দীক্ষা নিতে গেলে যোগ্যতা
কোনো ঈশ্বর কোটিক সিদ্ধ পুরুষ এর কাছ থেকে প্রকৃত সাধন মুখী দীক্ষা নিতে গেলে নিম্নমুখী চারটি যোগ্যতার প্রয়োজন আছে। যথা :-----
1.যার মনুষ্য জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য ব্রহ্ম জ্ঞানে ব্রাহ্মীস্থিতি। অর্থাৎ অনুকূল-প্রতিকূল, খারাপ-ভালো, সুস্থ - অসুস্থ, সুখ - দুঃখ বা যেকোনো পরিস্থিতিতে এই মূল লক্ষ্য চ্যুত হন না, তাকে স্থির লক্ষ্য বলে। যিনি এরকম নিজের জীবনের এই ব্রহ্ম জ্ঞানে ব্রাহ্মীস্থিতি লক্ষ্যকে স্থির করতে সমর্থ হয়েছে এটি তার প্রথম যোগ্যতা।
2. নিজের সাংসারিক স্বার্থের চেয়েও
অন্য জীবাত্মা বা অন্য ব্যাক্তির কল্যান চিন্তা করা। অর্থাৎ যার অন্তরে সর্বদা লোকের প্রকৃত ঈশ্বর লাভ, মুক্তি লাভ, আত্মজ্ঞান লাভ নিয়ে সতত চিন্তা থাকে। সেইরকম ব্যাক্তিত্বকে লোক কল্যাণকারী ব্যাক্তিত্ব বলা হয় । ইহাই দ্বিতীয় যোগ্যতা।
3. যিনি সদা সর্বদা প্রতিক্ষনে নিজের মন - চরিত্র - বুদ্ধি - বাক্য - শারীরিক আচরণকে নিত্য - অনিত্য বিবেক বিচারের দ্বারা যমনিয়মে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ধর্ম পথে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। ইহাই তৃতীয় যোগ্যতা।
4. গুরুর উপর নির্ভরশীল, গুরুভক্তি যুক্ত এবং গুরু সেবা পরায়ণ। ইহাই চতুর্থ যোগ্যতা।
উপরোক্ত এই চার প্রকার ব্যাক্তিত্ব যিনি মন - বুদ্ধি - বিচার - শরীর ও চরিত্রে যোগ্যতা অর্জন করেন তিনি একমাত্র ঈশ্বর কোটিক সিদ্ধ পুরুষে সুযোগ্য বা সমর্থ সৎশিষ্য হবার যোগ্যতা লাভ করে।
তাই যদি কেউ বাস্তবিক জীবনে এই উপরোক্ত চারটি যোগ্যতা, বেদান্ত শিক্ষা এবং আচরণের দ্বারা নিজের ব্যাক্তিত্বকে সমর্থ বান করতে পারে, তিনি অব্যশই ঈশ্বর কোটিক মহাপুরুষের নিকট হইতে পরম বিদ্যা প্রাপ্তির অব্যশই যোগ্যতা লাভ করে।