গ্রহপীড়া অনুসারে কী মন্ত্র জপ করবেন:
সনাতন পঞ্জিকায় মলমাস একটি অতি পরিচিত নাম। মলমাস মানেই সেই মাসে পূজাপার্বণদি ও সবধরনের শুভানুষ্ঠান বন্ধ থাকে। মলমাসের কারণে কখনও কখনও দুর্গাপূজা মহালয়ার একমাস পরে কার্তিক মাসে চলে যায়। কিন্তু এই মলমাস কী? এর হিসাব কেন আবশ্যক? এটি কি পুরোপুরি একটি কুসংস্কার মাত্র! আমাদের প্রায় সব সনাতন ধর্মীয় উৎসব পালন হয় সৌর ও চান্দ্র মাসের সমন্বয়ে নির্ধারিত দিনে। কারণ সঞ্চারণশীল এই পৃথিবী সূর্য ও চন্দ্র উভয়ের দ্বারাই প্রভাবিত। সনাতন রীতিতে পূজাপার্বণ হয় তিথি অনুযায়ী, তিথি নির্ণয় হয় পৃথিবীর সাপেক্ষে চন্দ্রের অবস্থানের ভিত্তিতে। অন্যদিকে একেক পূজার তিথি নির্ণয় হয় মাস তথা ঋতু অনুসারে। এই ঋতু নির্ভর করে পৃথিবীর সাপেক্ষে সূর্যের অবস্থানের ওপর। যেমন ধরুন আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজার জন্য নির্ধারিত সময় হলো শরৎকালের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথি থেকে দশমী। অর্থাৎ সনাতন রীতিতে ধর্মীয় উৎসবে সৌর বর্ষের ও চান্দ্রবর্ষের উভয় হিসাব নিকাশ সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরে প্রায় ৩৬৫ দিনে, এইজন্য এক সৌরবর্ষের সময়কাল হলো ৩৬৫ দিন। অন্যদিকে চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে ঘুরতে সময় লাগায় ২৯.৫ দিন। সুতরাং, ১২ বার ঘুরতে সময় লাগায় (২৯.৫ x ১২) = ৩৫৪ দিন।অতএব, এক চান্দ্র বর্ষের সময়কাল হলো ৩৫৪ দিন। এখানেই লুকিয়ে রয়েছে সেই সমস্যা। একটি চান্দ্র বর্ষের সময়কাল একটি সৌর বর্ষের সময়কালের থেকে (৩৬৫-৩৫৪) = ১১ দিন কম। ৩৬০ টি তিথি সম্পূর্ণ হয় ৩৫৪ দিনে। আর একটি সৌর বর্ষের সময়কাল হলো ৩৬৫ দিন। অর্থাৎ প্রতি বছর সৌর বর্ষের সমাপ্তি ঘটার আগেই চান্দ্র বর্ষের সমাপ্তি হয়ে নতুন চান্দ্র বর্ষের এগারো দিন সময় অতিবাহিত হয়ে যায়। এতে করে পুজো পার্বণ গুলি গত বছরের থেকে দশ বা এগারো দিন করে এগিয়ে যায়। এই হিসাবে প্রতি ২ বা ৩ বছর অন্তর চান্দ্র মাস সৌর মাসের থেকে ২০ থেকে ৩০ দিন সময় এগিয়ে যায়। এমনিভাবে চলতে থাকলে পূজাপার্বণ ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যেতে থাকবে এবং তা নির্দিষ্ট ঋতুতে আর সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হবে না। একটি নির্দিষ্ট ঋতুতে এবং নির্দিষ্ট তিথিতে পূজাপার্বণদি করার জন্য সৌর বর্ষ আর চান্দ্রবর্ষের সমন্বয় করার একান্ত জরুরি। নাহলে হয় তিথি ঠিক থাকবে, ঋতু বদলে যাবে কিংবা তার উল্টো। এই সমস্যাটিকে সমন্বয় করার জন্য প্রতি দুই বা তিন বছর অন্তর সৌর বর্ষের তুলনায় অতিরিক্ত চান্দ্র মাসটিকে "অধিমাস" ধরে ওই মাসে পূজাপার্বণ স্থগিত রাখা হয়। এই অতিরিক্ত মাসটিতে কোনো পূজাপার্বণাদি ও শুভানুষ্ঠান হয় না বলে ওই মাসটিকে দূষিত মাস বা মল মাস বলে। অর্থাৎ সনাতন পঞ্জিকায় মলমাসের যে প্রচলন তা কুসংস্কার ত নয়ই