কর্মকাণ্ড ব্যক্তির সঠিক চারিত্রিক বিবরণ
কর্মকাণ্ড যুক্ত ব্যক্তির এর সঠিক চারিত্রিক বিবরণ:----
নিজও নিজও মা-বাবা এবং ঠাকুমা দাদু বা গুরুজনদের সম্মান করা
অসৎবন্ধু ও অসৎকর্ম ত্যাগ করা আপনার এবং কোন কু অভ্যাস বা কোনো নেশা ব্যবহারিক জীবনে না রাখা
ব্যবহারিক জগতে যোগ্যতা অর্জনের জন্য বর্তমান যুগের শিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা
কোন ব্যক্তি বা দেশের ক্ষতি না করে কোন চাকরি বা ব্যবসা করে
সৎ পথে উপার্জিত অর্থের দ্বারা পরিবার প্রতিপালন করা
সন্তান এবং পত্নী এবং মা বাবা বা সামাজিক সাংসারিক দায়িত্ব কর্তব্য পূর্ণরূপে প্রতিপালন করা
নিজেকে পরস্ত্রীকাতরতা , কোন দিক দিয়ে কারো ক্ষতি করা, হিংসা, নিন্দা সামাজিক সমালোচনা, চুরি, ঘুষ, কারো সুযোগ না নেওয়া, নিজো কর্তব্য ফাঁকি বা অসামাজিক কাজ,অসৎ রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে রাখা
স্বার্থ এবং সামর্থ্য অনুসারে দরিদ্র বা দুর্বল ব্যক্তিকে কর্ম বা নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য করা
পুরুষদের ক্ষেত্রে অন্য কোন নারী বা নারীদের ক্ষেত্রে অন্য কোন পুরুষের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক স্থাপন না করে
মা -বাবা -স্বামী -স্ত্রী -সন্তান -বন্ধুবান্ধব- আত্মীয়- এবং হিতকারি লোকদের বিপদে পাশে দাঁড়ানো বা তাদেরকে সাহায্য করা
নিজের মা-বাবা, নিজের ভাই -বোন, নিজের প্রেমিক /প্রেমিকা, নিজের স্বামী/ স্ত্রী, নিজের সন্তান, নিজের উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তি, নিজের উপার্জিত সম্পত্তি, বাহ্যিক জগতের নিজের পদ, সামাজিক সম্মান, যোগ্যতা অনুসারে আমোদ-প্রমোদ- বিলাসিতা— এই বিষয় গুলির মধ্যে সবগুলোই অথবা কোনটা-কোনটার প্রতি আসক্তি ও কামনা এবং প্রবৃত্তি অন্তঃকরনে প্রতিষ্ঠিত থাকা ।
এই উপরোক্ত যতরকম লক্ষণ বা তার সঙ্গে আরো ছোট ছোট অনেক আনুষাঙ্গিক লক্ষণযুক্ত যে ব্যক্তির চরিত্র তৈরি হয় তাকে লোকাচারে বা সমাজে বা বৈদান্তিক কর্মকাণ্ডে তাকে ভালো কর্মকাণ্ডের চরিত্রের মানুষ বলে ব্যাখ্যা করা হয় এবং ইহাকেই কর্ম কান্ডের সঠিক ব্যক্তি চরিত্র বলে । কর্মকান্ডের সঠিক চরিত্রবান ব্যক্তি সমাজ এবং সংসারের জন্য ভালো ব্যক্তি পরিণত হলেও আত্মজ্ঞান লাভের জন্য তার এই কর্মকান্ডের সঠিক চরিত্র বিন্দুমাত্র কোনো কার্যকারিতা প্রদান করে না
