মুখ্য সংকীর্তন ও গৌণ সংকীর্তন
যোগীরাজ শ্রীশ্যামাচরণ লাহিড়ী বলিতেন...................................................
জিহ্বা স্বয়ং ইন্দ্রিয়,ইন্দ্রিয় দ্বারা কৃত সংকীর্তন গৌণ সংকীর্তন ৷
যাঁহারা মুখ্য সংকীর্তনের সন্ধান পান নাই তাঁহাদের গৌণ সংকীর্তন করা ভাল ৷ এইভাবে গৌণ সংকীর্তন করিতে করিতে জীব ক্রমে শুদ্ধ হইবে, তাহার মনে ভক্তি, শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস আসিবে ৷ তারপর আপনা আপনি সময় আসিবে যখন গুরুকৃপায় মুখ্য সংকীর্তনের হদিস পাইবে অর্থাৎ সদগুরুপদিষ্ট সাধন পাইবে, তখন তাহার আর গৌণ সংকীর্তনের প্রয়োজন থাকিবে না ৷
তাই
যোগীরাজ বলিতেন, সৌভাগ্যবশে যাঁহারা সাধন অর্থাৎ মুখ্য সংকীর্তনের পথ পাইয়াছেন তাঁহাদের গৌণ সংকীর্তন বা বাহ্যপূজার প্রয়োজন হয় না ৷ তাঁহারা দেহের ভিতরেই তখন সবকিছু জানিতে বুঝিতে ও দেখিতে পান ৷
শাস্ত্রও সেই কথা বলিয়াছেন —
"দেহস্থাঃ সর্ব্ববিদ্যাশ্চ দেহস্থাঃ সর্ব্বদেবতা ৷
দেহস্থাঃ সর্ব্বতীর্থানি গুরুবাক্যেন লভ্যতে ৷৷"
(জ্ঞানসঙ্কলনী তন্ত্র)
সকল বিদ্যা,সকল দেবতা এবং সকল তীর্থ দেহমধ্যে বর্ত্তমান,যাহা গুরুবাক্যে পথে জানা যায় ৷ ................. (জ্ঞানসঙ্কলনী তন্ত্র)
নাভি হইতে নীচে পাতাল,নাভি হইতে কন্ঠ পর্যন্ত মর্ত্ত এবং তদুর্দ্ধে স্বর্গ ৷ বিশ্বব্রক্ষ্মাণ্ডের সব কিছুই এই দেহমধ্যে আছে ৷
সাকারের বিনাশ আছে, নিরাকারের বিনাশ নাই ৷
গুরুবাক্যে পথে নিরাকার মনে শুদ্ধ ব্রক্ষ্মজ্ঞান জন্মায় ৷