বরং প্রাচীন ঋষিদের জ্যোতির্বিজ্ঞানীয় নিখুঁত গাণিতিক সমাধানের প্রতিফলন। [ বিঃদ্রঃ যে চান্দ্র মাসে সূর্য রাশি পরিবর্তন করে এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে গমন করে না, তাকেই অধিমাস হিসেবে ধরা হয়। অধিমাসে দুটো অমাবস্যা বা তিনটি প্রতিপদ তিথি থাকতে পারে। ] তথাকথিত আধুনিকমনা সনাতনী সমাজের মধ্যে একটি ভয়ংকর প্রবণতা রয়েছে যে, যেকোনো সনাতনী সংস্কার বা আচারকে কোন বিচার-বিবেচনা না করেই হুট করে কুসংস্কার দাবী করে আধুনিকমনস্ক নামক একটা মিথ্যা খোলসের ভেতর ঢুকে যাওয়া। তাদের উদ্দেশ্যে স্পষ্টভাবে বলতে চাই; যেকোনো আচার সংস্কারকে কুসংস্কার বলার আগে অন্তত একবার বিচার-বিশ্লেষণ করে নিবেন, নিজেদের পূর্ব পুরুষদের অজ্ঞ ভাবার আগে নিজেদের যোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিবেন। এক মাসে দুটা পূর্ণিমা হলে সেই মাস কে শুদ্ধ মাস বলা হবে, প্রতি দুই বৎসর অন্তর এই কাল উৎপন্ন হয়। চন্দ্র-সূর্যের হিসেব-নিকেশঃ
কোনও মহিলা সৌভাগ্যবতী হলে তাঁর গোটা পরিবার সেই সৌভাগ্যের ছটায় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। কথায় বলে, প্রত্যেক সফল পুরুষের পেছনে একজন মহিলার হাত থাকে। কারণ যে নারী সৌভাগ্যবতী হন, তিনি তাঁর সঙ্গে গোটা পরিবারকে সৌভাগ্যের দ্বারে পৌছে দেন। সৌভাগ্যের আশীর্বাদ পেতে আমরা সবাই চাই। পুরুষ ও মহিলা উভয়ের শরীরেই এমন কিছু কিছু চিহ্ন থাকে, যা দেখে তিনি কতটা সৌভাগ্যশালী তা আন্দাজ করা যায়। জেনে নিন মহিলাদের শরীরে কোন কোন নিদর্শন থাকলে তা সৌভাগ্যের নিদর্শন বলে মনে করা হয়। 1. পায়ের তিল সমুদ্রশাস্ত্র অনুসারে কোনও মহিলার পায়ে যদি ত্রিভূজাকৃতি আকারের তিল থাকে তাহলে তা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এই ধরনের মহিলারা অত্যন্ত বুদ্ধিমতী হন। এঁরা সব সময় অন্য়দের সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত থাকেন। 2. নাভিতে তিল মহিলাদের ক্ষেত্রে নাভির কাছে তিল থাকা অত্যন্ত শুভ। এই ধরনের মহিলারা তাঁদের গোটা পরিবারের জন্য সৌভাগ্য় নিয়ে আসেন। নাভির কাছাকাছি যাদের তিল থাকে, তাঁরা শুধু সৌভাগ্য নিয়ে আসেন তাই নয়, পাশাপাশি সুখ ও সমৃদ্ধিও তাঁদের পরিবারের জন্য নিয়ে আসেন। 3. গোড়ালি যে মহিলাদের গোড়ালি লম্বা, তাঁদের জীবনে অনেক কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়। কিন্তু যাঁদের পায়ের বুড়ো আঙুল চওড়া, গোল ও লালচে হয়, তাঁরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবতী হয়ে থাকেন। 4. পায়ের পাতা যে মহিলাদের পায়ের পাতা শঙ্খের মতো, পদ্মের মতো অথবা চক্রের মতো, তাঁরা লক্ষ্মীমন্ত হয়ে থাকেন। এঁরা হয় নিজেরা জীবনে বড় কোনও সাফল্য় অর্জন করেন অথবা সঙ্গীর জন্য় সৌভাগ্য নিয়ে আসেন। 5. নাকে তিল নাকে তিল থাকা মহিলাদের জন্য খুবই শুভ। এদের জন্য সৌভাগ্যের দরজা সব সময় উন্মুক্ত থাকে। সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এঁদের জীবনে সব সময় ঘিরে থাকে। 