শাস্ত্রানুসারে -- ধৰ্ম উপদেশ যে কোনো লোক দিতে পারে না বা যে কোনো লোকর শাস্ত্র সম্মত লক্ষণ সাধন যোগ্যতা না হয়ে থাকে তার নিজেরও কাহাকেও উপদেশ দেওয়া উচিত নয় -কারণ তাতে শাস্ত্র বিরুদ্ধে কাজ করে অধঃপাতের কর্ম হয় অথবা যে কোনো লোকের কাছ থেকে ধৰ্ম উপদেশ নেওয়া ঠিক না- কারণ ভুল পথে চালতা হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে ।
কারণ শাস্ত্রে আছে যার মধ্যে নীচের শাস্ত্রে সম্মত যে ক টি লক্ষণ আছে তার মধ্যে যে কোনো কমপক্ষে অন্তত একটি লক্ষণ ও প্রতক্ষ্য সাধন যোগ্যতার দ্বারা প্রাপ্ত হয়ে থাকে ...একমাত্র শাস্ত্রানুসারে সেই সেই ব্যাক্তির ধৰ্ম উপদেশ দেওয়া শাস্ত্র সম্মত হয়। তাই শাস্ত্র সম্মত লক্ষণ প্রতক্ষ্য সাধন যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যাক্তির কাছ থেকে সর্বদা ধৰ্ম উপদেশ নেওয়া উচিত। কারণ শাস্ত্রে আছে যার মধ্যে নীচের শাস্ত্রে সম্মত যে ক টি লক্ষণ আছে তার মধ্যে যে কোনো কমপক্ষে অন্তত একটি লক্ষণ ও প্রতক্ষ্য সাধন যোগ্যতার দ্বারা প্রাপ্ত হয়ে থাকে ...একমাত্র শাস্ত্রানুসারে সেই সেই ব্যাক্তির ধৰ্ম উপদেশ দেওয়া শাস্ত্র সম্মত হয়। তাই শাস্ত্র সম্মত লক্ষণ প্রতক্ষ্য সাধন যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যাক্তির কাছ থেকে সর্বদা ধৰ্ম উপদেশ নেওয়া উচিত।
শাস্ত্রানুসারে (মনু সংহিতা )ধৰ্ম উপদেশদাতার যোগ্যতার লক্ষণ:----
১.যিনি কূটস্থ পর্যন্ত গিয়ে আত্মদর্শন করেছেন ...অথবা
২.যিনি নিজের প্রাণকে কূটস্থ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পেরেছেন ..........অথবা
৩.যাহার দিব্যচক্ষু উন্মিলিত হয়েছে ..........অথবা
৪.যাহার মূলাধার থেকে মস্তক পর্যন্ত প্রাণবায়ুর গতিপথ হয়েছে..........অথবা
৫.যিনি ব্রহ্মবিদ্যার উর্ধতন ওঙ্কার ক্রিয়া গুরুই নিকট থেকে প্রাপ্ত হয়েছেন .........অথবা
৬.যাহার জিহবা মস্তিষ্কের রাজিকা পর্যন্ত পৌঁছিয়া গিয়াছে .........অথবা
৭. যিনি সাধনার দ্বারা উন্মনি অবস্থা প্রাপ্ত হয়েছেন .........অথবা
৮. যিনি সর্বদা কূটস্থে ধ্যান অবস্থার দ্বারা নেশা লাভ করেছেন...
আর শাস্ত্র সম্মত এই ৮ টি প্রতক্ষ্য সাধন যোগ্যতার লক্ষণ গুলির মধ্যে কোনো একটি প্রতক্ষ্য সাধন যোগ্যতার লক্ষণ যিনি নিজের কঠোর সাধনার দ্বারা লাভ করতে পারেন নি।।। তিনি যদি ধৰ্ম উপদেশ দেওয়া শুরু করেন তাকে ধর্মের গ্লানি বা ভণ্ডামি বলা হয়। আর এই রকম ধর্মের গ্লানি বা ভণ্ডামি কোর্মা করি লোকের কাছ থেকে ধৰ্ম উপদেশ নিয়ে চললেই যে কোনো মানুষের দুর্গতি হয়।
তাই যে কোনো মানুষের উচিত উপরুক্ত লক্ষণের যে কোনো একটাও লক্ষণ যিনি প্রাপ্ত করতে পেরেছেন ....একমাত্র সেই রকম যোগ্য ব্যাক্তির কাছ থেকে ধৰ্ম কথা শুনা বা ধৰ্ম উপদেশ শুনা।