আর এর থেকে আরো নিচু মূলক কর্ম করাকে পাশবিক চরিত্র বলে যেটা কর্মকাণ্ডের সঠিক কর্ম চরিত্রও বলে না ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:-- এখানে বিশেষভাবে জানা উচিত যে ব্যক্তি নিজেকে জ্ঞানকান্ডের সঠিক চরিত্রে প্রতিষ্টিত করতে চাই, সেই ব্যক্তিকে আগের থেকেই সর্বপ্রথমে কর্মকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ প্রকৃত চরিত্রের যোগ্যতাতে প্রতিষ্টিত থাকা অতি আবশ্যক । কারণ সংসারের সমাজে লোকাচারে বা কর্মকাণ্ডে যদি কেউ কর্মকাণ্ডের চরিত্রে প্রতিষ্ঠা না থাকে সে কোন কারনে সমস্ত কিছু করেও জ্ঞানকাণ্ড চরিত্রে কোনদিনই প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না — তাই প্রত্যেক ব্যক্তির সর্বপ্রথম যোগ্যতা যে সে সমাজে লোকাচারে কর্মকাণ্ডে একজন কর্মকাণ্ডের চরিত্রের ভালো মানুষ—- এই কর্মকান্ডের চরিত্রে প্রতিষ্ঠিত ভালো মানুষ যদি জ্ঞানকাণ্ড চরিত্রে প্রতিষ্ঠিত হতে চায় তবেই তার জন্য শাস্ত্রের বিভিন্ন সাধনা পূজা বিধি ও অনুশাসন প্রযোজ্য । এখানে বিশেষভাবে জানা উচিত যে ব্যক্তি নিজেকে জ্ঞানকান্ডের সঠিক চরিত্রে প্রতিষ্টিত করতে চাই, সেই ব্যক্তিকে আগের থেকেই সর্বপ্রথমে কর্মকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ প্রকৃত চরিত্রের যোগ্যতাতে প্রতিষ্টিত থাকা অতি আবশ্যক । কারণ সংসারের সমাজে লোকাচারে বা কর্মকাণ্ডে যদি কেউ কর্মকাণ্ডের চরিত্রে প্রতিষ্ঠা না থাকে সে কোন কারনে সমস্ত কিছু করেও জ্ঞানকাণ্ড চরিত্রে কোনদিনই প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না — তাই প্রত্যেক ব্যক্তির সর্বপ্রথম যোগ্যতা যে সে সমাজে লোকাচারে কর্মকাণ্ডে একজন কর্মকাণ্ডের চরিত্রের ভালো মানুষ—- এই কর্মকান্ডের চরিত্রে প্রতিষ্ঠিত ভালো মানুষ যদি জ্ঞানকাণ্ড চরিত্রে প্রতিষ্ঠিত হতে চায় তবেই তার জন্য শাস্ত্রের বিভিন্ন সাধনা পূজা বিধি ও অনুশাসন প্রযোজ্য ।
আর যে ব্যক্তি কর্মকাণ্ডের চরিত্রেই ভালো মানুষ ভাবে প্রতিষ্ঠিত নয় তাকে আগে কর্মকাণ্ডে চরিত্রের ভালো মানুষ প্রতিষ্ঠিত হতে হবে তারপর সে জ্ঞানকান্ডের চরিত্র প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করতে পারে তবে সফল হবে নচেৎ হবে না ।
আর যে ব্যক্তি কর্মকাণ্ডের চরিত্রেই ভালো মানুষ ভাবে প্রতিষ্ঠিত নয় তাকে আগে কর্মকাণ্ডে চরিত্রের ভালো মানুষ প্রতিষ্ঠিত হতে হবে তারপর সে জ্ঞানকান্ডের চরিত্র প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করতে পারে তবে সফল হবে নচেৎ হবে না ।
*************************************************************************************************************************প্রশ্ন:- কর্মকাণ্ডের উত্তমচরিত্র যুক্ত ব্যক্তি যদি নিজেকে জ্ঞানকান্ডের সঠিক ব্যক্তি চরিত্র তৈরি করার জন্য অন্তঃকরনকে 100% আসক্তি ও কামনা এবং প্রবৃত্তিমুক্ত অবস্থা কি কি উপায়ে করিব ?????