6. জিভ জিভ নরম ও গোলাপী হওয়া মহিলাদের জন্য় খুবই শুভ। এরা সুখ ও সৌভাগ্যের প্রতীক হন। এঁরা যেখানে থাকেন, সেখনে যেন সুখ ও সমৃদ্ধির জোয়ার বয়ে যায়। 7. চোখ যে মহিলাদের চোখ সুন্দর, তঁদের ভাগ্যও খুব ভালো হয়। হরিণের মতো চোখ যাঁদের সেই মহিলারা অত্যন্ত সৌভাগ্যশালী হন। এঁরা নিজেদের চারপাশে ভালোবাসা ও আনন্দের বাতাবরণ তৈরি করে রাখেন। যে মহিলাদের চোখের কোণ লালচে হয়, তাঁরাও অত্যন্ত সৌভাগ্যশালী হন।আমাদের সবার শরীরেই নানা ধরনের চিহ্ন থাকে। জ্যোতিষ শাস্ত্রের একটি ভাগ সামুদ্রিক শাস্ত্র অনুসারে এই সব শারীরিক চিহ্ন(Body Marks) দেখে জাতকের সম্পর্কে অনেক কিছু আন্দাজ করা যেতে পারে। তার মধ্যে কোনও কোনও চিহ্ন শুভ এবং কোনও কোনও চিহ্ন অশুভ সংকেত বহন করে। আজ আমরা আলোচনা করব মহিলাদের শরীরে কোন কোন চিহ্ন থাকলে তা অত্যন্ত শুভ ফল নিয়ে আসে।
মহিলাদের শরীরে এই ৭ চিহ্ন অত্যন্ত সৌভাগ্যের, সাফল্যে আসে সহজেই
“ইমস্মিং সতি, ইদং হোতি,ইমস্সুপ্পদা ইদং, উপ্পজ্জতি, ইমস্মিং অসতি, ইদং ন হোতি, ইমস্স নিরোধা, ইদং নিরুজ্ঝতি”। অর্থাৎ, এটা হলে ওটা হয়, এটার উৎপত্তিতে ওটার উৎপত্তি, এটা না হলে ওটা হয় না, এটার নিরোধে ওটার নিরোধ হয়। মানে, বত্রিশ প্রকার মহাপুরুষ লক্ষণ সম্বলিত হেতুর উদ্ভব হেতু নিরোধে ফলের নিরোধ। মর্মার্থ : শাস্ত্রোক্ত মতে মনুষ্য জন্মেই এসব বত্রিশ মহাপুরুষ লক্ষণের হেতু সমূহ সৃষ্টি করেছেন বা মহাপুরুষ লক্ষণ উদ্ভুত হবার মত সৎ কর্ম ও উপলব্ধি করা যায় যে, কুশল কর্মাদি সম্পাদন করে পারমী পূরণের সর্বোৎকৃষ্ঠ ক্ষেত্র হল মানব জন্ম। কিন্তু মানব জন্ম অতি দুর্লভ, আর তাই সকলের উচিত কুশল কর্মাদি সম্পাদনের মাধ্যমে নিজেকে অগ্রগতির দিকে পরিচালিত করা। বত্রিশ মহাপুরুষ লক্ষণ উদ্ভবের প্রতিটিতে কুশলজাত হেতুর ফল বিদ্যমান এগুলোর একটি পালন করলেও তা ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে সুফল দায়ক এবং সহায়ক। সুতরাং সকলের প্রত্যাশা এবং উদ্যম হোক সৎ চিন্তা, সৎ বাক্য ও সৎ কর্মের অনুশীলন। "প্রকৃত মহাপুরুষ " এর সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ কি কি? অথবা কোন ব্যক্তিকে "প্রকৃত মহাপুরুষ " বলা যেতে পারে? কোন কোন সাধন লক্ষণ যোগ্যতা থাকলে কোন ব্যক্তিকে "প্রকৃত মহাপুরুষ " বলা যেতে পারে??” কিন্তু আমরা শাস্ত্রানুসারে "প্রকৃত মহাপুরুষ " তাকেই বলবো - যিনি “আত্মজ্ঞান-পরমাত্মজ্ঞান এবং ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করে পরম মুক্তি" প্রাপ্ত হয়েছেন l তাই যিনি “আত্মজ্ঞান-পরমাত্মজ্ঞান এবং ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করে পরম মুক্তি" প্রাপ্ত হয়েছেন তাকে আমরা "প্রকৃত মহাত্মা"এর সঙ্গে সঙ্গে তাকে আমরা শাস্ত্রানুসারে "সদগুরু / ব্রহ্মজ্ঞানী / মহাপুরুষ / মুক্তপুরুষ /প্রকৃত