খাবার বাছাই করা একটি ব্যাক্তিগত, পরম্পরাগত ও নির্দিষ্ট মতবাদের বিশ্বাসের উপর নির্ভরশীল। কাজেই এমন অনেক হিন্দু আছেন যারা তাদের বংশানুক্রমিক পরম্পরা ও বিশ্বাসের জন্য কিছু জিনিস খাওয়া ত্যাগ করেছে। যেমন – ভারতের অনেক বৈষ্ণব সম্প্রদায় ভুক্ত হিন্দু (উত্তর ভারত) আছেন যাদের বাড়িতে মাছ তোলা নিষিদ্ধ। আবার অনেকের হিন্দু বাড়িতে (উত্তর-পশ্চিম ভারত) মাছ মাংশ দুটোই তোলা নিষিদ্ধ। কাজেই হিন্দুদের মধ্যে পরম্পরাগত, ব্যাক্তিগত ও বিশ্বাসী মতবাদগত ফ্যাকটর গুলির উপর অনেক অংশে নির্ভর করে নিষিদ্ধ খাবার গুলি বাছাই এর ক্ষেত্রে। তাই কারো ব্যাক্তিগত বা পরম্পরাগত পছন্দ তে হস্তক্ষেপ করার জন্য এই নিবন্ধটি লিখা হয়নি! বরং উক্ত নিবন্ধটি সেইসব সনাতন ধর্মালম্বীদের জন্য লিখা হয়েছে যারা সনাতন বৈদিক শাস্ত্রকে অবলম্বন করে চলেন এবং জানতে ইচ্ছা রাখেন কোন কোন খাবার গুলো শাস্ত্রের সাপেক্ষে সিদ্ধ বা নিষিদ্ধ। এখানে হিন্দু শাস্ত্র বলতে বেদ, পুরাণ ও তন্ত্রের মূল গ্রন্থ গুলি থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এই বৈধ-অবৈধ খাবারের সূচীটি বানানো হয়েছে। প্রাণীজ:----------- দুধ 1. উট ও ভেড়ার দুধ পান করা নিষিদ্ধ। —--তথ্যসূত্র – আপস্তম্ব ধর্মসূত্র ১.৫.১৭.২২-২৩, বৌধায়ন ধর্মসূত্র ১.৫.১২.১১-১২, যাজ্ঞবল্ক স্মৃতি ৭.১৭০ 2.এক খুর বিশিষ্ট প্রাণীর (যেমন – ঘোড়া) দুধ পান করা নিষিদ্ধ। —-- তথ্যসূত্র – আপস্তম্ব ধর্মসূত্র ১.৫.১৭.২৩, যাজ্ঞবল্ক স্মৃতি ৭.১৭০ 3.গরু, মোষ, ছাগলের বাচ্চা জন্মানোর পর থেকে ১০দিন যাবৎ তাদের দুধ পান নিষিদ্ধ।—----তথ্যসূত্র – আপস্তম্ব ধর্মসূত্র ১.৫.১৭.২৪, বসিষ্ট ধর্মসূত্র ১৪.৩৫, বৌধায়ন ধর্মসূত্র ১.৫.১২.৯, যাজ্ঞবল্ক স্মৃতি ৭.১৭০ 3. নিচুস্তরের পশু (যেমন – কুকুর, বেড়াল) ও মাংসাশী পশুর (যেমন – বাঘ, সিংহ, শৃগাল) দুধ পান নিষিদ্ধ।—--তথ্যসূত্র – লৌগাক্ষিগৃহ্ম সূত্রাণি ২.১৮৪ ডিম মাছ-মাংস 1. সাপ, কুমীর, ঘড়িয়াল, শুশুক, সর্প আকৃতির মাছ, ব্যাঙ, অনিয়তকার মস্তক বিশিষ্ট মাছ (যেমন – ইল, কুঁচে মাছ, হাঙর, তিমি ইত্যাদি) ও জলজ শামুক, ঝিনুক, গুগলি ইত্যাদি খাওয়া নিষিদ্ধ।