গুরুশক্তিই ব্রহ্মশক্তি
গুরুশক্তিই ব্রহ্মশক্তি "
১) গুরুকে আন্তরিক শ্রদ্ধা করিলে সর্ব্বদেবতা তুষ্ট হন ।
২) গুরুর আশ্রয় লইয়া সকল আশ্রয় প্রাপ্ত হয় ।
৩) গুরুর কোনো কার্য্যই সমালোচনা কখনো করিতে নাই -তাতে গুরু নিন্দা দোষ উৎপন্ন হয় ।
৪) গুরুকে সাধারন মানুষ জ্ঞান কখনো কোনো কারণেই করিতে নাই -ঈশ্বর কৃপা করে গুরু রূপে পথ দেখছেন এই জ্ঞানকেই স্থিতি করতে হয় ।
৫) গুরুর আদেশই একমাত্র আদেশ যা নির্বিচারে -বিনাতর্কে পালন শিষ্যের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য ।
৬) গুরুকে বা গুরুর সর্বদর্শিতা ও অন্তরযামিত্ম শক্তি সমন্ধে কখনো কোনো ভাবেই সন্দেহ বা সংশয় করা অনুচিত - কারণ গুরুকে সংশয়কারী ব্যক্তি অধঃপাতে যায় ।
৭) গুরু বাড়ি বা বাসস্থানকে বা স্থুল বাসভূমিকে - তীর্থ বা মন্দির জ্ঞান করিতে হয় ।
৮) গুরু-কৃপায় পরম মুক্তির পথ লাভ হয় ।
৯) গুরুর কৃপার সমান কৃপা ও গুরুর নিষ্কাম প্রেম এর সমান প্রেম জগতে আর কেহ করতে পারেন না -আর কারো পক্ষেই করা সম্ভবই হয় না ।
১০) গুরুর উপর পূর্ণ রূপে সমর্পিত ও আশ্রিত ব্যক্তিকে পাপ কখনো স্পর্শ করিতে পারে না ।
১১) গুরু আধার অনুযায়ী বীজ ও যোগ দীক্ষা দেন যা কারো সঙ্গে তুলনা করা অনুচিত ।
১২) গুরুর দেওয়া যোগদীক্ষা কখনো নিষ্ফল হয় না ।
১৩) গুরুসেবা প্রত্যেক শিষ্যের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য ।
১৪) গুরুর পূজা করা একমাত্র শিষ্য এর সর্বপ্রথম অধিকার ।
১৫) গুরু পূজায় শুচি-অশুচি নাই ।
১৬) গুরুর কৃপা শক্তি শিষ্যকে সর্বদা সুরক্ষিত রাখে ।
১৭) গুরুকে কখনো জিগ্যেস করতে নাই - যে কি করে গুরু সেবা করতে হয় বা কি কি কাজ করে গুরু সেবা করবো বা আপনার কি কি দরকার বলুন আমি করে দেব --এটা করলে শিষ্যের শালীনতা , বিনয় , বিবেক ও শিষ্টাচার নষ্ট হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে অধঃপাতে যায় ।
১৮) যে শিষ্য গুরুর চরণে সম্পূর্ণ সমর্পন করে সে গুরুর অন্তরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায় , যার ফলে সে সৎশিষ্য-উৎকর্ষশক্তি লাভ করে , তার ফলে সেই শিষ্যকে আর কখনোই গুরুকে জিগ্যেস করার দরকার পড়ে না যে সে কি ভাবে গুরু সেবা করবে বা কি কি কাজে গুরু সেবা হয় বা গুরুর কখন কি প্রয়োজন বা কোন প্রকৃত কাজে গুরু প্রসন্ন হন এবং সে সেই সেই কাজ সৎশিষ্য-উৎকর্ষশক্তির প্রভাবে জেনে প্রতিটি কাজ করে গুরু সেবা করে মহান যোগ্যতা সম্পন্ন সৎশিষ্যে পরিণত হয়-তখন সে আর সাধারণ শিষ্য থাকে না- সে তখন গুরুর পরম আন্তরিক প্রিয় শিষ্যে পরিণত হয় এবং শেষ এ মৃত্যু এর পর গুরু যে লোকে যান সে লোকে তার গতি হয় । এই রকম সম্পূর্ণ সমর্পনকারী শিষ্য অতি দুর্লভ।
গুরু-শিষ্য সম্পর্ক এর ঐশ্বরিক নিয়ম ও বিধান এবং ব্যবহার শিক্ষার দ্বারা বোঝা দরকার। এটা আমরা বৈদিক অনুশাসনের মাধ্যমে শিখি। এটা খুবই সহজ, কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ: যে আপনাকে প্রথমে ঐশ্বরিক নিদিষ্ট সৎগুরুকে খুঁজে বের করতে হবে; তারপর আপনার প্রকৃত আধ্যাত্মিক পথের উন্নতি শুরু হবে । আমি শুধুমাত্র একটি শাস্ত্রীয় সত্য বিবৃত করছি: আপনি যদি ঈশ্বর বা মুক্তি বা আত্মজ্ঞান লাভ করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই একজনের প্রতি সম্পূর্ণ সমর্পন ভাবনায় অনুগত থাকতে হবে যাকে ঈশ্বর আপনাকে মুক্তি বা আত্মজ্ঞান এর লাভের সাহায্য এর জন্য পাঠিয়েছেন।