মহাপুরুষ " বলতে পারি l তাই যিনি "মহাপুরুষ" তিনি "প্রকৃত মহাত্মা" তো তিনি আগেই হয়েছেন কিন্তু যিনি "প্রকৃত মহাত্মা" তার মুক্তি এখনো বাকি -তিনি এখনো সাধন পথে ব্রতী l আর যিনি "মহাপুরুষ" তিনি সাধনা সাম্যক রূপে সিদ্ধি করেছেন -তার পরম মুক্তি লাভ হয়ে গিয়েছে -তার যার সাধনা বাকি নেই -তিনি শুধু পরমমুক্তির পথ-প্রদর্শক l তাহলে বোঝা গেলো যে যিনি -"প্রকৃত মহাত্মা" -তিনি ধৰ্ম উপদেশ দিতে পারেন কিন্তু দীক্ষা দিতে পারেন না অথবা এক কথায় বলা যায় যে -শাস্ত্রানুসারে যিনি "প্রকৃত মহাত্মা" তিনি ধৰ্ম উপদেশ দিতে পারলেও দীক্ষা দেওয়ার অধিকার শাস্ত্রানুসারে তার নেই l তাই শাস্ত্রানুসারে যিনি "প্রকৃত মহাত্মা" হয়েও যদি তিনি দীক্ষা দেন তো শাস্ত্রানুসারে তাকে " ধর্মেরগ্লানিকারী / ভন্ড / শাস্ত্রাদ্রোহী / গুরুদ্রোহী " বলে l একমাত্র যিনি " “আত্মজ্ঞান/পরমাত্মজ্ঞান / ব্রহ্মজ্ঞান /পরম মুক্তি" / কৈবল্য / ব্রহ্মজ্ঞান-ব্রহ্মস্থিতি " লাভ করেছেন তারই দীক্ষা দেওয়ার শাস্ত্রসম্মত অধিকার হয়েছে এবং তাকেই একমাত্র আমরা শাস্ত্র অনুসারে " প্রকৃত মহাপুরুষ " বলতে পারি l শাস্ত্র যদি দশ সাধন যোগ্যতা-লক্ষণএর কোনো এক একটা সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ লাভকারী "প্রকৃত মহাত্মা" কেও দীক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করলে " ধর্মেরগ্লানিকারী / ভন্ড / শাস্ত্রাদ্রোহী / গুরুদ্রোহী " বলে , তাহলে চিন্তা করুন আজ এই কলি যুগে দশ সাধন যোগ্যতা-লক্ষণএর কোনো এক একটা সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ লাভ না করেও যারা দীক্ষা দেন তাদিকে তাহলে কি বলা যাবে ???? তাহলে বোঝা গেলো যে একমাত্র যিনি "" “আত্মজ্ঞান/পরমাত্মজ্ঞান / ব্রহ্মজ্ঞান /পরম মুক্তি" / কৈবল্য / ব্রহ্মজ্ঞান-ব্রহ্মস্থিতি " লাভ করেছেন তারই দীক্ষা দেওয়ার শাস্ত্রসম্মত অধিকার হয়েছে এবং তাকেই একমাত্র আমরা শাস্ত্র অনুসারে "প্রকৃত মহাপুরুষ " বলতে পারি এবং " প্রকৃত মহাপুরুষ "রুপি সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ ব্যাক্তিই একমাত্র "প্রকৃত দীক্ষা " দেওয়ার শাস্ত্র অনুসারে অধিকারী এবং ঐরকম সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ সম্পন্ন " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর কাছে কেও যদি দীক্ষা প্রাপ্ত হয় তবেই আত্ম-উন্নতির রাস্তায় সেই দীক্ষা প্রাণবন্ত হয় নচেৎ নিস্প্রান-ভন্ড দীক্ষায় কি উন্নতি হয় ???? আর একটা কথা - "প্রকৃত মহাত্মা" এর কথা -বার্তায় একটু ভালো করে লক্ষ্য করলে বোঝা যায় যে উনি শাস্ত্র অনুসারে দশ সাধন যোগ্যতা-লক্ষণএর কোনো এক একটা সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ লাভ করেছেন কিন্তু " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর সঙ্গে বছরের পর বছর মিশলেও তার আচার -আচরণে , কথা-বার্তায় (একমাত্র যদি উনি নিজে