উত্তর:- কর্মকাণ্ডের উত্তমচরিত্র যুক্ত ব্যক্তি যদি নিজেকে জ্ঞানকান্ডের সঠিক ব্যক্তি চরিত্র তৈরি করার জন্য অন্তঃকরনকে 100% আসক্তি ও কামনা এবং প্রবৃত্তিমুক্ত অবস্থা করতে চাই তাহলে শাস্ত্র অনুসারে নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি ক্রমান্বয়ে করা উচিত বা যোগ্যতা সামর্থ্য অনুসারে করা উচিত ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:-- এখানে বিশেষভাবে জানা উচিত যে ব্যক্তি নিজেকে জ্ঞানকান্ডের সঠিক চরিত্রে প্রতিষ্টিত করতে চাই, সেই ব্যক্তিকে আগের থেকেই সর্বপ্রথমে কর্মকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ প্রকৃত চরিত্রের যোগ্যতাতে প্রতিষ্টিত থাকা অতি আবশ্যক । কারণ সংসারের সমাজে লোকাচারে বা কর্মকাণ্ডে যদি কেউ কর্মকাণ্ডের চরিত্রে প্রতিষ্ঠা না থাকে সে কোন কারনে সমস্ত কিছু করেও জ্ঞানকাণ্ড চরিত্রে কোনদিনই প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না — তাই প্রত্যেক ব্যক্তির সর্বপ্রথম যোগ্যতা যে সে সমাজে লোকাচারে কর্মকাণ্ডে একজন কর্মকাণ্ডের চরিত্রের ভালো মানুষ—- এই কর্মকান্ডের চরিত্রে প্রতিষ্ঠিত ভালো মানুষ যদি জ্ঞানকাণ্ড চরিত্রে প্রতিষ্ঠিত হতে চায় তবেই তার জন্য নিম্নলিখিত সাধনা অনুশাসন প্রযোজ্য ।
নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি ক্রমান্বয়ে একে অপরের থেকে উন্নত এবং একে অপরের থেকে 10 গুণ বেশি কার্যকারী ও জ্ঞানকান্ডের চরিত্রকে দৃঢ় ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থনকারী ।
তাই নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি ক্রমান্বয়ে কায়মনোবাক্যে অভ্যাস করা উচিত অথবা যোগ্যতা থাকলে যে যে স্তরের সামর্থ্য সে তার সেই স্তরেই স্তর থেকেই শুরু করা উচিত । যদিও প্রতিটি বা যেকোনো স্তর কোন কামনা না করে বা কোন মানসিক না করেই শুরু করতে হবে অর্থাৎ কোন প্রকারের কামনা বা মানসিক সংকল্প কামনা মুক্ত করেই নিষ্কাম ভাবে শুরু করতে হবে ।
ক্রমান্বয়ে পদ্ধতিগুলি :---
