ব্রহ্মচর্য সাধন ব্রাহ্মমুহূর্তে বা সূর্যোদয়ের ১ ঘন্টা পূর্বেই শয্যা ত্যাগ করবে এবং মুখে যতটা সম্ভব জল ধরে রেখে ২০-২২ টা জলের ঝাপটা দিয়ে শীতল জলদ্বারা চক্ষুদদ্বয় ধৌত করবে।গামছা পড়ে মলমুত্রত্যাগ করবে বা অন্য বস্ত্রে গেলে সেটা পাল্টাতে হবে।মলমুত্রত্যাগের সময় দন্তে দন্তে একটু জোরে চাপিয়া ধরবে তাহলে শীঘ্র দাঁত পড়িবে না।মলমুত্র ও প্রসাবের পর জলশৌচ কর্তব্য। দন্তমন্জন করিবে জিহ্বার ক্লেদ পরিষ্কার করিবে।সকাল ৯ টার মধ্যেই স্নান করবে।গরমে শীতল জল এবং শীতে উষ্ণ জল দ্বারা ধৌত করবে।(১২ টা ৩টা,সন্ধ্যা ৬ টা ও রাত ৯ টায় ভেজা গামছা দিয়ে শরীর মুছে) পরে শুকনা কাপড় দিয়ে মুছতে হবে।চিরুনী দিয়ে এমনভাবে মাথা আছড়াবে, যেন মাথার চামড়ায় ঘর্ষন হয় এতে চুল পাকবে না।সাত্ত্বিক আহার করবে।হোটেলে আহার করিবে না।নিজের আহার নিজে পাক অথবা শুদ্ধ গুরুদেব কতৃক রন্ধন গ্রহন করিবে।রাতে অধিক আহার করিবেনা।রাতে ক্ষুধা না পেলে আহার করবেনা আর প্রতিবার তৃপ্তি করে না খেয়ে আকাঙ্খা থাকতেই আহার সমাপ্ত করবে।পাকস্থলীর অর্ধেক ভোজন অর্ধেক জল আর অর্ধেক বায়ু চলাচলের জন্য রাখবে।একাদশী তিথিতে অনাহার না করিয়া একবেলা ফলমুল -দুধ খাবে। এদিন অপরাহ্ণে ভোজন সমাপ্ত করবে রাতে কিছু খাবেনা।সকল মাদকদ্রব্য বর্জনীয়।বীর্যরক্ষাই ব্রহ্মচর্যের প্রধান আলোচ্য বিষয়।বীর্য রক্ষা করে চলবে।নরম তুললার বিছানার পরিবর্তে কঠিন শয্যা উপকারী। গুরুজনদের নিকট উচ্চস্থানে বসবে না,মুখের ফু দিয়ে আগুন জ্বালাবে না।জলে নিজের প্রতিবিম্ব দেখবেনা,লোম নখ ঘন ঘন ছেদন করবে না। ব্রহ্মচর্য হীন শুক্র নষ্ট করলে শরীর খিটখিটে হয়, দর্শন ও শ্রবনশক্তি হ্রাস পায়।আর বিন্দু রক্ষা করলে মস্তিষ্কে প্রবল শক্তি সঞ্চারিত হয়। তথ্যসুত্রঃঠাকুর নিগমানন্দের লিখিত গ্রন্থ ব্রহ্মচর্য সাধন গ্রন্থ।
আশয়া বধ্যতে লোকঃ ॥১॥
অনুবাদ : লোক আশা পাশে বন্ধ থাকে। ১।
মর্মার্থ : সংসারে আশা বিষয় বা প্রবৃত্তি দ্বারা লোক আবদ্ধ হয়। আশা বা বিষয় বাসনা যদি উত্তম বিষয়ে হয়, তার সে মানব আশানুরূপ সাধনা ও কার্য করে শ্রেষ্ঠ হতে পারে। অসাধু বিষয়ে আশা বর্ধিত হলে অধঃপতন হয়। দুরাশা পরিত্যাগ করা উচিত। ১।