কাহাকেও ইচ্ছাকৃত ধরা না দেন ) কেও কোনো ভাবে মোটেও বুঝতে পারে না যে উনি একজন " প্রকৃত মহাপুরুষ " l তাহলে বোঝা গেলো - "প্রকৃত মহাত্মা" আর " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর তফাৎ কি ??? " প্রকৃত মহাপুরুষ " যিনি - একমাত্র যদি উনি নিজে কাহাকেও ইচ্ছাকৃত ধরা না দেন তাহলে সেই " প্রকৃত মহাপুরুষকে " বাইরে থেকে চিনিবার উপায় কি ? বা শাস্ত্রে কি কিছু এমন লক্ষন দেওয়া আছে যার দ্বারা সাধারণ মানুষ ও সে সব লক্ষন এর দ্বারা " প্রকৃত মহাপুরুষকে " ( তাতে যদি উনি নিজে কাহাকেও ইচ্ছাকৃত ধরা না দেন তাহলেও ) চিনতে পারা যাবে ????? হাঁ - বৈদিক শাস্ত্রে এমন কিছু শরীর লক্ষন দেওয়া আছে যার দ্বারা সাধারণ মানুষ ও সে সব শরীর লক্ষন (মিলিয়ে ) এর দ্বারা " প্রকৃত মহাপুরুষ" কে তা অতি সহজেই ( তাতে যদি উনি নিজে কাহাকেও ইচ্ছাকৃত ধরা না দেন তাহলেও ) চিনতে পারা যাবে l সেগুলো বৈদিক শাস্ত্রে " প্রকৃত মহাপুরুষ" এর 32 শরীর লক্ষন বলে বিস্তারিত দেওয়া আছে l এই 32 শরীর লক্ষন যে কোনো " প্রকৃত মহাপুরুষ / মুক্তপুরুষ / পরমমুক্তিপুরুষ / কৈবল্যপুরুষ / ব্রহ্মজ্ঞান-ব্রহ্মস্থিতিমহাপুরুষ / সিদ্ধপুরুষ " এর রক্ত-মাংসের শরীরে বিদ্যমান থাকে -যা বাইরে থেকে ভালোকরে পরিলক্ষ্য করলে জানা যায় যে উনি " প্রকৃত মহাপুরুষ " না " প্রকৃত মহাপুরুষ' নন l এই লক্ষন জ্ঞান থাকলে "ভন্ডপুরুষ" আর " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর জ্ঞান উৎপন্ন হয় - যার ফলে "ভন্ডপুরুষ" এর পাল্লায় পড়ে দিকভ্রষ্ট বা প্রতারিত হতে হয় না l এই লক্ষন জ্ঞান দ্বারা কে " প্রকৃত মহাপুরুষ " !!!!- এটা জেনে সেই " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর চরণ বন্দনা করে দীক্ষা প্রার্থনা দ্বারা যদি সেই " প্রকৃত মহাপুরুষ " কৃপাতে সে " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর কাছে দীক্ষা পাওয়া সম্ভব হয় তাহলে "পরম মুক্তির প্রকৃত রাস্তা" পাওয়া সম্ভব হয় - এটাকেই শাস্ত্রে সদগুরু দীক্ষা প্রাপ্তি বলে --- ইহাই প্রাণবন্ত দীক্ষা l এবার আমরা নিম্নে শাস্ত্রের " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর 32 শরীর লক্ষন বর্ণনা করার চেষ্টা করবো .......... সাধন যোগ্যতা-লক্ষণ সম্পন্ন " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর আছে দীক্ষা না পেয়ে সাধনহীন ভন্ড লোককে গুরু বলে ভক্তি করে দিকভ্রষ্ট ও প্রতারিত হওয়ার থেকে দীক্ষাহীন অবস্থায় থাকা অনেক ভালো কারণ তাতে অজানিত অবস্থায় ধর্মগলানি রুপি কাজ তো হয় না - তার চেয়ে সদগুরু না পাওয়া পর্যন্ত দীক্ষা নিতে হলে কমপক্ষে কুলগুরু এর কাছে দীক্ষা নিয়ে সদগুরুর অপেক্ষা করা অনেক ভালো কিন্তু কোনো সাধন যোগ্যতা-লক্ষণহীন কোনো ভন্ড -রিত্তিক / আশ্রমের মহারাজ / সাধুবেশী লোক এর কাছে দীক্ষার থেকে - দীক্ষা না নিয়ে (অদীক্ষিত থাকা) ঈশ্বরের কাছে সদগুরু প্রাপ্তি