—--------তথ্যসূত্র – বশিষ্ট ধর্মসূত্র ১৪.৪১, গৌতম ধর্মসূত্র ১৭.৩৬, আপস্তম্ব ধর্মসূত্র ১.৫.১৭.৩৮-৩৯ 2. মোরগ/মুরগি খাওয়া নিষিদ্ধ।…….তথ্যসূত্র – মার্কণ্ডেয় পুরাণ ৭.৬.৪ 3. যে সমস্ত পাখী শুধু তাদের পা দিয়ে মাটিতে আঁচড়ে আঁচড়ে খাবারের সন্ধান করে এবং যেসব পাখীরা লিপ্তপদী (যেমন – হাঁস) তাদের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ।—-তথ্যসূত্র – বশিষ্ট ধর্মসূত্র ১৪.৪৮, গৌতম ধর্মসূত্র ১৭.৩৪-৩৫, বিষ্ণু স্মৃতি LI.২৮-৩১, বৌধায়ন ধর্মসূত্র ১.৫.১২.৭ 4. রাজহাঁস, সারস, পানকৌড়ি, বক, কাক, পায়রা, টিয়া, ঘুঘু, তিতির, বাজ, চিল, শকূন, বাদুড়, ময়ূর, স্টার্লিং, দোয়েল, চড়ুই, কাঠঠোঁকরা, মাছরাঙা এবং নিশাচর পাখীর মাংশ খাওয়া নিষিদ্ধ।—----তথ্যসূত্র – বশিষ্ট ধর্মসূত্র ১৪.৪৮, গৌতম ধর্মসূত্র ১৭.৩৪-৩৫, বিষ্ণু স্মৃতি LI.২৮-৩১, বৌধায়ন ধর্মসূত্র ১.৫.১২.৭, যাজ্ঞবল্ক স্মৃতি ৭.১৭২-১৭৪ 5 মাংসাশী পাখির মাংশ আহার নিষিদ্ধ।—-তথ্যসূত্র – আপস্তম্ব ধর্মসূত্র ১.৫.১৭.৩৪, যাজ্ঞবল্ক স্মৃতি ৭.১৭২ 6. যেকোনো বিস্বাদ ও খাদ্য অনুপযোগী মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ।—-তথ্যসূত্র – মনু স্মৃতি ৫.১১-১৭, বশিষ্ট ধর্মসূত্র ১৪.৪৪ 7. যে সমস্ত পশুর দুধের দাঁত ভাঙেনি তাকে জবাই করা নিষিদ্ধ অর্থ্যাৎ অপ্রাপ্তবয়স্ক পশুর মাংস আহার নিষিদ্ধ।—-তথ্যসূত্র – বশিষ্ট ধর্মসূত্র ১৪.৪৫, গৌতম ধর্মসূত্র ১৭.৩০-৩১ 8. যে সমস্ত পশুর একটি মাত্র চোয়ালে দাঁত আছে (যেমন-ঘোড়া) তাদের মাংস আহার নিষিদ্ধ।—-তথ্যসূত্র – বশিষ্ট ধর্মসূত্র ১৪.৪০, মনু স্মৃতি ৫.১৪, বিষ্ণু স্মৃতি LI.৩০ 9. যে সমস্ত প্রাণীর পা বহু অংশে বাঁকা। যেমন শজারু, কাঁটাচয়া, শশক, খরগোশ, কচ্ছপ, গোধা, গোধিকা ইত্যাদির মাংশ খাওয়া সিদ্ধ।—-তথ্যসূত্র – বশিষ্ট ধর্মসূত্র ১৪.৩৯, গৌতম ধর্মসূত্র ১৭.২৭, বৌধায়ন ধর্মসূত্র ১.৫.১২.৫, মার্কণ্ডেয় পুরাণ ৭.৬.৪ 10. গণ্ডার ও বন্য শূকরের মাংশ খাওয়া সিদ্ধ।—---তথ্যসূত্র – বশিষ্ট ধর্মসূত্র ১৪.৪৭, বৌধায়ন ধর্মসূত্র ১.৫.১২.৫ 11 নরমাংস বা নরাকার যন্তুর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ।—--তথ্যসূত্র – মহানির্ব্বাণ তন্ত্র ৮.