1. প্রতিদিন আসনে শুদ্ধভাবে বসে কমপক্ষে 1+1=2 ঘন্টা সময় (সন্ধ্যাকালীন সময়গুলিতে) করে সমস্ত দেবদেবী-গুরু স্তব-স্তুতি,শ্রীমদ্ভাগবতগীতা, গুরুগীতা উচ্চস্বরে আসনে বসে করা উচিত । ( কেউ পাঠ করল আর কেউ শুনল এক্ষেত্রে হবে না নিজেকে প্রত্যেককে পাঠ করতে হবে উচ্চারণ পূর্বক,এর ঘরে নিজের নিজের আসনে বসে—এইভাবে 22-24 বছর ধরে প্রতিদিন করলে অন্তঃকরণের আসক্তি কামনা প্রবৃত্তি ক্ষীন হয়ে আসবে এবং জ্ঞানকান্ডের চরিত্রের দৃঢ়তা লাভ হবার সম্ভাবনা তৈরি হবে )।
2. প্রতিদিন আসনে শুদ্ধভাবে বসে কমপক্ষে 1+1=2 ঘন্টা সময় (সন্ধ্যাকালীন সময়গুলিতে) করে সমস্ত দেবদেবী-গুরু স্তব-স্তুতি,শ্রীমদ্ভাগবতগীতা, গুরুগীতা উচ্চস্বরে আসনে বসে করা উচিত তার সঙ্গে প্রতিদিন যদি কেউ নিজের বাড়িতে নিত্য বিষ্ণু বা শিবপূজা করে থাকে নিজের হাতে শাস্ত্রীয় পদ্ধতির দ্বারা তাহলে তুলনামূলক উন্নতি তাড়াতাড়ি হবে। ( কেউ পাঠ করল আর কেউ শুনল এক্ষেত্রে হবে না নিজেকে প্রত্যেককে পাঠ করতে হবে উচ্চারণ পূর্বক,এর ঘরে নিজের নিজের আসনে বসে—এইভাবে 20-22 বছর ধরে প্রতিদিন করলে অন্তঃকরণের আসক্তি কামনা প্রবৃত্তি ক্ষীন হয়ে আসবে এবং জ্ঞানকান্ডের চরিত্রের দৃঢ়তা লাভ হবার সম্ভাবনা তৈরি হবে )।
3. প্রতিদিন কমপক্ষে দুই সন্ধা আসনে শুদ্ধভাবে বসে গুরুপ্রদত্ত নামমন্ত্র বা বীজমন্ত্র + গায়ত্রীমন্ত্র 108 বার জপের সঙ্গে সঙ্গে মনে মনে আরো কমপক্ষে 15 হাজার জপ সব কর্মের মাধ্যমে নিরন্তর জপ 24 ঘন্টায় করতে পারলে 18-20 বছর এ অন্তঃকরণের আসক্তি কামনা প্রবৃত্তি ক্ষীন হয়ে আসবে এবং জ্ঞানকান্ডের চরিত্রের দৃঢ়তা লাভ হবার সম্ভাবনা তৈরি হবে ।
4. প্রতিদিন কমপক্ষে দুই সন্ধা আসনে শুদ্ধভাবে বসে গুরুপ্রদত্ত নামমন্ত্র বা বীজমন্ত্র + গায়ত্রীমন্ত্র 108 বার জপের সঙ্গে সঙ্গে মনে মনে নিরন্তর জপ এবং তার সঙ্গে ব্যবহারিক জীবনযাত্রায় প্রতিদিন এভাবে 42 অনুশাসন প্রতিপালন পূর্ণরূপে করতে পারলে 15-18 বছর এ অন্তঃকরণের আসক্তি কামনা প্রবৃত্তি ক্ষীন হয়ে আসবে এবং জ্ঞানকান্ডের চরিত্রের দৃঢ়তা লাভ হবার সম্ভাবনা তৈরি হবে ।
5. সঞ্চয় প্রবৃত্তি ত্যাগ করে প্রতিদিন কমপক্ষে দুই সন্ধা আসনে শুদ্ধভাবে বসে গুরুপ্রদত্ত নামমন্ত্র বা বীজমন্ত্র + গায়ত্রীমন্ত্র 108 বার জপের সঙ্গে সঙ্গে মনে মনে নিরন্তর জপ এবং তার সঙ্গে ব্যবহারিক জীবনযাত্রায় প্রতিদিন এভাবে 42 অনুশাসন প্রতিপালন পূর্ণরূপে করতে পারলে এবং তার সঙ্গে শালিগ্রাম শিলার সেবা ও নিত্য পূজা এবং গুরুসেবা ও গুরুর প্রতিটি আদেশ বা উপদেশ কায়মনোবাক্যে প্রতিপালন করতে পারলে 12-15 বছর এ অন্তঃকরণের আসক্তি কামনা প্রবৃত্তি ক্ষীন হয়ে আসবে এবং জ্ঞানকান্ডের চরিত্রের দৃঢ়তা লাভ হবার সম্ভাবনা তৈরি হবে ।