কামনায় দিন কাটানো অনেক ভালো -কারণ আত্মজ্ঞান এরর রাস্তায় দিকভ্ৰষ্ট / প্রতারিত হলে বহু জন্ম নষ্ট হবার ভয় থাকে l তাই শাস্ত্র সম্মত " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর 32 শরীর লক্ষন বিচার করেই দীক্ষা নেওয়া উচিত l যায় হোক কেও যাতে দিকভ্ৰষ্ট না হয় তার জন্যে আমরা বৈদিক শাস্ত্রের " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর 32 শরীর লক্ষন নিম্নে বর্ণনা করার চেষ্টা করবো ............. 32 শরীর লক্ষন-- এক একটি শরীর লক্ষন অপরের শরীর লক্ষন সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত , তাই কারো মধ্যে কোনো একটা সামান্য মিল পেয়ে তাকে মহাপুরুষ ভাববেন না , সব লক্ষন একসঙ্গে একই দেহে থাকতে হবে l বৈদিক শাস্ত্রের " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর 32 শরীর লক্ষন নিম্নে বর্ণনা করলেও হাতে-কলমে এই বিশেষ শিক্ষা কোনো এই শিক্ষাজ্ঞানীর কাছে করলে তবেই পূর্ণ লক্ষন জ্ঞান হয় নচেৎ শুধু পড়ে (হাতে-কলমে না শিখেই) এই লক্ষন জ্ঞান এর পূর্ণ জ্ঞান হয় না , কিন্তু প্রাথমিক জ্ঞান অবশই হয় - তাই প্রথমে বহু লোকের প্রাথমিক জ্ঞান এর জন্যে আমরা নিচে এই বর্ণনা করে চেষ্টা করছি l কিন্তু এই বিষয়ে হাতে-কলমে শিক্ষায় মূল ও পূর্ণ l " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর 32 টি শরীর লক্ষন আছে , "প্রকৃত মহাত্মা"দের 20-22 টি লক্ষন , সতী-সাদ্ধী সাধক নারীদের মধ্যে 18-20 টি লক্ষন , দেবতাদের 15-18 টি লক্ষন , সতী-সাদ্ধী সাধারণ নারীদের মধ্যে 6-8 টি লক্ষণ থাকে , ভালো উদার মানুষএর 4-8 টি লক্ষন , নিচলোকদের বা দৈত্যদের নিচের লক্ষণের বিকৃত লক্ষন থাকে l বৈদিক শাস্ত্র অনুযায়ী " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর 32 শরীর লক্ষন :- ( " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর একসঙ্গে 32 টি সব লক্ষণ থাকতে হবে , কোনো একটা-দুটো-কয়েকটা লক্ষণ থাকলে নয়) “ইমস্মিং সতি, ইদং হোতি,ইমস্সুপ্পদা ইদং, উপ্পজ্জতি, ইমস্মিং অসতি, ইদং ন হোতি, ইমস্স নিরোধা, ইদং নিরুজ্ঝতি”। অর্থাৎ, এটা হলে ওটা হয়, এটার উৎপত্তিতে ওটার উৎপত্তি, এটা না হলে ওটা হয় না, এটার নিরোধে ওটার নিরোধ হয়। মানে, বত্রিশ প্রকার মহাপুরুষ লক্ষণ সম্বলিত হেতুর উদ্ভব হেতু নিরোধে ফলের নিরোধ। মর্মার্থ : শাস্ত্রোক্ত মতে মনুষ্য জন্মেই এসব বত্রিশ মহাপুরুষ লক্ষণের হেতু সমূহ সৃষ্টি করেছেন বা মহাপুরুষ লক্ষণ উদ্ভুত হবার মত সৎ কর্ম ও উপলব্ধি করা যায় যে, কুশল কর্মাদি সম্পাদন করে পারমী পূরণের সর্বোৎকৃষ্ঠ ক্ষেত্র হল মানব জন্ম। কিন্তু মানব জন্ম অতি দুর্লভ, আর তাই সকলের উচিত কুশল কর্মাদি সম্পাদনের মাধ্যমে নিজেকে অগ্রগতির দিকে পরিচালিত করা। বত্রিশ মহাপুরুষ লক্ষণ উদ্ভবের প্রতিটিতে কুশলজাত হেতুর ফল বিদ্যমান এগুলোর একটি পালন করলেও তা ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে সুফল দায়ক এবং সহায়ক। সুতরাং সকলের প্রত্যাশা এবং উদ্যম হোক সৎ চিন্তা, সৎ বাক্য ও সৎ কর্মের অনুশীলন। 