দীক্ষা প্রার্থনা
প্রশ্ন:- কোনো আত্মজ্ঞানী সাধক বা যোগীর কাছে দীক্ষা গ্রহণ সম্বন্ধে প্রার্থনা করার পূর্বে শিষ্যরূপী ব্যাক্তির কি করা উচিত ?
উঃ- কোনো আত্মজ্ঞানী সাধক বা যোগীর কাছে দীক্ষা গ্রহণ সম্বন্ধে প্রার্থনা করার পূর্বে - শিষ্যরূপী ব্যাক্তির নিজেকে যাচাই করা উচিত। যথা :-
(১) গুরুরূপী ব্যাক্তির সম্বন্ধে কোনোরূপ সন্দেহ বা দ্বন্দ্ব -দ্বিধা আছে কিনা।
(২) গুরুরূপী ব্যাক্তির চরিত্র - আচরণ - ব্যাক্তিত্ব সম্বন্ধীয় কোনো অমিল বা দ্বন্দ্ব বা অবিচার হচ্ছে কি না সেটা নিজের মধ্যে চিন্তন করা উচিত।
(৩) গুরুরূপী ব্যাক্তির আচরণ - স্বভাব - বাক্য - ব্যবহার, চাল- চলন , তাঁর বাহ্যিক জীবনধারাকে মানিয়ে নিয়ে অন্তঃকরণ থেকে শ্রদ্ধা -ভক্তি -বিনয় -নম্রতা আদেশ পালনের ক্ষমতা পূর্ণ মাত্রায় কায় - মন বাক্যে পালন করার যোগ্যতা শিষ্যরূপী ব্যাক্তির নিজের মধ্যে আছে কি না নিজেকে যাচাই করা উচিত।
মূলতঃ আত্মজ্ঞানী সাধকের কাছে দীক্ষা প্রার্থনা করার পূর্বে শিষ্যরূপী ব্যাক্তির নিজের অন্তঃকরণকে নিজে যাচাই করে গুরুরূপী ব্যাক্তির উপর সর্বকালে -সর্বপরিস্থিতিতে - সর্বস্থানে পূর্ণ শ্রদ্ধা - পূর্ণ বিশ্বাস - পূর্ণ নম্রতা - পূর্ণ বিনয় -পূর্ণ রূপে আদেশ পালনের ক্ষমতা যদি লাভ হয়ে থাকে তারপরই কোনো আত্মজ্ঞানী সাধকের কাছে দীক্ষা প্রার্থনা করা উচিত।
উপরোক্ত আচরণ গুরুরূপী ব্যাক্তির ওপর শিষ্যরূপী ব্যাক্তির যদি অভাব থাকে বা পূর্ণরূপে পালন করার ক্ষমতা না থাকে , তাহলে ততদিন পর্যন্ত দীক্ষা প্রার্থনা করা উচিত নয়।
শিষ্যরূপী ব্যাক্তির নিজেকে পূর্ণ যাচাই -এর পর বেদান্ত অনুসারে উপরোক্ত যোগ্যতা লাভের পরই দীক্ষা প্রার্থনা করা উচিত।