দুর্মে ধসাংমহচ্ছাং বুদ্ধিং মোহয়তি ॥১৮
অনুবাদ : মেধাহীনের কঠিন শাস্ত্র পাঠে বুদ্ধির ভ্রম হয়। ১৮।
মর্মার্থ : যার যেরূপ বুদ্ধি, তার নানা বিষয় পাঠে সেরূপ জ্ঞান হয়। মন্দ বুদ্ধির কঠিন শাস্ত্র পাঠে বুদ্ধিবিমোহিত হয়। মলিন বুদ্ধির ন্যায় ও অঙ্কশাস্ত্র পাঠে সেরূপ অবস্থা দেখা যায়। মেধাহীনের জটিল এবং বিশাল শাস্ত্র অধ্যয়নে জ্ঞান বৃদ্ধি পায় না। ১৮।
যত্র সুখেন বর্তনে তদেবস্থানম্ ॥ ১৯ ॥
অনুবাদ : যে স্থান সুখে বাসের যোগ্য, সে স্থানে বাস করবে। ১৯।
মর্মার্থ : যে স্থানে শ্রোত্রিয় (বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ), নদী, বৈদ্য, লোকযাত্রা, ভয়শীলতা গর্হিত কার্যে লজ্জা দাক্ষিণ্য, ধর্মশীলতা, বাণিজ্য, কৃষি, গো-পালন, জীবিকা, সুবিচার, বিদ্যাচর্চা, শিল্প প্রভৃতি বিদ্যমান সেরূপ স্থানই বাসের সম্যক উপযুক্ত। ঈদৃশ স্থানেই লোকের প্রতিভার বিকাশ হয়। ১৯।
সৎসঙ্গঃ স্বর্গবাসঃ ॥ ২০ অনুবাদ : সাধু সঙ্গ স্বর্গবাসতুল্য। ২০। মর্মার্থ : সৎসঙ্গ ও অসৎসঙ্গ দ্বারা উৎকর্ষ ও অপকর্ষ ঘটে থাকে। যেমন সূর্ব টঙ্কণ (সোহাগ) অগ্নিসংযোগে নির্মল হয়। তামা ও অগ্নিযোগে মলিন এবং দৃঢ় বিবর্ণ হয়। মানুষেরও সসঙ্গে উন্নতি, অসাধু সঙ্গ পতন ঘটে। ২০।
আৰ্য্যঃ স্বমিব পরং মন্যতে ॥ ২১
অনুবাদ : আর্য ব্যক্তি নিজের ন্যায় পরকেও মনে করে। ২১।
মর্মার্থ : শ্রেষ্ঠুজ্ঞান ও জ্ঞানবৃদ্ধ ব্যক্তি আর্য নামে খ্যাত। তাদৃশ ব্যক্তি নিজের সুখ ও দুঃখের ন্যায় অপরের সুখ ও দুঃখ মনে করে থাকে। অর্থাৎ পরের সুখে সুখী এবং পরের দুঃখে দুঃখি হয়। এইরূপ সুখে প্রসন্ন হওয়া, দুঃখে সাহায্য ও ত্রাণ করা আর্যের লক্ষণ। ২১।
প্রায়েশ রূপানূবৃৰ্ত্তিনোগুণাঃ ॥ ২২
অনুবাদ : যার যাদৃশরূপ তদনুসারে প্রায় গুণও হয়ে থাকে। ২২।
মর্মার্থ : যেখানে সৌম্যভাব, সেখানে সৌম্যগুণ থাকে, ইহা প্রসিদ্ধ উক্তি। রূপ অপেক্ষা গুণই মহার্ঘ। সুতরাং রূপ হতে গুণের প্রয়োজন অধিক। ২২।