1. চোখের মনি প্রায় সব সময় শাম্ভবী অবস্থায় অথবা অর্ধ-শাম্ভবী অবস্থায় থাকবে 2. কপাল দীর্ঘ-বিস্তৃত হবে ও মুখমন্ডল গম্ভীর হবে 3. কপালে 24 রকমের দিব্যা চিহ্ন এর কোনো একটা বা কোনো কোনো চিহ্ন থাকবে 4. চোখের তারা উর্দ্ধমুখ হবে 5. চোখে অন্তর একগ্র দৃষ্টি এবং অগ্নিদৃষ্টি হবে ও অন্তর্ভেদী ও স্বচ্ছ দৃষ্টি হবে (কপটতা / চালাকি / লোভী ভাব দৃষ্টিতে থাকবে না ) 6. চোখ অপলক বা পলকহীন বা বিস্তৃতখন পলকহীন হবে (নারী-পুরুষ সম দৃষ্টি ) 7. চোখ আকারে ছোট বা বড় যাই হোক কিন্তু আকার নারীদের যোনি এর আকার এর মতো হবে এবং চোখের মনি এর রং গাড়ো নীল / বাদামি হবে 8. মস্তক এর তুলনামূলক বড় ও ভারী হবে 9. কান - হস্তীকর্ণ / গরুড়কর্ণ / উন্নতকর্ণ হবে 10. নাসিকা উন্নত ও দৃঢ় হবে 11.জীভ বাইরে নাসিকার অগ্রভাগ স্পর্শ করবে 12.জীভ এর অগ্রভাগ মহা সর্প-সূচালু হবে ও গলার আওয়াজ নাদ গম্ভীর হবে 13.জীভ এর নিচে শিরা থাকবে না (যে শিরা জিভকে নিচের চোয়ালের সঙ্গে যুক্ত রাখে) 14.দাঁত ছিদ্র সূক্ষ্ম হবে ও দাঁত সূক্ষ্ম হবে 15.গলা দৃঢ় ও দীর্ঘ্য বা কিছু মোটা হবে 16.পিছনে ঘাড় ছোট হতে হবে 17.কাঁধ দৃঢ় ও বিস্তৃত হতে হবে 18.বুক দৃঢ় ও বিস্তৃত হতে হবে 19.বুক এর স্তন বা গঠন উন্নত ও দৃঢ় হবে 20.পা , চোখের প্রান্ত, হাতের তালু , নখ এর অগ্রভাগ , ঠোঁট, চামড়া এর রং লালচে হবে 21. হাতে আপনা আপনি মুদ্রা তৈরি হয় 22 .হাতের সব আঙ্গুল দৃঢ় ও সোজা হবে (বেঁকা আঙ্গুল তমোগুণের লক্ষন) 23. দুটি হাতের তালুতে মোট কম্পক্ষে 7+ টি ত্রিশুল চিহ্ন অথবা চক্র চিহ্ন / মন্দিরচিহ্ন / পদ্মচিহ্ন / যোনী চিহ্ন / কোনো প্রকার দিব্য চিহ্ন থাকতে হবে 24.হাতের তালুতে (যেখানে রেখা থাকে ) - বিশেষ নক্ষত্র চিহ্ন এবং ধর্মচক্র ছেদ চিহ্ন থাকতে হবে 25.হাতের তালুর পাশে দিব্যচক্ষু ও জ্ঞানরেখা রেখা বিদ্যমান থাকতে হবে 27.হাতের তালুতে বৃহস্পতি স্থান অত্যান্ত উঁচু এবং ধর্ম চিহ্ন থাকতে হবে 28. নাভি খুব গভীর হবে ও পেট গঠনক্রোম হবে 29. হাঁটু ও নিতম্ব ভালভাবে উন্নত হবে 30.কোমর দৃঢ় ও তুলনামূলক সুবিননস্থ হবে 31.উরু তুলনামূলক দৃঢ় হবে 32.দুটি পায়ের তালুতে ত্রিশুল চিহ্ন / চক্র চিহ্ন / মন্দিরচিহ্ন / পদ্মচিহ্ন / যোনী চিহ্ন / কোনো প্রকার দিব্যা চিহ্ন থাকতে হবে উপরুক্ত মাথা হইতে পা পর্যন্ত মোট " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর 32 শরীর লক্ষন থাকবেই l তাই " প্রকৃত মহাপুরুষ " এর 32 শরীর লক্ষন হাতে -কলমে শিক্ষা গ্রহণ করে " প্রকৃত মহাপুরুষ " চিনতে সক্ষম হন ও ভন্ড দের প্রতারণা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন l ভবতু সব্ব মঙ্গলম্ llসামুদ্রিক শাস্ত্র অনুসারে মহাপুরুষের নিম্নলিখিতএই ৩২টি শারীরিক লক্ষণ থাকবে