১০৮ 12. গৃহপালিত ছাগল এবং ভেড়ার মাংস খাওয়া বৈধ।—তথ্যসূত্র – বৌধায়ন ধর্মসূত্র ১.৫.১২.১-৪ 13. গ্রাম্য শূকরের মাংস নিষিদ্ধ।—---তথ্যসূত্র – মার্কণ্ডেয় পুরাণ ৭.৬.৪, আপস্তম্ব ধর্মসূত্র ১.৫.১৭.২৯ 14. যেকোনো মৃত প্রাণীর মাংস আহার করা নিষিদ্ধ। —----তথ্যসূত্র – আপস্তম্ব ধর্মসূত্র ১.৫.১৬.১৬ 15. বহু উপকারী গোজাতির মাংস আহার সর্বদা নিষিদ্ধ।—---তথ্যসূত্র – মহানির্ব্বাণ তন্ত্র ৮.১০৮, বিষ্ণু পুরাণ ৩.৩.১৫, ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণ ১.৯.৯, বশিষ্ট ধর্মসূত্র ১৪.৪৩-৪৫ 16. গৌর, ঘায়ল, সরাভ, ষাঁড় প্রভৃতি গো সম্প্রদায় ভুক্ত জীবের মাংস নিষিদ্ধ।—--তথ্যসূত্র – বশিষ্ট ধর্মসূত্র ১৪.৪৩, আপস্তম্ব ধর্মসূত্র ১.৫.১৭.২৯ 17. মাংসাশী প্রাণীর মাংস নিষিদ্ধ।—-তথ্যসূত্র – মহানির্ব্বাণ তন্ত্র ৮.১০৮, গৌতম ধর্মসূত্র ১৭.৩৪ ★ মূলত মাংসাশী প্রাণী বলতে যেমন – বাঘ, সিংহ, শৃগাল, বন্য কুকুর ইত্যাদি। 18. একখুর বিশিষ্ট প্রাণীর (যেমন – উটের) মাংস নিষিদ্ধ।—---তথ্যসূত্র – আপস্তম্ব ধর্মসূত্র ১.৫.১৭.২৯ 19. কৃষ্ণসার, হরিণ, সাধারণ হরিণ, বন্য শূকরের মাংস খাওয়া বৈধ।—-তথ্যসূত্র – বৌধায়ন ধর্মসূত্র ১.৫.১২.৬ 20. স্বাদু ও লবণাক্ত জলের মাছ আহার হিসাবে গ্রহণ করা বৈধ।—-তথ্যসূত্র – বৌধায়ন ধর্মসূত্র ১.৫.১২.৮ 21. কুকুর, বিড়াল, বানর, মহিষ প্রভৃতি বন্য প্রাণীর মাংস আহার নিষিদ্ধ।—--- অন্যান্য 3. ব্যাঙের ছাতা, শালগম নিষিদ্ধ।—তথ্যসূত্র – আপস্তম্ব ধর্মসূত্র ১.৫.১৭.২৮, যাজ্ঞবল্ক স্মৃতি ৭.১৭১, বশিষ্ট ধর্মসূত্র ১৪.৩৩ 4. যেকোনো আহারে উপযোগী বীজ, ফল, মূল, সব্জি খাওয়া বৈধ।—তথ্যসূত্র – নারদ পুরাণ ১১.১২-২২ 7. টকে যাওয়া (ব্যাতিক্রম – দই) বা পচে যাওয়া বা কোনো খাবারে উভয়ে মিশ্রিত খাবার খাওয়া নিষিদ্ধ।—-তথ্যসূত্র – আপস্তম্ব ধর্মসূত্র ১.৫.১৭.২০, বৌধায়ন ধর্মসূত্র ১.৫.১২.১৫, যাজ্ঞবল্ক স্মৃতি ৭.