বিশ্বাস ঘাতিনো নিষ্কৃতির্নবিদ্যতো ॥ ২৩
অনুবাদ : যে বিশ্বাসঘাতক তার নিষ্কৃতি নেই। ২৩।
মর্মার্থ : জগতে সকল ব্যবহারিক কার্য বিশ্বাসকে আশ্রয় করে পরিচালিত তথা সম্পাদিত হয়, যে বিশ্বাস বিনষ্ট করে অনিষ্টাচরণ করে, তার ইহলোকে কল্যাণ নষ্ট হয় ও পরলোক পাপ হতে অব্যাহতি নেই। ২৩।
দৈবায়ত্তং ন শোচয়েৎ ॥ ২৪
অনুবাদ : দৈবাধীন বিষয়ে শশাচনা করবে না। ২৪।
মর্মার্থ : যা মানুষের শক্তির অতীতরূপে প্রকাশ পায়, তা দৈবাধীন, ভূকম্প, উল্কাপাত ঝঞ্ঝাবায়ু, বারিপ্লাবন, মহামারি প্রভৃতি লোক বুদ্ধির অতীত। এই সকল বিষয়ে প্রতিকার করতে সমর্থ হলে উত্তম; না হলেও বৃথা শোচনা এবং অনুতাপ করবে না। ২৪।
আশ্রিত-দুঃখমাত্মন ইব মন্যতে সাধুঃ ॥ ২৫
অনুবাদ : সাধুগণ অনুগত লোকের দুঃখ নিজের দুঃখের ন্যায় মনে করেন। ২৫।
মর্মার্থ : সাধু, মহাজন, মহোদার চরিত, বিদ্বান, ব্যক্তি নিজের ও পরের দুঃখে সমজ্ঞানবশতঃ পরের দুঃখকাতর হয়ে থাকে। যাদের এরূপ সমদর্শিতা আছে, তারাই দেশ ও জনহিতকরণে সমর্থ হন। সৎসঙ্গ, সুশিক্ষা, সততা ও ধর্মাচরণ দ্বারা সম্ভাবে হৃদয় গঠিত হয়। অন্তরে বিদ্বেষ বিষ জন্মায় না। ফলে তিনি হন বিশ্ববন্ধু। ২৫।
অহিংসা পরমো ধর্ম্ম
अहिंसा परमं सत्यम अहिंसा परमं शरुतम॥
অহিংসা হল সর্বোচ্চ সত্য এবং পরম ধর্ম ॥
“অহিংসা পরম ধর্ম” – এই মহাজনোক্তি আমরা ছোটকাল হতে শুনে বড় হয়েছি। আমাদের রক্তমাংস অস্থিমজ্জায় এই বাণী প্রোথিত হয়ে আছে। অধিকাংশ ধর্মগুরুগণ আমাদের এই শিক্ষা দিয়ে থাকেন। কিন্তু এই শ্লোকটি সম্পূর্ণ শ্লোক নয়, শাস্ত্রে লেখা সম্পূর্ণ শ্লোকটি নিচে দিচ্ছি:----
অর্থাৎ অহিংসা মনুষ্য জীবনের পরম ধর্ম , এবং ধর্ম রক্ষার জন্যে হিংসা করা তার চেয়েও শ্রেষ্ঠ ধর্ম ॥
অথবা
অহিংসা পরম ধর্ম কিন্তু ধর্মের রক্ষা হেতু হিংসা শ্রেয় ধর্ম ॥
অহিংসা পরম ধৰ্ম্মস্তথাহিংসা পরো দমঃ।
অহিংসা পরমং দানমহিংসা পরমং তপঃ॥
অহিংসা পরমাে যজ্ঞস্তথাহিংসা পরম ফলম্।
হিংসা পরমং মিত্রমহিংসা পরমং সুখম।
অহিংসা পরমং সত্যমহিংসা পরমং শ্রুতম্ ॥
সর্বযজ্ঞেসু বা দানং সর্বতীর্থেসু বাপ্লুতম।
