পশুবলি
বলিদান প্রথার শাস্ত্রীয় ভিত্তি:---
পশুবলি সংক্রান্ত বেদ প্রমাণ:----
শাস্ত্রে পশুবলির সনাতন স্বীকৃতি:-----
দেবীপুরাণ স্বয়ং ব্রহ্মা বলেছেন-
ব্রহ্মোবাচ-
যজ্ঞার্থে পশবঃ সৃষ্টা যজ্ঞেম্বেষাং বধঃ স্মৃতঃ ।
অন্যত্র ঘাতনাদ্দোষো বাঙ্মনঃকায়কর্ম্মভিঃ ।।
দেবার্থে পিতৃকার্যেষু মনুষ্যর্থে পুরন্দর ।
বধয়ন্ ন ভবেদেন অন্যথা মহাকিল্বিষী ।।
নবকৃষরপূপাণি পায়সং মধুসর্পিষী।
বৃথামাংসঞ্চ নাশ্নীয়াদ্দেবপিতৃ অহোমিতম্।।( দেবীপুরাণ- ৯৭/৩-৫)
ব্রহ্মা বললেন, হে পুরন্দর ! যজ্ঞের জন্যই পশুর সৃষ্টি । যজ্ঞে তাদের বধ শাস্ত্রে বিহিত রয়েছে । যজ্ঞের কার্য্যে , বাক্য , মন , কায় ও কর্ম ছাড়া বাকী কর্মে পশুঘাত করলে পাপ হয়।
দেবকার্য্যে, পিতৃকার্য্যে ও মনুষ্যকৃত্যে পশুবধ করলে পাপ হয় না। এর বিপরীতে করলে বরং পাপ হয় ।
দেবতা ও পিতৃগণকে নিবেদিন না করে নূতন কৃষর, পিঠা, পায়স, মধু, ঘৃত ও দেবতাকে অনিবেদিত বৃথামাংস ভক্ষণ করবে না।"
এছাড়াও পশুবলি প্রসঙ্গে বরাহপুরাণে বলা হচ্ছে,
বরাহ উবাচঃ
মার্গমাংসং ভরং ছাগং শাকং সমনুধুজ্যতে ।
এতান্ হি প্রাপণে দদ্যান্মম্ম চৈতৎ প্রিয়াবহম্ ।।
বুজানো বিততে যজ্ঞে ব্রাহ্মণে বেদপারগে ।
ভাগো মমান্তি তত্রাপি পশূনাং ছাগ্লস্য চ ।। ( বরাহ পুরাণ-১১৯/১১-১৫ )
"মৃগমাংস , ছাগ মাংস ও শসমাংস আমার অতি প্রিয় । সুতরাং এসব আমাকে নিবেদন করে দেবে। বিস্তৃত যজ্ঞে ছাগ ও অনান্য পশু দান করে বেদপারগ ব্রাহ্মণ কে সমর্পণ করলে আমি তাহার অংশভাগী হই।
এছাড়াও অষ্টাদশ পুরাণের শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণেয় ও বলি সম্পর্কে বলা হচ্ছে,
অর্চিষ্যন্তি মনুষ্যাস্ত্বাং সর্বকামবরেশ্বরীম্ ।
ধূপোপহারবলিভিঃ সর্বকামবরপ্রদাম্ ।।( শ্রীমদ্ভাগবত: ১০/ ২/১০)
"তুমি সর্বলোকের সকলের প্রার্থনাপূরণকারিণী বরদাদেবীরূপে পূজিতা হবে। লোকে ধূপ,প্রদীপ, উপহার এবং বলি দ্বারা সকল মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্যে তোমার পূজা করবে।”
পদ্মস্থা চর্চ্চিকা রৌপ্যা ধর্মকামার্থমোক্ষদা ।
প্রেতস্থা সর্ব্বভয়হা নিত্যং পশুনিপাতনাৎ ।।( দেবীপুরাণ-২৩/১৬)