6. সঞ্চয় প্রবৃত্তি ত্যাগ করে প্রতিদিন কমপক্ষে দুই সন্ধা আসনে শুদ্ধভাবে বসে গুরুপ্রদত্ত নামমন্ত্র বা বীজমন্ত্র + গায়ত্রীমন্ত্র 108 বার জপের সঙ্গে সঙ্গে মনে মনে নিরন্তর জপ এবং তার সঙ্গে ব্যবহারিক জীবনযাত্রায় প্রতিদিন এভাবে 42 অনুশাসন প্রতিপালন পূর্ণরূপে করতে পারলে এবং তার সঙ্গে শালিগ্রাম শিলার সেবা ও নিত্য পূজা এবং গুরুসেবা ও গুরুর প্রতিটি আদেশ বা উপদেশ কায়মনোবাক্যে প্রতিপালন করতে পারলে 10-12 বছর এ অন্তঃকরণের আসক্তি কামনা প্রবৃত্তি ক্ষীন হয়ে আসবে এবং জ্ঞানকান্ডের চরিত্রের দৃঢ়তা লাভ হবার সম্ভাবনা তৈরি হবে ।
7. সঞ্চয় প্রবৃত্তি ত্যাগ করে প্রতিদিন কমপক্ষে দুই সন্ধা আসনে শুদ্ধভাবে বসে গুরুপ্রদত্ত নামমন্ত্র বা বীজমন্ত্র + গায়ত্রীমন্ত্র 108 বার জপের সঙ্গে সঙ্গে মনে মনে নিরন্তর জপ এবং তার সঙ্গে ব্যবহারিক জীবনযাত্রায় প্রতিদিন এভাবে 42 অনুশাসন প্রতিপালন পূর্ণরূপে করতে পারলে এবং তার সঙ্গে শালিগ্রাম শিলার সেবা ও নিত্য পূজা এবং গুরুসেবা ও গুরুর প্রতিটি আদেশ বা উপদেশ কায়মনোবাক্যে প্রতিপালন করতে পারলে এবং তার সঙ্গে দীক্ষার যে বীজ মন্ত্র সেই বীজ মন্ত্র সেই সঙ্গে বিশুদ্ধ প্রীতি ধারা আন্তরিক প্রীতি যুক্ত হতে পারলে 8-10 বছর এ অন্তঃকরণের আসক্তি কামনা প্রবৃত্তি ক্ষীন হয়ে আসবে এবং জ্ঞানকান্ডের চরিত্রের দৃঢ়তা লাভ হবার সম্ভাবনা তৈরি হবে ।
8. সঞ্চয় প্রবৃত্তি ত্যাগ করে গুরুর প্রতি সম্পূর্ণ নিজেকে কায়মনোবাক্যে সমর্পিত করে প্রতিদিন কমপক্ষে দুই সন্ধা আসনে শুদ্ধভাবে বসে গুরুপ্রদত্ত নামমন্ত্র বা বীজমন্ত্র + গায়ত্রীমন্ত্র 108 বার জপের সঙ্গে সঙ্গে মনে মনে নিরন্তর জপ এবং তার সঙ্গে ব্যবহারিক জীবনযাত্রায় প্রতিদিন এভাবে 42 অনুশাসন প্রতিপালন পূর্ণরূপে করতে পারলে এবং তার সঙ্গে শালিগ্রাম শিলার সেবা ও নিত্য পূজা এবং গুরুসেবা ও গুরুর প্রতিটি আদেশ বা উপদেশ কায়মনোবাক্যে প্রতিপালন করতে পারলে এবং তার সঙ্গে দীক্ষার যে বীজ মন্ত্র সেই বীজ মন্ত্র সেই সঙ্গে বিশুদ্ধ প্রীতি ধারা আন্তরিক প্রীতি যুক্ত হতে পারলে 6-8 বছর এ অন্তঃকরণের আসক্তি কামনা প্রবৃত্তি ক্ষীন হয়ে আসবে এবং জ্ঞানকান্ডের চরিত্রের দৃঢ়তা লাভ হবার সম্ভাবনা তৈরি হবে ।
