সংক্ষিপ্ত গুরু পূজা পদ্ধতি
যে কোন পূজা সংক্ষিপ্ত ভাবে করতে গেলেও কমপক্ষে সর্বপ্রথমেই নিম্নলিখিত পদ্ধতি গুলি সর্ব পূজা বিধির জন্য প্রযোজ্য, তাই সর্বপ্রথমেই নিম্নলিখিত সংক্ষিপ্ত প্রাথমিক পদ্ধতিগুলি প্রত্যেকের শিখে রাখা অতি প্রয়োজন ।
আচমন :- কোশাকুশি থেকে কুশি সাহায্যে জল নিয়ে সেই জল বাম হাতের তালুতে ধারণ করে -ডান হাতের মধ্যমা এবং অঙ্গুষ্ঠ একসঙ্গে স্পর্শ করে বাম হাতের তালু থেকে জল নিয়ে মুখে প্রথমে তিনবার জলের ছিটা দেবে । তারপর হাত ধুয়ে মুখ মুছে হাত জোড় করে আচমন মন্ত্র বলিবে।
“ ওঁ বিষ্ণু- ওঁ বিষ্ণ- ওঁ বিষ্ণু- ওঁ তদ্ বিষ্ণু পরমং পদং সদা পশ্যন্তি সূরয় দিবিব চক্ষু রাততম্ ||”
পরে হাত জোড় করে :- ওঁ শঙ্খ চক্র ধরং বিষ্ণু দ্বিভূজং পীতবাসম্ ||
তারপর আবার হাত জোড় করে :-
“ওঁ নমঃ অপবিত্র পবিত্রবা সর্বাবস্থাং গতো হপিবা
যঃ স্মরেৎ পুন্ডরীকাক্ষং স বাহ্য অভ্যন্তরং শুচি ||”
গন্ধাদির অর্চনা :- “এতভ্যো গন্ধ্যাদিভ্য নমঃ”
[ এই মন্ত্র পাঠ করে কোশার ওপর ফুল বেল পাতা চন্দন নিয়ে সমস্ত উপাচারে তিনবার জলের ছিটা দেবে ]
সূর্যার্ঘ্য :- [ কুশীর মধ্যে দূর্বা , চন্দন, পুষ্প , জল, ফুল, বেলপাতা দুহাতে ধরিয়া বলিবে ]
“ওঁ নমঃ বিবস্বতে ব্রহ্মনে ভাস্বতে বিষ্ণ তেজসে জগৎ সবিত্রে সূচয়ে সবিত্রে কর্মদায়িনে ইদম্ অর্ঘ্যং ওঁ নমঃ ভগবতে সূর্যায় নমঃ ||”
জল তাম্র পাত্রে ফেলে দিয়ে হাতজোড় করে বলেো
"ওঁ জবাকুসুম সঙ্কাসং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম ধন্তারিম সর্বপাপঘনং প্রনতোহস্মি দিবাকরম ৷৷ "
জল শুদ্ধি :- [ একটি ত্রিকোণমন্ডল আকিয়া তার ওপর চতুষ্কোণ একে কোশায় জল ভরিয়া অঙ্কুশ মুদ্রা করিয়া বলো ] -
“ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরী সরস্বতী নর্ম্মদে সিন্ধু কাবেরী জলে হস্মিন সন্নিধং কুরু ||”
এই মন্ত্রপাঠ করার পর জল স্পর্শ করিয়া “ওঁ” মন্ত্র 10বার জপ করিবে || (এরপর 10বার গায়েত্রী মন্ত্র )
আসন শুদ্ধি :- [ আসনের নিচে ত্রিকোণমন্ডল আঁকিয়া তার উপর একটি ফুল দিয়া বলিবে ]
“ওঁ আধার শক্তয়ে কমলাসনায় নমঃ”
আসনে যেখানে ফুল দেওয়া হয়েছে সেখানে ধরে বলিবে -
“ ওঁ আসন মন্ত্রস্যা মেরুপৃষ্ট ঋষি: সুতলং চান্দ কুম্মো দেবতা আসনোপবেশনে বিনিযোগ” -
“ওঁ পৃথ্বিত্ত্বয়া ধৃতা লোকা তঞ্চ ধারয় মং নিত্যং পবিত্রং করু আসনম ||”
তারপর হাত জোড় করে বামদিকে ঝুঁকে বলো - ওঁ গুরুবে নমঃ , ডানদিকে ঝুঁকে বলো - ওঁ গণেশায় নমঃ, মাথার ওপর হাত রেখে বলো - ওঁ ব্রহ্মনে নমঃ, নিচের দিকে হাত জোড় করে বলো - ওঁ অন্ততায় নমঃ , বুকের মাঝে হাত জোড় করে বলো - ওঁ নারায়নায় নমঃ- ওঁ সত্য নারায়নায় নমঃ
পুষ্প শুদ্ধি :- পুষ্প পাত্রের উপর হাত রেখে বলো -