সর্ব্বদানফলং বাপি নৈতত্তুল্যমহিংসয়া ॥
অহিংস্রোস্য তপােহক্ষয্যমহিংস্রোস্য যজতে সদা।
অহিংস্রঃ সর্বভূতানাং যথা মাতা যথা পিতা।।
এতৎ ফলমহিংসাযা ভূষশ্চ কুরুপুঙ্গব!।
ন হি শক্যা গুণা বক্তমপি বর্ষশতৈরপি ॥
[ মহাভারত অনুশাসন পর্ব, অধ্যায় 101, শ্লোকঃ 37-41 ]
অনুবাদঃ
অহিংসা পরম ধর্ম, অহিংসা উত্তম ইন্দ্রিয়দমন, অহিংসা পরম দানের তুল্য এবং অহিংসা পরম তপস্যা॥ অহিংসা প্রধান যজ্ঞস্বরূপ, অহিংসা উত্তম ফলজনক, অহিংসা পরম বন্ধু- স্বরূপ, অহিংসা উত্তম সুখ উৎপাদন করে। অহিংসা পরম সত্যের তুল্য এবং অহিংসা বিশেষ শাস্ত্রজ্ঞানের সমান ॥ সমস্ত যজ্ঞে যে দান, সকল তীর্থে যে স্নান কিংবা সকল দানের যে ফল ; এই সমস্তও অহিংসার তুল্য নয়॥ হিংসাশূন্য মানুষের অক্ষয় তপস্যা হয়, হিংসারহিত মানুষ সর্বদাই যজ্ঞ করেন এবং হিংসা শূন্য লােক সমস্ত প্রাণীরই পিতা ও মাতার তুল্য হয়ে থাকে ॥
এই অহিংসার প্রচুর ফল ; অহিংসার সমস্ত গুণ শত বছরেও বলে শেষ করা যায় না ॥
…. [ মহাভারত অনুশাসন পর্ব, অধ্যায় 101, শ্লোকঃ 37-41 ]
কিন্তু হিংসা না করা মানুষের প্রকৃত ধর্ম কিন্তু ধর্ম রক্ষার প্রয়োজনে হিংসার আশ্রয়
নেওয়া তার চেয়েও শ্রেষ্ঠ ধর্ম। ॥
উক্ত শ্লোকে বলা হয়েছে অনর্থক হিংসা করা নিষ্প্রয়োজন কিন্তু ধর্ম রক্ষার্থে হিংসা করাটাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম। তাই ধর্মের প্রয়োজনে, জাতির প্রয়োজনে, দেশের প্রয়োজনে অহিংসা নয়, হিংসাই কর্তর্ব্য।
আমাদের জানা উচিত কোন্ কোন্ ব্যক্তির প্রতি হিংসা করা উচিত।
আমাদের ধর্মশাস্ত্রে আততায়ী নামক ঘৃণ্য পশুদের বধের কথা বলা হয়েছে।তাহলে জেনে নেওয়া যাক আততায়ীর সংজ্ঞা কী..??
.
অগ্নিদো গরদশ্চৈব শস্ত্রপাণির্ধনাপহঃ ।
ক্ষেত্রদারাপহারী চ ষড়েতে হ্যাততায়িনঃ।।(বশিষ্ঠ স্মৃতি:৩/১৬)
অনুবাদ:
1. যে ঘরে আগুন দেয়
2. খাবারে বিষ দেয়
3.. ধারালো অস্ত্র দ্বারা হত্যা করতে উদ্যত
4. ধনসম্পদ অপহরণকারী
5..ক্ষেতখামার অপহরণকারী ও
6..ঘরের স্ত্রী অপহরণকারী – এই ছয় প্রকার দুষ্কৃতিকারীকে আততায়ী বলা হয়।
.