9. সঞ্চয় প্রবৃত্তি ত্যাগ করে গুরুর প্রতি সম্পূর্ণ নিজেকে কায়মনোবাক্যে সমর্পিত করে প্রতিদিন কমপক্ষে দুই সন্ধা আসনে শুদ্ধভাবে বসে গুরুপ্রদত্ত নামমন্ত্র বা বীজমন্ত্র + গায়ত্রীমন্ত্র 108 বার জপের সঙ্গে সঙ্গে মনে মনে নিরন্তর জপ এবং তার সঙ্গে ব্যবহারিক জীবনযাত্রায় প্রতিদিন এভাবে 42 অনুশাসন প্রতিপালন পূর্ণরূপে করতে পারলে এবং তার সঙ্গে শালিগ্রাম শিলার সেবা ও নিত্য পূজা এবং গুরুসেবা ও গুরুর প্রতিটি আদেশ বা উপদেশ কায়মনোবাক্যে প্রতিপালন করতে পারলে এবং তার সঙ্গে দীক্ষার যে বীজ মন্ত্র সেই বীজ মন্ত্র সেই সঙ্গে বিশুদ্ধ প্রীতি ধারা আন্তরিক প্রীতি যুক্ত হতে পারলে সঞ্চয় প্রবৃত্তি ত্যাগ করে বহু দুর্বল বা দরিদ্র লোকের উপকার এবং সাধু সন্ন্যাসীকে অন্ন-বস্ত্র-ধন দান জনিত কর্ম করলে 4-6 বছর এ অন্তঃকরণের আসক্তি কামনা প্রবৃত্তি ক্ষীন হয়ে আসবে এবং জ্ঞানকান্ডের চরিত্রের দৃঢ়তা লাভ হবার সম্ভাবনা তৈরি হবে ।
10. গুরুর প্রতি সম্পূর্ণ নিজেকে কায়মনোবাক্যে সমর্পিত করে প্রতিদিন কমপক্ষে দুই সন্ধা আসনে শুদ্ধভাবে বসে গুরুপ্রদত্ত নামমন্ত্র বা বীজমন্ত্র + গায়ত্রীমন্ত্র 108 বার জপের সঙ্গে সঙ্গে মনে মনে নিরন্তর জপ এবং তার সঙ্গে ব্যবহারিক জীবনযাত্রায় প্রতিদিন এভাবে 42 অনুশাসন প্রতিপালন পূর্ণরূপে করতে পারলে এবং তার সঙ্গে শালিগ্রাম শিলার সেবা ও নিত্য পূজা এবং গুরুসেবা ও গুরুর প্রতিটি আদেশ বা উপদেশ কায়মনোবাক্যে প্রতিপালন করতে পারলে এবং তার সঙ্গে দীক্ষার যে বীজ মন্ত্র সেই বীজ মন্ত্র সেই সঙ্গে বিশুদ্ধ প্রীতি ধারা আন্তরিক প্রীতি যুক্ত হতে পারলে সঞ্চয় প্রবৃত্তি ত্যাগ করে বহু দুর্বল বা দরিদ্র লোকের উপকার এবং সাধু সন্ন্যাসীকে অন্ন-বস্ত্র-ধন দান জনিত কর্ম করলে তার সঙ্গে কথিত তীর্থ দর্শন- তীর্থে তীর্থে জপের সঙ্গে সঙ্গে এবং পাঠ করিলে 3-4 বছর এ অন্তঃকরণের আসক্তি কামনা প্রবৃত্তি ক্ষীন হয়ে আসবে এবং জ্ঞানকান্ডের চরিত্রের দৃঢ়তা লাভ হবার সম্ভাবনা তৈরি হবে ।