"কমলাসনা দেবীমূর্তি আরোগ্য, ধর্ম, কাম, অর্থ ও মুক্তি প্রদান করেন। প্রেতাসনা দেবী পশুবলি গ্রহণ করে নিত্য সর্ববিধ ভয় হরণ করেন।”
উপরের প্রমাণ থেকে এটা সুস্পষ্ট যে শাস্ত্রে বলিদানের বিধান রয়েছে। তাই আপনারা যারা শক্তি পূজায় বলি দিতে মনস্থির করেছেন নির্দ্বিধায় আপনারা বলিদান করুন।
উপ প্রাগাচ্ছসনং বাজ্যর্বা দেবদ্রীচা মনসাদীধ্যানঃ।
অজঃ পুরো নীয়তে নাভিরস্যানু পশ্চাৎকবয়ো যন্তি রেভাঃ।।[ঋগ্বেদ - ১/১৬৩/১২]
অনুবাদঃ এই তুর্ণগামী অশ্ব একমনে দেবগণকে ধ্যান করতে করতে বধ্যস্থানে গমন করিতেছে। উহার বন্ধুতুল্য ছাগলকেও বলির জন্য অগ্রে লইয়া যাওয়া হইতেছে এবং স্তোত্রপাঠক কবিগণ উহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ গমন করিতেছে।
উপ প্রাগাৎ পরমং যৎ সধস্থনবী অচ্ছা পিতরং মাতরং চ।
অদ্যা দেবাঞ্জুষ্টতমো হি গম্যা অথা শান্তে দাশুষে বার্ষাণি॥১৩॥[ঋগ্বেদ- ১/১৬৩/১৩]
অনুবাদ:- দ্রুতগামী অশ্ব, পিতা ও মাতাকে প্রাপ্ত হবার জন্য উৎকৃষ্ট একত্র নিবাসযোগ্য স্থানে গমন করছে। হে অশ্ব। অদ্য অত্যন্ত প্রীত হয়ে দেবগণের নিকট গমন করো, যেন হব্যদাতা করণীয় ধন প্রাপ্ত হয়।।১৩।।
এরপর যজুর্বেদে যজ্ঞে বলিকৃত পশুদের উদ্যেশ্যে বলা হচ্ছে ...
"ন বা উ এতন্ম্রিয়সে ন রিষ্যসি দেবা ইদেষি পথিভিঃ সুগেভিঃ |
যত্রাসতে সুকৃতো যত্র তে যযুস্তত্র ত্বা দেবঃ সবিতা দধাতু ||"[শুক্ল যজুর্বেদ - ২৩/১৬]
অনুবাদঃ হে অশ্ব ! তুমি এই ভেবে দুঃখ করো না যে আহুতি প্রদান কালে তুমি সত্যিই মরে যাচ্ছো । তুমি কিন্তু আসলেই বিনষ্ট হচ্ছ না, বরং তুমি অতি সহজ ও উত্তম পথে দেবতাদের নিকট স্বর্গলোক প্রাপ্ত হচ্ছ। শোভন গমনযোগ্য উত্তম পথে তুমি দেবতার কাছে যাও, সুকৃত (পুণ্যাত্মা) ব্যক্তিগণ যেখানে অবস্থান করেন, হিতকারী জনগণ যেখানে যান, সবিতা দেব তোমাকে সে লোকে স্থাপন করুন।
"বায়ব্যং শ্বেতমা লভে ভূতিকামো।।"[কৃষ্ণ যজুর্বেদ - ২/১/১/১]
অনুবাদঃ ভূতকামী অর্থাৎ অষ্ট ঐশ্বর্যকামী ব্যক্তি বায়ুদেবের উদ্যেশ্যে শ্বেত বর্ণের পশুকে যজ্ঞে আহুতি দেবে।
সায়ণ ভাষ্য:- প্রথমানুবাক্যস্যাহদাবৈশ্বর্যকামিনঃ পশুং বিধত্তে।
অনুবাদ:- এই অনুবাকে ঐশ্বর্যকামী যজমানের যাগের যোগ্য পশুর বিষয় কথিত হয়েছে।
