জ্ঞান এর কথা শুনে বা কোনো জড়জাগতিক প্রতিভা দেখে দীক্ষা নেওয়া উচিত নয়।
শাস্ত্রানুসারে প্রতক্ষ্য সাধন যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যাক্তির কাছ থেকে সর্বদা দীক্ষা নেওয়া উচিত এবং দীক্ষার যে শাস্ত্রীয় উদ্দেশ্য সেটা পূর্ণ হয়।
সৎসঙ্গে-প্রকৃত সাধু সঙ্গে-শাস্ত্র অধ্যায়নে -সৎগুরু দীক্ষাতে ও সাধনাতে যে জ্ঞান লাভ হয় তা পৃথিবীর আর কোনো কিছুতে সেই পরম জ্ঞান লাভ হয় না তাই প্রত্যেক ব্যাক্তিকে সৎসঙ্গে-প্রকৃত সাধু সঙ্গে-শাস্ত্র অধ্যায়নে -সৎগুরু দীক্ষা লাভ ও সাধনা করা উচিত