আমরা যখন সৃষ্টির প্রথমে পরমাত্মা থেকে দূরে যে গতি (যাকে শাস্ত্রে দুর্গতি বলে) সেটা আমরা যখন হয়ে অতি সুক্ষ জীবাত্মা হয়েছিলাম , তখন সেই পরমাত্মায় কে কি ভাবে পরে আবার যুক্ত হয়ে পূর্ণ মোক্ষ পাবে - সেই গোপন রহস্য প্রত্যেকের কারণ শরীরের মধ্যে অতি সংগোপনে থাকে -তাকেই একমাত্র মূল " স্বভাব" বলে i আর এই " স্বভাবকেই " পরবর্তী কালে অক্ষর সংক্ষিপ্ত আকারে "ভাব " বলে অর্থাৎ " স্বভাব= ভাব " l যাহা জীবাত্মার স্বরূপ বা ভাবগতি বলে যাহা মন , বুদ্ধি এর অতীত l আর এই স্বভাবে
স্থিতি না থাকার নামই "অভাব"।