এর নিচে আরো বলা হয়েছে যে
" যো দীক্ষিত যদগ্নীষোমীয়ং পশুমালভত .... " [কৃষ্ণ যজুর্বেদ - ৬/১/১১/৬]
অনুবাদঃ যে সকল দীক্ষিত ব্যক্তি আছেন, তারা সকলেই অগ্নিষ্টোম যজ্ঞে পশুর উৎসর্গ বা বলি দিবে।
মনুসংহিতা ৫ম অধ্যায়:--
যজ্ঞার্থং পশবঃ সৃষ্টাঃ স্বয়মেব স্বয়ম্ভুবা।
যজ্ঞস্য ভূত্যৈ সর্বস্য তস্মাদ্যজ্ঞে বধোহবধঃ ॥ ৩৯
বাংলা: ব্রহ্মা নিজেই যজ্ঞের জন্য পশুগণকে সৃষ্টি করেছেন। যজ্ঞ সকলের উন্নতির কারণ ; সুতরাং, যজ্ঞে পশুহত্যা 'হত্যা' নয়।
মনুসংহিতা ৫ম অধ্যায়:--
ওষধ্যঃ পশবো বৃক্ষাস্তির্যঞ্চঃ পক্ষিণস্তথা।
যজ্ঞার্থং নিধনং প্রাপ্তাঃ প্রাপ্নুবন্ত্ত্যচ্ছ্রিতীঃ পুনঃ ॥ ৪০
বাংলা: ওষধি (যে গাছ ফল পাকলে মরে যায়), পশুগণ, বৃক্ষসমূহ, কচ্ছপাদি তির্যগ্জাতি ও পক্ষিগণ যজ্ঞের জন্য নিহত হলে আবার উচ্চ জন্ম লাভ করে।
এই শ্লোকদ্বয়ের মাধ্যমে বলা হয়েছে যে, যজ্ঞ বা বলির উদ্দেশ্য হচ্ছে দেবতার তুষ্টি ও সকল জীবের মঙ্গল। এখানে পশুহত্যা “হত্যা” নয়, বরং একপ্রকার ধর্মীয় অনুশাসন।
প্রকৃতি খণ্ড, অধ্যায় ৬৪:---
বলিদান বিধানঞ্চ ক্রয়তাং মুনিসত্তম ।
মায়াভিং মহিষং ছাগং দদ্যান্মেষাদিকং শুভং ॥ ৯১ ॥
প্রকৃতি খণ্ড, অধ্যায় ৬৪:---
সহস্রবৰ্ষং সুপ্রীতা দুর্গামায়াতি দানতঃ ।
মহিষেণ বর্ষশতং দশবর্ষঞ্চ ছাগলাও ॥ ৯২ ॥
প্রকৃতি খণ্ড, অধ্যায় ৬৪:--
বর্ষং মেষেণ কুষ্মাণ্ডৈঃ পক্ষিভিহ রিণৈস্তথা।
দশবর্ষং কৃষ্ণসারৈঃ সহস্রাব্দঞ্চ গণ্ডকৈঃ ॥ ৯৩॥
বাংলা: শ্রীনারায়ণ নারদকে বললেন, হে দেবর্ষে! এক্ষণে বলিদান বিধান তোমার নিকট কীৰ্ত্তন করিতেছি শ্রবণ কর। সুবিজ্ঞ ব্যক্তি দেবীর প্রীতির জন্য সুলক্ষণাক্রান্ত মহিষ, ছাগ ও মেয়াদি পশু বলি প্রদান করিবে।
মহিষ বলিদানে শত বর্ষ, ছাগ বলিদানে দশ বর্ষ, শেষ পক্ষী হরিণ ও কুষ্মাণ্ড বলিদানে একবর্ষ, কৃষ্ণসার বলিদানে দশ বর্ষ ও গণ্ডক বলিদানে সহস্ৰ বৰ্ষ ভগবতী দুর্গাদেবী বলিদাতা পূজকের প্রতি প্রসন্না হইয়া থাকেন।
এই অংশে স্পষ্টতই বলা হয়েছে, বলির মাধ্যমে দেবীকে সন্তুষ্ট করা যায়, এবং বিভিন্ন প্রাণীর বলিদানের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদে দেবীর কৃপা লাভ হয়। শাক্তপুজোয় বলি আবশ্যক।
