1. ভ্রাতৃদ্বিতীয়া
2. যম দ্বিতীয়া
3. ধর্মরাজ পূজা
4. যম - যমুনা - চিত্রগুপ্ত - যমদূত পূজা এবং যম অর্ঘ্য দান
যম - যমুনা - চিত্রগুপ্ত - যমদূত পূজা মন্ত্র :-
আচারাৎ ভ্রাতা চ ভাগনী হস্তাদ্ যত্নেন ভোক্তব্যঞ্চ |
ভগিণ্যভ্রাতৃপূজনমাবশ্যকাম্, ভ্রাতৃ ললাটে - তিলকদানম্||
তিলক দানের পাঠ্য মন্ত্র :-
ভ্রাতস্তব ললাটে হি দদামি তিলকং শুভম্ |
অতঃপরং যমদ্বারে ময়াদত্তং হি কন্টকম ||
ভ্রাতা চ ভগিনীভ্য বস্ত্রাদিকং দেয়ম্ ||
প্রচলিত বাংলা প্রবচন :-
ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা যমদুয়ারে পড়লো কাঁটা
যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা আমি দিই ভাইকে ফোঁটা
যম যেমন চিরজীবী আমার ভাই যেনো হয় চিরজীবী l l
অন্নদানে ভগিনীর পাঠ্য মন্ত্র :-
ভ্রাতস্তবানুজাতাহং - ভুঙক্ষ- ভক্তমিদং শুভম্ |
প্রীতয়ে যমরাজস্য - যমুনায়া বিশেষতঃ ||
জ্যেষ্ঠা ভগিনী চেৎ ভ্রাতস্তবাগ্রজাতাহমিত্যাদি পঠেৎ
শুভ ভাইফোঁটা।এই ভাইফোঁটা কেন পালন করা হয় তা আমরা অনেকেই জানি না।
নরকাসুরকে বধ করে এইদিন বোন সুভদ্রার কাছে গিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ তখন এই দিনে সুভদ্রা দাদাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন চন্দনের ফোটা কপালে দিয়ে এবং ফুল-মিষ্টান্ন দিয়ে ও আরতিও করেছিলেন। তাই সেই সময় থেকে বহুজন শ্রীকৃষ্ণ আর সুভদ্রা এই ভাই-বোনের ভাইফোঁটা প্রথা পালন করে
আর একটি বেশি প্রচলিত কাহিনী হল, যমরাজ গিয়েছিলেন বোন যমুনার কাছে। যমুনা বা যমীও এইভাবে অগ্রজকে বরণ করে নিয়েছিলেন। সেই থেকে সহোদরের মঙ্গলকামনায় প্রবর্তিত ভ্রাতৃদ্বিতীয়া।
ভাইফোঁটা এমন এক উত্সব যেখানে ব্রাহ্মণ পুজারীর দরকার হয় না। তবু বিশেষ না হলেও এর জন্যেও আছে কিছু রীতি রেওয়াজ। ভোরে স্নান সেরে শুদ্ধ বস্ত্রে ফোঁটা দেওয়া নেওয়াই রেওয়াজ। ফোঁটাগ্রহণের আগে উপবাস রাখা হয়। ফোঁটা বা তিলকদানের পর্ব মিটলে ভঙ্গ করা হয় উপবাস।
ঘাসের ডগায় যে ভোরের শিশির থাকে তা দিয়েই বাটতে হয় চন্দন। মূলত এটাই ফোঁটার প্রধান উপকরণ। এছাড়া প্রদীপের জল, ঘি ইত্যাদি দিয়েও ভাইফোঁটা দেওয়া হয়।
বরণডালা সাজিয়ে ভাইকে আরতি করা হয়। এক এক বাড়ির নিয়ম অনুযায়ী এক এক রকম জিনিস থাকে সেই ডালায়। তবে প্রদীপ ধূপকাঠি পান সুপারি হরিতকি ইত্যাদি দ্রব্যই সাধারণত থাকেই।