১৬৭ উক্ত নিষিদ্ধতার বাইরের খাদ্য বস্তু বা আহার সামগ্রী সমূহ বৈধ, কারণ সেইসব আহার সামগ্রীর উপরে নিষিদ্ধতা আরোপ হয়নি সনাতনশাস্ত্র সমূহে। “যজ্ঞের জন্য ও অবশ্যপালনীয় জীবনধারণের জন্য প্রশস্ত পশুপাখি বধ্য। প্রাচীনকালে অগস্ত মুনি এরুপ আচরণ করেছিলেন।” (মনুসংহিতা, ৫/২২) “সকল স্থাবর (উদ্ভিদ) ও জঙ্গম (প্রাণী) ব্রহ্মা প্রাণীর প্রাণধারণের জন্য সৃষ্টি করেছিলেন। সুতরাং প্রাণী সকল প্রয়োজনে ভোজ্য।” (মনুসংহিতা, ৫/২৮) “প্রতিদিন ভক্ষ্য প্রাণী সকল ভক্ষণ করে ভোক্তা দোষভাগী হয় না। বিধাতাই ভক্ষ্য প্রাণী ও ভক্ষকগণকে সৃষ্টি করেছেন।” (মনুসংহিতা, ৫/৩০) “ব্রহ্মা নিজেই যজ্ঞের জন্য পশুগণকে সৃষ্টি করেছেন। যজ্ঞ সকলের উন্নতির কারণ, সুতরাং যজ্ঞে পশুবধ বধ নয়।” (মনুসংহিতা, ৫/৩৯) “ক্রীত বা নিজে পশু পালন করে তার মাংস বা অপর কর্তৃক প্রদত্ত মাংস দেবগণ ও পিতৃগণকে অর্চনা করে ভক্ষণ করলে দোষভাগী হয় না।” (মনুসংহিতা, ৫/৩২) বনবাসে ভরদ্বাজ মূনি রাম সীতা লক্ষণের ভোজনের জন্যে পশুর মাংস ও ফলমূলের ব্যবস্থা করেছিলেন। (বাল্মীকি রামায়ণ, ২/৫৪)। নিষাদরাজের অতিথি হয়ে মৎস্য এবং নানান রকমের শূষ্ক ও আর্দ্র মাংস ভোজন করেছিলেন। (বাল্মীকি রামায়ণ, ২/৮৪)। মহাভারতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের পরে কৃষ্ণ, যুধিষ্ঠিরকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে রাজা “রন্তিদেবের” মাহাত্ম্য সম্বন্ধে উদাহারণ দিতে গিয়ে বললেন যে এই রাজা দ্বারা যজ্ঞে নিহত অসংখ্য পশুর চামড়া থেকে নির্গত রসে চর্মম্বতী নামক নদী (আধুনিক চম্বল) সৃষ্টি হয়েছিল এবং তিনি অতিথি সৎকার ও সেবা করতেন কুড়ি হাজার একশত পশু কেটে তাদের মাংস পরিবেশন করে। (বেদব্যাসী মহাভারত, ১২/২৯)। এই প্রসঙ্গে কৃষ্ণ রাজা রন্তিদেবের পুণ্যতাকে যুধিষ্ঠিরের উর্ধ্বে স্থান দেন। এছাড়া অর্জুনসহ পঞ্চপাণ্ডবরা মাংস খেতেন। কৃষ্ণ খান্ডব বন দাহনের সময় ঝলসে যাওয়া হরিনের মাংস খেয়েছিলেন। গীতায় কোথাও মাংস ভক্ষণ নিষিদ্ধের কথা বলা হয়নি। "যে আহার আয়ু, সত্ত্ব, বল, আরোগ্য, সুখ ও প্রীতি বর্ধনকারী এবং রসযুক্ত, স্নিগ্ধ, স্থায়ী ও মনোরম, সেগুলো সাত্ত্বিক আহার হিসেবে সর্বদা বিবেচ্য হয়ে থাকে" (গীতা, ১৭/৮) "যে আহার অতি তিক্ত, অতি অম্ল, অতি লবনাক্ত, অতি উষ্ণ, অতি তীক্ষ্ণ, অতি শুষ্ক, অতি প্রদাহকর এবং দুঃখ, শোক ও রোগপ্রদ সেগুলো রাজসিক আহার