“ওঁ পুষ্পে পুষ্পে মহাপুস্পে সুপুষ্প পুষ্প সম্ভবে পুষ্প চয়াবকির্নে চ ওঁ ফট স্বহা ||”
কর শুদ্ধি :- একটি রক্তবর্ণ পুষ্প লইয়া " ওঁ " মন্ত্রে কর দ্বারা পেষণ করিয়া " হেঁসৌ" মন্ত্রে ঐ পুষ্প ঈশানকোণে ফেলিবে।।
অঙ্গন্যস ক্রম:- আং হৃদয়ায় নমঃ |
ঈং শিরসে স্বহাঃ |
উং শিখায়ে বষট্ |
ঐং কবচায় হূং |
ওঁ নেত্রাভ্যং বষট্
আং করতল পৃষ্ঠাভ্য মন্ত্রায় ফট্ |
করন্যাস :- আং অঙ্গুষ্ঠাভ্যাং নমঃ
ঈং তর্জনীভ্যং স্বহা
উং মধ্যমাভ্যং বষট্
ঐং অনামিকাভ্যং হূং
ওঁ কনিষ্ঠাভ্যং বষট্
আং করতল পৃষ্ঠাভ্য মন্ত্রায় ফট্ ||
[ তর্জনী ও মধ্যমাঙ্গুলী দ্বারা বামহস্তের তলদেশে করতল ধ্বনি করিবে ]
দ্বারদেবতার পূজা :- পুস্প নিয়ে " এতে গন্ধপুষ্প ওঁ দ্বারদেবতাভ্যং” বলিয়া পুষ্প দ্বারে ফেলিতে হবে ৷
ভূতাপসারন :- এই মন্ত্র বলিবার সময় আতপ চাল মাথার চারিদিকে ছিটাইবে এবং নিচের মন্ত্র বলিবে৷
" ওঁ অপসর্পন্তু যে ভূতা যে ভূতা ভূমি সংস্থিতা যে ভূতা বিঘ্ন কর্তারস্তে নাশ্যন্তু শিবজ্ঞয়া ৷”
[ এরপর মস্তকের উপর তিনবার 'ফট ' মন্ত্র বলে করতালি দিয়া ভূত অপসারন ও তুড়ি দ্বারা দশ দিক বন্ধন করিবে৷ ]
চন্দন লিপ্ত করিয়া একটা একটা করে সাদা দুর্গা পুষ্প নিয়ে নিচের প্রতিটি মন্ত্র প্রতিবার বলে পূজার তামার পাত্রে দাও:-
এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ গনেশায় নমঃ
এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ সূর্যায় নমঃ ( সাদা দুর্গা পুষ্প এর সঙ্গে লাল জবা পুষ্প দাও)
এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ দুর্গায় নমঃ ( সাদা দুর্গা পুষ্প এর সঙ্গে লাল জবা পুষ্প দাও)
এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ বিষ্ণু দেবায় নমঃ ( সাদা দুর্গা পুষ্প এর সঙ্গে তুলসীপত্র দাও)
এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ শিবায় নমঃ ( বেলপত্র এর সঙ্গে ধুতরা ফুল দাও )
এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ গুরুবে নমঃ
এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ আদিত্যাদি নবগ্রহভ্য নমঃ
এতে গন্ধপুষ্পে ইন্দ্রাদি দশদিক পালেভ্য নমঃ
এতে গন্ধপুষ্পে সর্বেভ্য দেবেভ্য নমঃ
এতে গন্ধপুস্পে সর্বেভ্য দেবীভ্য নমঃ
এতে গন্ধপুস্পে বাস্তুপুরুষ দেবায় নমঃ
এতে গন্ধপুস্পে দ্বারদেবতায় নমঃ
{ বিশেষ নির্দেশ:- এবার মূল যে দেবতার পূজা করা হবে তার মন্ত্র বলে নিচের পূজা করতে হবে—----------- প্রতিটি দেব/দেবীর পূজা এই সংক্ষিপ্ত পূজা পদ্ধতিতে পূজা করা যাবে কিন্তু এই নিচের উপাচার পূজা একমাত্র মূল যে দেব/দেবীর পূজা করা হবে -সেক্ষেত্রে সেই দেব বা দেবীর মন্ত্র বলতে হবে বাকি পদ্ধতি সব একই থাকবে |)
শ্রীগুরুদেবের মূল উপচার পূজা :- (গুরুপূজা) [তিন বার গুরু গায়ত্রী মন্ত্র জপ]
