জয়তু ভারতবর্ষ — অখন্ড ভারতবর্ষ
পৃথিবীতে সমুদ্রের উপরে প্রথম স্থলভাগ ভারতবর্ষেই ভেসে ওঠে সিংভূম অঞ্চলে। সিংভূম অঞ্চল বর্তমান ঝাড়খণ্ড রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত।
পৃথিবীর উৎস সূর্য থেকে। সূর্য থেকে পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছে। পৃথিবী সূর্যের এক খাবলা থেকে ছিটকে বেরিয়ে এসেছে। সূর্য থেকে ছিটকে আসা অংশ থেকেই গ্রহগুলির সৃষ্টি। এই গ্রহের প্রথম সমুদ্রতল থেকে জেগে ওঠা স্থলভাগ ভারতবর্ষের সিংভূম।
এই
স্থলভাগটি পৃথিবী একটু ঠান্ডা হলে প্রথম পৃথিবীর বুকে ভেসে ওঠে, এই ভারতবর্ষেই। পৃথিবী শীতল হতে আরম্ভ করার পর এই অংশই প্রথম জলের উপরে জেগে উঠেছিল। পৃথিবীর প্রাচীনতম স্থলভাগ সিংভূম, সমুদ্রতল থেকে মাথা তোলে সবার প্রথম। ঝাড়খণ্ডের সিংভূম আদতে গোটা বিশ্বেরই প্রাচীনতম স্থলভাগ।
সত্যযুগে সসাগরা পৃথিবীর রাজা ছিলেন ঋষভদেবের পুত্র ভরত মহারাজ। যার নাম অনুসারে এই ভারতবর্ষের নাম হয়েছে। কিন্তু বৈদিক শাস্ত্রমতে পুরাকালে সমগ্র পৃথিবীর নাম ভারতবর্ষ।
শ্রীমদ্ভাগবতে বর্ননা আছে এই ভারতবর্ষের সাতটি দ্বীপ ছিল যা বর্তমানে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিন আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ওসিয়ানিয়া। এই পৃথিবী গ্রহ ভারতবর্ষ নামে পরিচিত ছিল।
️সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর যুগের বিবর্তন ও কালের স্রোতে আমরা নানান জাতি, নানান দেশের নাগরিক হয়ে বিভক্ত হয়ে গেছি।
কেউ ভাবছে আমি ভারতীয়,
কেউ ভাবছে আমি আমেরিকান,
কেউ ভাবছে আমি অস্ট্রেলিয়ান,
কেউ ভাবছে আমি ইংরেজ,
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে কেউ বলে না আমরা অখন্ড দেশের অখন্ড জাতি বা জনগন।
শ্রীমদ্ভাগবতে স্পষ্টভাবে লিখিত আছে এই ভারতবর্ষের রাজা ছিলেন মাত্র একজন তার ছিল অখন্ড সাম্রাজ্য, ছিল অখন্ড জনগণ।
বৈদিক শাস্ত্রমতে সসাগরা পৃথিবীর রাজা ছিলেন একজন, সংস্কৃতি ছিল অভিন্ন আর তার নাম বৈদিক সংস্কৃতি।
এখনও আমরা দেখি অস্ট্রেলিয়াতে অনেক সহস্র বছরের পুরানো মন্দির,
ইউরোপ মহাদেশে লক্ষীদেবীর মন্দির,
আফগানিস্থানে বহু হিন্দু মন্দির,
প্রাচীন রোমে সূর্য মন্দির যা আজও বিদ্যমান।
জয়তু ভারতবর্ষ — অখন্ড ভারতবর্ষ॥