হিসেবে বিবেচ্য" (গীতা, ১৭/৯) "যে আহার অনেক পূর্বে রাঁধিত, যা নীরস, দুর্গন্ধযুক্ত, বাসী, পচা, যা র ঘ্রান গ্রহনে নাসিকা সরে আসে এবং অপরের উচ্ছিষ্ট দ্রব্য ও অমেধ্য দ্রব্য, সেই সমস্ত তামসিক হিসেবে বিবেচ্য" (গীতা, ১৭/১০) কিন্ত বস্তত দুধ ও আমিষ হিসেবে কথিত আছে! যদিও বা দুধের মধ্যে প্রোটিনের মাত্রা অন্যসব আমিষ আহারের চাইতে অনেক কম, প্রায় ৩% এর মত। যার দরুন তাকে সাধারণত নিরামিষভোজী রা নিরামিষ ভাবে। কিন্ত শাস্ত্রে এই আমিষ, নিরামিষ নয়! সাত্ত্বিক আহার হিসেবেই ঘোষিত করেছে।শাস্ত্র সাপেক্ষে নিষিদ্ধ খাবারের সূচী
1. হাঁস, মুরগি, ময়ুরের ডিম খাওয়া সিদ্ধ। —--তথ্যসূত্র – মানব গৃহসূত্র ১.৪.২-৪, ভেল সংহিতা – চিকিতসাস্থানম – ২৬৭, চরক সংহিতা ২৭.৬৩-৬৪
তথ্যসূত্র – লৌগাক্ষিগৃহ্ম সূত্রাণি ২.১৯৩, বশিষ্ট ধর্মসূত্র ১৪.৩৩, মানব গৃহসূত্র ১.৪.২-৪
1. মাদক দ্রব্য মিশ্রিত পানীয় নিষিদ্ধ।—তথ্যসূত্র – আপস্তম্ব ধর্মসূত্র ১.৫.১৭.২১
2. সুরা ও সুরা প্রস্তুতের জন্য ব্যাবহৃত দ্রব্য সমূহ নিষিদ্ধ।—তথ্যসূত্র – আপস্তম্ব ধর্মসূত্র ১.৫.১৭.২৫
5. সুস্বাদু আহারে উপযোগী রস (যেমন – খেঁজুরের রস, তালের রস, আখের রস, ডাবের জল, ফলের রস ইত্যাদি), দুগ্ধজাত পদার্থ (যেমন – দুধ, ঘি, মাখন, দই) মধু ইত্যাদি বৈধ।—-তথ্যসূত্র – নারদ পুরাণ ১৮.১২-১৩
6. রসুন,পলাণ্ডু,মসুর ডাল, হিং, খেসারি ডাল,কুল বা বদ্রি ফল খাওয়ার উপর নিষিদ্ধ বিধান আছে ।—-তথ্যসূত্র –আপস্তম্ব ধর্মসূত্র ১.৫.১৭.২৬, মনু স্মৃতি ৫.৫, যাজ্ঞবল্ক স্মৃতি ১.১৭৬, বশিষ্ট ধর্মসূত্র ১৪.৩৩ অনুসারে রসুন খেলে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।
9. যে খাবারে কোনো পশু মুখ দিয়েছে তা খাওয়া নিষিদ্ধ। —--তথ্যসূত্র – গৌতম ধর্মসূত্র ১৭.১০, যাজ্ঞবল্ক স্মৃতি ৭.১৬৭
10. যে সব খাবারে পোকা জন্মছে তা খাওয়া নিষিদ্ধ।—--- তথ্যসূত্র – আপস্তম্ব ধর্মসূত্র ১.৫.১৬.২৬, যাজ্ঞবল্ক স্মৃতি ৭.১৬৭
আসলে শাস্ত্রে নিরামিষ আমিষ নিয়ে নয়। সাত্ত্বিক, রাজসিক ও তামসিক আহারের কথাই বলা আছে। আর নিরামিষ ভোজী রা সাধারণত সাত্ত্বিক আহারকেই কেন্দ্রস্থল হিসেবে নিজেকে নিরামিষ ভোজী দাবী করেন।