সামুদ্রিক শাস্ত্রে ব্যক্তির শরীরের লক্ষণ দেখে তাঁদের চরিত্রের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানা যায়। শরীরের কোন লক্ষণ শুভ, তা-ও জানানো রয়েছে এই শাস্ত্রের মধ্যে – এমন ৩২টি গুণের উল্লেখ পাওয়া যায়, যা কোনও শরীরে থাকলে তাঁরা ভাগ্যবান ও মহাপুরুষ হিসেবে গণ্য হন।
আপনি কি জানেন যে সময়সূচী AM এবং PM শুধুমাত্র ভারতে উদ্ভূত হয়েছে...?? কিন্তু আমাদের শৈশব থেকেই ভাবতে বাধ্য করা হয়েছিল, বিশ্বাস করা হয়েছিল যে AM এবং PM এই দুটি শব্দের অর্থ: A.M: অ্যান্টি মেরিডিয়ান P.M: পোস্ট মেরিডিয়ান এন্টে অর্থাৎ প্রথম, কিন্তু কার? পোস্ট অর্থাৎ পরে, কিন্তু কার? এটি কখনও পরিষ্কার করা হয়নি, কারণ এটি চুরি করা শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ ছিল। অনেক গবেষণার পর জানতে পেরেছি যে আমাদের প্রাচীন সংস্কৃত ভাষায় এই সন্দেহ স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। কিভাবে? দেখা… AM = অরোহণম মার্তান্ডস্য PM = পতনম মার্তান্ডস্য সূর্য, যা প্রতিটি মহাকাশীয় গণনার মূল, ন্যূনতম করা হয়। এই ইংরেজি শব্দগুলো সংস্কৃতের প্রকৃত 'অর্থ' নির্দেশ করে না।অরোহণম মার্তান্ডস্য মানে সূর্যে আরোহণ বা আরোহণ। পতনম মার্তান্ডস্য মানে সূর্যের ঢাল। বারোটার আগে সূর্য উঠতে থাকে - 'অরোহণম মার্তান্ডস্য' (A.M.)। বারোটার পর সূর্য দ্রবীভূত হয় - 'পত্তনম মার্তান্ডস্য' (P.M.)। কিছু লোক যারা পাশ্চাত্যের প্রভাবে নিয়োজিত ছিল এবং পাশ্চাত্য শিক্ষা লাভ করেছিল তারা বিভ্রান্ত হয়েছিল যে সমস্ত বিজ্ঞান পশ্চিমা বিশ্বের উপহার। আমাদের হাজার বছরের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে অনুসরণ করে আমরা আধুনিক ও উন্নত হতে পারি। এতে বিব্রত হবেন না বরং এটি নিয়ে গর্বিত হবেন এবং শুধুমাত্র একজন জাল সংস্কারবাদী হয়ে এটিকে হেয় করবেন না। সময় নিন এবং এটি সম্পর্কে পড়ার/বুঝতে/কথা বলার/জানার চেষ্টা করুন।
প্রাচীন তত্ত্ব মতে এবং মুনি ঋষিদের নির্দেশ অনুযায়ী যে কোন কাজ শুরু করার পূর্বে শুভ মুহুর্তের বিচার করে তবেই সেই কাজ শুরু করা হয়ে থাকে । মুহুর্তের অর্থ হল সময়ের সেই ভাগ যা নক্ষত্র , গ্ৰহদের বিচ্ছুরিত রশ্মির দ্ধারা প্রভাবিত এবং স্থিত । এই প্রভাব বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে কারো জন্য অনুকূল বা কারো জন্য প্রতিকূল অবস্তার সৃষ্টি করে । দ্ধিতীয়ত এই রশ্মি সারা বিশ্বে এমন একটি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে যার দ্ধারা মনুষ্য শরীর , তার চেতনা , বৈদিক ক্ষমতা ইত্যাদিকে অবশ্যই প্রভাবিত করতে সক্ষম হয় । এর বিপরীত প্রতিকূল সময়ে যে কোন কাজ করতে গেলে বাধা ও বিঘ্নের সৃষ্টি হয় এবং সে কাজ সফল হয় না । এমন কি কখনও কখনও মানুষের সুরক্ষা , জীবন এবং স্বাস্থ্যের ব্যাপারে চিন্তার কারন দেখা দেয় । অত এব সমস্ত কাজ মুহূর্তে এবং উপযুক্ত কাল বিচার করেই করা কর্তব্য ।