এই আততায়ীদের প্রতি কীরূপ আচরণ করতে হবে সে প্রসঙ্গে মনুসংহিতা বলছে-
গুরুং বা বালবৃদ্ধৌ বা ব্রাহ্মণং বা বহুশ্রুতম্।
আততায়িনমায়াস্তং হন্যাদেবাবিচারয়ন্।।(৮/৩৫০)
অনুবাদ: সেই আততায়ী যদি গুরু, বালক, বৃদ্ধ, বহুশ্রুত ব্রাহ্মণ অথবা অতিশয় বিদ্বান্ ব্যক্তিও হয় ,তবুও অগ্রসরমান্ সেই আততায়ীকে তখনই বধ করবে।
তাছাড়া যারা সনাতন ধর্ম পালন করতে দেয় না, তাদের প্রতি কীরূপ আচরণ করতে হবে তাও বলা আছে।
.
শস্ত্রং দ্বিজাতিভির্গ্রাহ্যং ধর্ম্মো যত্রোপরুধ্যতে।
দ্বিজাতীনাঞ্চ বর্ণানাং বিপ্লবে কালকারিতে।।(৮/৩৪৮)
আত্মনাশ্চ পরিত্রাণে দক্ষিণানাঞ্চ সঙ্গরে।
স্ত্রীবিপ্রাভ্যুপপত্তৌ চ ধর্ম্মেণ ঘ্নন্ ন দুষ্যতি।।(৮/৩৪৯)
অনুবাদ:--
: যখন সাহসকারীরা সনাতন ধর্ম্ম করতে না দেয়, তখন ব্রাহ্মণাদি ও তিন বর্ণ দুষ্টদমনের জন্য অস্ত্রগ্রহণ করবে এবং আত্মরক্ষার্থে ও যজ্ঞীয় দক্ষিণাদি উপদ্রব নিবারণার্থে কিংবা যুদ্ধ উপস্থিত হলে স্ত্রীলোকের রক্ষার জন্য অস্ত্রগ্রহণ করবেন।
যখন গোটা ভারতবর্ষ থেকে সনাতন ধর্ম ম্লান হয়ে পড়েছিল।ঠিক সেই সময়ে ৭৮৮ খ্রিষ্টাব্দে বৈশাখী শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে শঙ্করাচার্য জন্মগ্রহন করেন।কোষ্ঠীবিচারে জানতে পারেন তার আয়ু ছিল মাত্র ১৬ বছর।পরে ব্যাসদেবের কৃপায় তার আয়ু আরো ১৬ বছর বৃদ্ধি পায়।ছোট থেকেই শঙ্করাচার্য পান্ডিত্য অর্জন করেন।সনাতন ধর্ম যখন এ উপমহাদেশ থেকে বিলুপ্তির পথে তখন তিনি পদব্রজে গোটা ভারতবর্ষ ভ্রমন করে ভারতের চার প্রান্তে চারটি মঠ স্থাপন করেন।যথা:দ্বারকায় সারদা মঠ,পুরীতে গোবর্ধন মঠ,জ্যোতির্ধামে যোশীমঠ এবং রামেশ্বরে শৃঙ্গেরী মঠ।শঙ্করাচার্যের ধর্মের মুল কথা অদ্বৈতবাদ।তিনি বলেন ব্রহ্ম সত্য জগৎ মিথ্যা।যা ঠাকুর নিগমানন্দ গ্রহন করেন।শঙ্করাচার্যের জ্ঞানপথ আজ সর্বত্র সমাদৃত।মাত্র ৩২ বছর বয়সে উত্তরাখন্ডের কেদারনাথে তিনি ইহলীলা সংবরন করেন।
********************************************************************
মন স্থির না হলে যোগ হয় না । সংসাররূপ হাওয়া মনরূপ দীপকে সর্বদা চঞ্চল করছে । ঐ দীপটি যদি আদপে না নড়ে, তা হ'লে ঠিক যোগের অবস্থা হয়ে যায় । কামিনীকাঞ্চনই যোগের ব্যাঘাত ।বস্তু বিচার করবে । মানুষের শরীরে কি আছে ---------রক্ত মাংস, চর্বি- নাড়িভৃড়ি, কৃমি, মুত, বিষ্ঠা এইসব । সেই শরীরের উপর আপন ভাবনা কেন ?