কালিকাপুরাণ, অধ্যায় ৫৫, শ্লোক ১০:---
যজ্ঞার্থে পশবঃ সৃষ্ট্বা স্বয়মেব স্বয়ম্ভুবা।
অতস্ত্বাং ঘাতয়ামাদ্য তস্মাদ্ যজ্ঞে বধোহবধ:।।
ঐং হ্রীং শ্রীং ইতি মন্ত্রেণ তং বলিং কামরূপিণম্।।
বাংলা: ঈশ্বর স্বয়ং যজ্ঞের জন্য সকল প্রকার পশুর সৃষ্টি করেছেন, এই জন্য আমি তোমাকে হত্যা করি, তাই যজ্ঞে পশুহত্যা হিংসার মধ্যে গণ্য হয় না। (বধোহবধ: শব্দের অর্থ—বধ হয়েও অবধ, অর্থাৎ এটি আসলে বধ নয়)।
তারপর মন্ত্রে বলির পশুকে কামরূপ কল্পনা করে এক আঘাতে বলিচ্ছেদ করতে হবে।
কালিকা পুরাণ, অধ্যায় ৫৫, শ্লোক ১-৪:---
বলিদানং ততঃ পশ্চাৎ কুর্য্যাদ্দেব্যাঃ প্রমোদকম্ ।
মোদকৈর্গজবক্ত্ঞ্চ হবিষা তোষয়েদ্রবিম্ ।।
তৌর্যত্রিকৈশ্চ নিয়মৈঃ শঙ্করং তোষয়েদ্ধরিম্ ।
চণ্ডিকাং বলিদানেন তোষয়েৎ সাধকঃ সদা ।।
পক্ষিণঃ কচ্ছপা গ্রাহাশ্চাগলাচ বরাহকাঃ।
মহিষো গোধিকাশীষা তথা নববিধা মৃগাঃ ।।
চামরঃ কৃষ্ণসারশ্চ শশঃ পংচাননস্তথা মৎস্যাঃ।
স্বগাত্ররুধিরাধা বলয়া মতাঃ।।
বাংলা: তারপর, দেবীর উদ্দেশ্যে বলি দাও। কারণ, গণপতি মোদকে, বিষ্ণু ঘি দিয়ে, শিব সংগীতে ও আমাদের আদিশক্তি/পরাশক্তি শ্রীশ্রী চণ্ডী বলিতে তুষ্ট হন। পাখি, কচ্ছপ, কুমির, নব শাকাহারী প্রাণী—বুনো শুয়োর, ছাগল, মোষ, ঘোড়া, খড়গোঁজা, হরিণ, কৃষ্ণসার হরিণ, মাছ, নিজ রক্ত—এগুলোই বলি হিসেবে দেওয়া সম্ভব।
শ্রীচণ্ডী:১২.১০-১১:---
বলিপ্রদানে পূজয়ামগ্নিকার্যে মহোৎসবে।
সর্বং মমৈতচ্চরিতমুচ্চার্যং শ্রাব্যমেব চ।।
জানতাজানতা বাপি বলিপূজাং তথা কৃতম্।
প্রতীচ্ছিষ্যাম্যহং প্রীত্যা বহ্নিহোমং তথা কৃতম্ ॥
"বলিদানে, দেবতার পূজায়, যজ্ঞ ও হোমাদিতে এবং মহোৎসবে আমার এই মাহাত্ম্য সম্পূর্ণরূপে পাঠ ও শ্রবণ করা কর্তব্য। আমার মাহাত্ম্যপাঠের পর বিধিজ্ঞানপূর্বক বা অজ্ঞানপূর্বক অনুষ্ঠিত বলিদানসহকারে পূজা এবং আমার উদ্দেশে অনুষ্ঠিত হোমাদি আমি প্রীতিপূর্বক গ্রহণ করি।"
যজ্ঞাদি কর্মে পশুবধজনিত পাপ হয় না।
বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাসদেব রচিত শ্রীমদ্ভাগবতেও বলা হয়েছে:---
অর্চিষ্যন্তি মনুষ্যাস্কাং সর্বকামবরেশ্বরীম্।
