সন্ন্যাস গ্ৰহন
উপরতি; বিহিত কৰ্ম্ম সকলের সন্ন্যাসবিধান দ্বারা যে পরিত্যাগ, তাহার নাম উপরতি,[ ( সন্ন্যাস গ্ৰহনের কথা বলা হয়েছে এবং তিনি সন্ন্যাস লাভের অধিকারী কি না তাহা ব্রহ্মজ্ঞ গুরুই বিধান দেবেন। )।উপরতি হলো সন্ন্যাসাশ্রম গ্রহণপূর্বক শাস্ত্রবিহিত কার্যকলাপ পরিত্যাগ। তিনি সংসার ত্যাগ করিয়া ব্রহ্মজ্ঞ গুরুর নিকট থাকিয়া বেদ,উপনিষদাদি, বিভিন্ন দর্শন শাস্ত্রের ব্যাখ্যা গুরু মুখে শ্রবন করিবেন এবং উহা কি পদ্ধতিতে বিচার করিতে হইবে তাহার উপদেশ প্রাপ্ত হইবেন। তাহার পর বাকী চারটি অবস্থা , বহুদক,কুটীচক,হংস এবং পরমহংস ,
১) বহুদক= শংকরাচার্য্যের চারটি মঠ সমেত অন্যান্য তীর্থক্ষেত্র সদগুরুর নির্দেশ অনুযায়ী ভ্রমন করিবেন এবং ঐসব তীর্থক্ষেত্রে কি করিতে হইবে তিনিই নির্দেশ দিবেন।
২) কুটীচক = সদগুরুর নির্দেশ অনুযায়ী নির্জনে কুটির বেঁধে সাধন ভজন করিবেন।
৩)ইহার অর্থ এই যে 'অহং' ও 'স' শব্দ দুটি মিলে 'হংস' হয়; অহং হল 'আমি' ও স হল 'সে', একত্রে অর্থ 'আমি সে'। এখানে, 'আমি' বোঝায় জীবাত্মা বা জীবতম, জীবন্ত আত্মা, এবং 'তিনি' পরমাত্মা।এই সম্পর্কটি অদ্বৈত দর্শনের প্রতিফলন করে, যা জীবাত্মা ও পরমাত্মার একত্বকে বোঝায়।
তিনি অবধূতবিশেষ, গৃহহীন, ত্যাগী, স্ত্রী-সংসর্গবর্জিত, কামনারহিত, অযাচক-ব্রতী, যতিবিশেষ
।৪) পরমহংস = সদগুরুর নির্দেশ অনুযায়ী নির্বিকল্প সমাধিতে বসিয়া সিদ্ধিলাভ করিবেন। অতএব এই জ্ঞানমার্গের সাধনা যদি শাস্ত্র অনুযায়ী ধরা হয় কোটিতে একজন।এগুলির উপদেশ প্রাপ্ত হইয়া তিনি পরের পর অবস্থা লাভ করিবেন। পরে ব্রহ্মজ্ঞ গুরুর নির্দেশ অনুযায়ী তিনি গুরুগিরি করিবেন অথবা অন্যপথে চলিবেন তাহা গুরুই নির্দেশ করিবেন। যদি তাঁহাকে গুরুদেব সংসার করার পরামর্শ দেন অথবা লোকালয়ে গুরুগিরির উপদেশ দেন তবেই তিনি লোকচক্ষুর সামনে আসিবেন।