(যে দেবতার পূজা করা হবে সেই দেবতার গায়ত্রী বলতে হবে গায়ত্রী জানা না থাকলে সেই দেবতার মন্ত্র বলতে হবে যেমন এক্ষেত্রে “ওঁ গুরুবে নমঃ” )
" এতদ্ পাদ্যং ওঁ গুরুবে নমঃ | " ( পাত্রে একটু জল দিবে)
" ইদম্ অর্ঘ্যং ওঁ গুরুবে নমঃ | " ( শঙ্খ এ জল নিয়ে আরতির মত করে দেখাবে )
" ইদম্ আচমনীয়ং জলং ওঁ গুরুবে নমঃ | " ( পাত্রে একটু জল দেবে)
"এস মধুপর্ক ওঁ গুরুবে নমঃ | " ( দধি, ঘী, মধু জল পাত্রে দাও -না থাকিলে চন্দন জল পাত্রে দাও)
(নিচের মন্ত্র গুলি পাঠ করিতে করিতে দুধ বা জল দ্বারা শিবলিঙ্গকে স্নান করাইতে করাইতে উচ্চারণ করিবে )
" এতদ্ স্নানীয় জলং ওঁ গুরুবে নমঃ" ৷ ( তিনবার মন্ত্র বলে পাত্রে 3 বার জল দাও)
তারপর পুনরায়:-----
এষ গন্ধ ওঁ গুরুবে নমঃ (পাত্রে চন্দনের ছিটা দেবে)
গুরু পুষ্পাঞ্জলী মন্ত্র:- মন্নাথঃ শ্রী জগন্নাথে মদ্ গুরুঃ শ্রী জগদ্ গুরুঃ, মদাত্মা সর্বভূতাত্মা তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ- এতদ্ পুষ্পং ওঁ গুরুবে নমঃ ৷ (এই মন্ত্র বলে - পাত্রে 3 বার পুষ্প দাও) ||
এরপর হাত জোড় করে প্রণাম এর মতন করে বল:- গুরু ব্রহ্মা গুরু বিষ্ণু গুরুদেবো মহেশ্বরঃ গুরুদেব পরং ব্রহ্ম তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ ||
এষ ধূপ ওঁ গুরুবে নমঃ (পাত্রে / গুরুর প্রতিচ্ছবি সামনে আরতির মত করে কমপক্ষে 3 বার ধূপ দেখাবে)
এষ দীপ ওঁ গুরুবে নমঃ (পাত্রে / গুরুর প্রতিচ্ছবি সামনে আরতির মত করে কমপক্ষে 3 বার দীপ দেখাবে)
ভোগ নিবেদন :-
ওঁ এতস্মৈ সোপকরন্মায় নম: (ভোগ থালার উপর জলের ছিটা দাও)
এতে গন্ধপুষ্প ওঁ এতস্মৈ সোপকরন্মায় নম: (নৈবেদ্য উপর পুষ্প দাও)
ওঁ অমৃতপস্তরন মসি স্বহা (তাম্রপাত্রে জল দাও)
ইদম্ আচমনীয় জলং ওঁ গুরুবে নমঃ (তাম্রপাত্রে জল দাও)
ইদম্ পানার্থ জলং ওঁ গুরুবে নমঃ (গ্লাসে খাবার জল দাও এবং দশবার “ওঁ” মন্ত্র জপ কর)
এষ সোপকরন ফলং মিষ্টি নৈবদ্যং পঞ্চ প্রনয় স্বহা ওঁ নমঃ গুরুদেবায় নিবেদয়ামি ৷ ( এবার হাতে গ্লাসের মত করে কোথা থেকে কুশীতে জল নিয়ে মন্ত্র পড়ে জল দেবে )
তারপর দরজা বন্ধ করে বাইরে যেতে হবে অথবা চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ বসে থাকতে হবে এবং মনে মনে “ওঁ” মন্ত্র জপ করা উচিত - তারপর পুনরায় চোখ খুলে বা ওই ঘরে প্রবেশ করে নিচের পদ্ধতিটি করতে হয়
ইদম্ পুনরাচমনীয়ং জলং ওঁ গুরুবে নমঃ ( তাম্রপাত্রে জল দাও)
এরপর সমস্ত ধ্যানমন্ত্র, প্রনাম মন্ত্র ,স্তোত্র , শ্লোক পাঠ করে, প্রনাম করে গুরু পূজা শেষ করিবে৷
গুরুর ধ্যানমন্ত্র:-
ধ্যায়েচ্ছিরসি শুক্লাব্জে দ্বিনেএং বিভুজং গুরুম্ ||
শ্বেতাশ্বরপরিধানং শ্বেতমাল্যনুলেপনম্ |
বরাভয়করং শান্তং করুণাময়বিগ্রহম্ ||
বামেনোৎপলধারিন্যা শক্ত্যালিঙ্গিত - বিগ্রহম্ |