ধূপোপহারবলিভিঃ সর্বকামবরপ্রদাম্ ।।....শ্রীমদ্ভাগবত: ১০. ২.১০
"তুমি সর্বলোকের সকলের প্রার্থনাপূরণকারিণী বরদাদেবীরূপে পূজিতা হবে। লোকে ধূপ, প্রদীপ, উপহার এবং বলি দ্বারা সকল মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্যে তোমার পূজা করবে।"
সুরামাংসোপহারৈশ ভক্ষ্যভোজ্যৈশ্চ পূজিতা।
নৃণামশেষকামাংত্ত্বং প্রসন্না সম্প্রদাস্যসি ।।----বিষ্ণু পুরাণ: ৫.১.৮৬
"হে দেবী! সুরা ও মাংস, ভক্ষ্য ও ভোজ্য দ্বারা তোমায় পূজা করলে তুমি প্রসন্ন হয়ে মনুষ্যগণের সর্ব প্রার্থিত বিষয় প্রদান করবে।"
শেষে, যদি কেউ বলেন “শাস্ত্রের প্রয়োজন নেই”, তবে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ষোড়শ অধ্যায়ের ২৩নং শ্লোক স্মরণে রাখা জরুরি:
যঃ শাস্ত্রবিধিমুৎসৃজ্য বর্ততে কামকারতঃ।
ন স সিদ্ধিমবাপ্নোতি ন সুখং ন পরা গতিম।।....শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা, অধ্যায় ১৬, শ্লোক ২৩
অর্থাৎ: যে ব্যাক্তি শাস্ত্রবিধি ত্যাগ করিয়া স্বেচ্ছাচারী হইয়া কর্মে প্রবৃত্ত হয়, সে সিদ্ধ লাভ করিতে পারে না, তাহার শান্তি সুখও হয় না, মোক্ষলাভও হয় না।
কালীপুজো তে পশুবলি দেওয়ার অর্থ হল কালীপুজো তে মা কালী র কাছে পশু বলিদান করলে সেই পশু পশু জন্ম থেকে মুক্তি পেয়ে জৈব বিবর্তন এর মাধ্যমে মানব জন্ম লাভ করে.. শ্রীকৃষ্ণ ভাগবত গীতায় বলে গেছেন বৈদিক যজ্ঞে পশুবলি কে হিংসাত্মক কার্য হিসাবে গণ্য করা হয় না এতে পশু রা জৈব বিবর্তন এর মাধ্যমে উন্নততর জীব হয়ে ওঠে এটা গীতা ভাষ্য তেও আছে.. সেজন্য কালীপুজো বা শক্তিপুজো তে পশুবলি দিলে বলি প্রদত্ত পশু পশুজন্ম সমাপ্তি ঘটিয়ে জৈব বিবর্তন এর মাধ্যমে মানব জন্ম লাভ করে এতে তার পশুজন্ম র সমাপ্তি হয় তাই বৈদিক যজ্ঞে পশুবলি ও কালীপুজো বা শক্তিপুজো তে পশুবলি কে হিংসাত্মক কার্য হিসাবে গণ্য করা হয় না।
বলিদান প্রথা হিন্দু ধর্মের শাস্ত্রসম্মত, ঐতিহ্যবাহী ও গভীরভাবে আধ্যাত্মিক একটি অনুশাসন। এটি শুধু প্রাণী বলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং আত্মত্যাগ, কামনাকে দমন, ও দেবীর প্রতি চূড়ান্ত শ্রদ্ধার এক প্রতীক।