ভাগ্যং ফলতি সর্ব্বত্রং। অর্থাৎ ভাগ্যানুযায়ীই লোক সুখ,দুঃখ উপভোগ করিয়া থাকে।তাহার ব্যতিক্রম  করা কাহারও বিন্দুমাত্র সাধ্যই নহে।দেব,দানব,মানব,যক্ষ,রক্ষ আদি জীবমাত্রই প্রারব্ধের দাস বা অধীন,এই প্রারব্ধ পূর্ব কর্মফল হেতু সৃষ্ট  হইয়া থাকে।ভবিতব্য  ভগবানই ইহার একমাত্র নিয়ন্তা।আমরা কর্ত্তা হইয়া ভাগ্যভোগ কাটাইবার জন্য নানাবিধ রুপে যত চেষ্টাই করি না কেন,পরবর্তী  জন্মের প্রারব্ধ ভোগই বৃদ্ধি হয়,কিন্তু  ভাগ্যের বিন্দুমাত্র ও ব্যতিক্রম  হয় না।ভাগ্যরথে চলিয়া অর্থাৎ  ভাগ্যের যাহাই ফলোদয় হউক না কেন,তাহাতে বিচলিত  না হইয়া অকাতরে ওই ভোগদন্ড গ্রহন করিলে পুব্বজন্মার্জ্জিত কর্মফলের শোধ হইয়া যায় অর্থাৎ ভবিষ্যতে আর কোন অশান্তি ভোগ করিতে হয় না।এই প্রকার ঋন শোধ ব্যতীত কেহই অবিচ্ছিন্ন  আনন্দের  পথে অগ্রসর  হইতে পারে না।ভাগ্যে যাহা আছে,তাহা হইতেছে এবং হইবেই এ ধারনা অন্তরে বদ্ধমূল হইলে জীবমাত্রই নানা ভাবনা,চিন্তা,জল্পনা,কল্পনা আদি হইতে রক্ষা পাইয়া অনেকটা শান্তিতে থাকিতে পারে।এই জন্যই  শ্রীশ্রীঠাকুর ইহা বলিয়াছেন যে,এমন কি শ্রীভগবান ও এই অলঙ্ঘনীয়  নিয়মের ব্যতিক্রম  করিতে পারেন না। কর্ত্তৃত্বাভিমান লইয়া যাগ যজ্ঞ তপস্যাদি অনুষ্ঠান  করিয়া ও ইহার হাত হইতে  অব্যাহতি নাই।যাগ যজ্ঞাদি দ্বারা সাময়িক ঐহিক শান্তি পাওয়া সম্ভব,কিন্তু পরিনামে প্রারব্ধ  দন্ড ভোগ করতে হইবে,ইহা সুনিশ্চয়।

ভগবানের প্রতি  পূর্ণ  নির্ভরতা  না থাকিলে প্রকৃত  সত্য উপলব্দি করিতে না পারিয়া জীব কেবল অপরের প্রতি দোষারোপ করিয়া মনকে বিষাক্ত করিয়া  মানসিক নানা দুঃখই ভোগ করে,কিন্তু তাহাতে বিন্দুমাত্র ও প্রতিকার না পাইয়া কেবল দুঃখ ও অশান্তির বৃদ্ধি  হয়।

"বিবাহাদি কার্য ভবিতব্যই করিয়া থাকে, কাহারও কোন বাধা কি বিধি দিবার অধিকার নাই ।"---শ্রীশ্রী রাম ঠাকুর ।। বেদবাণী ।। ৩ /১৪৫