দীক্ষা :- গুরুর দেওয়া উপদেশগুলির এর সঙ্গে নিত্য-অনিত্য বিবেকবিচার এবং শাস্ত্রের 42 বৈদিক অনুশাসন বাস্তবিক জীবনে কায়-মন-বাক্যে 100% প্রতিপালন এবং করনীয় কর্তব্য কর্মের সম্পূর্ণভাবে প্রতিপালন করতে করতে নামদীক্ষা এবং বীজদীক্ষা ও গায়ত্রীদীক্ষা তৎপরে পশুভাব সম্পূর্ণভাবে নির্মূল হইলে যোগদীক্ষা এবং যোগদীক্ষার সাধনা করতে করতে সাধনার উত্তমস্তরে
এলে ব্রহ্মবিদ্যাদীক্ষা লাভ হয় । এই সমস্ত দীক্ষার স্তর গুলি ক্রমান্বয়ে যোগ্যতা অনুসারে প্রাপ্ত
করাকে বৈদিক মতে দীক্ষা প্রাপ্তি বলে । তবে বিশেষ বক্তব্য যে গুরু উপদেশ এর সঙ্গে সঙ্গে নামদীক্ষা এবং বীজদীক্ষা ও গায়ত্রীদীক্ষা প্রাপ্তি অতি প্রয়োজন কারণ এগুলি প্রাপ্ত না হলে কেউ গুরু সঙ্গে আন্তরিক ভাবে যুক্ত হতে পারেনা , তাই সাধনার প্রাথমিক স্তরে অনুশাসন এবং উপদেশ স্তরেও এই দুধরনের দীক্ষা অত্যন্ত আবশ্যক , আরো কারণ হইলো যে দীক্ষা ব্যতীত শাস্ত্রীয় কোন কর্মের অধিকার কেউ প্রাপ্ত হয় না সেই কারণে গুরুকরণ এবং দীক্ষার অধিকার আবশ্যকতার কথা শাস্ত্রে বারবার বলা হয়েছে– যাহাকে শাস্ত্রে অষ্টাঙ্গিক মার্গের পঞ্চমমার্গ “ দীক্ষামার্গ” বলা হয়।