স্মেরাননং সুপ্রসন্নং সাধকাভীষ্টদাযকম্ ||
ওঁ গুরুবে নমঃ || (তারপর 3 বার গুরু গায়িত্রী)
তারপর নীচের মন্ত্র পাঠ করিতে করিতে জোড় হাতে প্রনাম করিবে ৷
ওঁ অখন্ড মঙ্গলকারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম্ |
তৎ পদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ ||
অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য জানাঞ্জনশলাকয়া |
চক্ষুরুন্মীলিতং যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ ||
গুরু ব্রহ্মা গুরু বিষ্ণু গুরুদেবো মহেশ্বরঃ |
গুরুদেব পরং ব্রহ্ম তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ ||
স্থাবরং জঙ্গমং ব্যাপ্তং যেন কৃৎস্নং চরাচরম্ |
তৎপদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরুবে নমঃ ||
চিদ্ রূপেন পরিব্যাপ্ত ত্রৈলোকং সচরাচরম্ |
তৎ পদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ ||
সর্ব শ্রুতি শিরোরত্ন- সমুদ্ভাসিতমুর্ত্তয়ে ৷
বেদান্তাস্বুজ - সূর্য্যায় তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ ||
চৈতন্যং শাশ্বতং শান্তং ব্যোমা তীতং নিরঞ্জনম ৷
বিন্দুনাদকলাতীত তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ ||
জ্ঞানশক্তিসমরূঢ়স্তত্ত্বমালা বিভূষিতঃ |
ভুক্তি মুক্তি প্রদাতা চ তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ ||
অনেকজন্মসম্প্রাপ্ত - কর্ম্ম বন্ধবিদাহিনে ৷
আত্মজ্ঞানাগ্নিদানেন তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ ||
শোষণং ভবসিন্ধোশ্চ প্রাপনং সারসম্পদঃ |
যস্য পাদোদকং সম্যক্ তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ ||
ন গুরোর ধিকং তত্ত্বং ন গুরোর ধিকং তপঃ |
তত্ত্ব জ্ঞানাৎ পরং নাস্তি তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ ||
মন্নাথঃ শ্রী জগন্নাথে মদ্ গুরুঃ শ্রী জগদ্ গুরুঃ |
মদাত্মা সর্বভূতাত্মা তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ ||
গুরুরাদিনদিশ্চ গুরু পরমদৈবতম্ |
গুরোঃ পরতং নাস্তি তস্মৈ শ্রী গুরুবে নমঃ ||
ওঁ শ্রী গুরুবে নমঃ ওঁ শ্রী গুরুবে নমঃ ওঁ শ্রী গুরুবে নমঃ
গুরু প্রণাম মন্ত্র:- ব্রহ্মানন্দং পরমসুখদং কেবলং জ্ঞানমূর্ত্তিম্ |
দ্বন্দতীতং গগনসদৃশং তত্ত্বমস্যাদিলক্ষ্যম্ ||
একং নিত্যং বিমলমচলং সর্ববধীসাক্ষীভূতম্ |
ভাবাতীতং ত্রিগুনরহিতং সদগুরুং তং নমাম্যহমা ৷৷
ওঁ শ্রী গুরুবে নমঃ ওঁ শ্রী গুরুবে নমঃ ওঁ শ্রী গুরুবে নমঃ ৷৷ (জোড় হাতে প্রনাম করতে করতে বল)
[এরপর দুহাতে করে ধরে ভোগ থালা ও জল পাত্র নাড়া দাও]
ওঁ গুরুবে নমঃ [ দশবার মন্ত্র জপ ]
শেষে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করে তিনবার শঙ্খধ্বনি করিবে
সংক্ষিপ্ত গুরু পূজা পদ্ধতি এখানেই সমাপ্ত