অসৎসঙ্গ এর ফল কি ?
অসৎসঙ্গ এর ফল কি ?
উত্তর:-
১.জীবাত্মার অধোগতি ( জীবন চলাকালীন অধোগতি , মৃত্যুর পরও অধোগতি , পুনঃজন্ম এর সময়ও অধোগতি )
২. নিজের শরীর ও ওপরের শরীর সম্বন্ধীয় বিষয়ে আকর্ষণ বা ঘৃণা
৩. ব্রহ্ম বা ঈশ্বর বা ভগবান সম্বন্ধেই সন্দেহপ্রবণতা
৪. ইহলৌকিক জড় শরীরই সব -এই রকম জ্ঞান
৫. ইহলৌকিক জড় শরীর সম্মন্ধিয়ঐ সব -এই রকম জ্ঞান
৬. ইহলৌকিক জড় সম্পত্তিই সব -এই রকম জ্ঞান
৭. ইহলৌকিক জড় শরীর , সম্পত্তি ও ভোগই সব -এই রকম জ্ঞান
৮. মোক্ষ সম্বন্ধীয় পরোক্ষজ্ঞান এর ধরে কাছেও না যাওয়া
৯. কুণ্ডলিনী শক্তির চিরঘুমন্ত অবস্থা লাভ
১০. গুরু ভক্তি ও সেবা জ্ঞান-- এটা করে কি হবে ??--এই রকম জ্ঞান
১১ জীবসেবা ও ঈশ্বর সেবা জ্ঞান-- এটা করে কি হবে ??--এই রকম জ্ঞান
১২. বাবা-মা সেবা জ্ঞান-- এটা করে কি হবে ??--এই রকম জ্ঞান
১৩. জগৎকল্যাণ ও মানবকল্যাণ এবং দেশভক্তি জ্ঞান-- এটা করে কি হবে ??--এই রকম জ্ঞান
১৪. নারী সম্মান ও মর্যাদা জ্ঞান-- এগুলো বইয়ের পাতায় লেখা থাকে ,বাস্তবে হয় না --এই রকম জ্ঞান এবং নারীরা ভোগের বস্তু - এই জ্ঞান এর স্থিতি লাভ
১৫. বিচার ও বিবেব শক্তির হ্রাস হতে হতে পূর্ণ মাত্রায় লোপ
১৬. জন্মাতরিন অজ্ঞান বৃদ্ধি
১৭. পুনঃ পুনঃ ত্রিতাপ জ্বালা লাভ
১৮. ত্রিগুন এর চরম মাত্রায় বৃদ্ধি
১৯. সব দিক দিয়ে মহাভোগ কি করে করা যাই তার কপটতা বৃদ্ধি
২০ কি করে ভদ্রা ও ধার্মিক লোক কে দমন করা যাই তার নীচবুদ্ধি লাভ
২১. ভগবানের উপর নির্ভরশীল না হয়ে সরকারি চাকরির বা টাকা-সম্পত্তির উপর নির্ভরশীল চিত্ত অবস্থা লাভ
২২. দুঃখ এর সময় মহাবিচলিত চিত্ত লাভ
২৩. সতলোককেই ত্যাগ , সৎ উপদেশ ত্যাগ , সৎ ব্যাক্তির নিন্দা করা
২৪. নিজেকেই সবচেয়ে বড়ো গুরু জ্ঞান লাভ
২৫. ভন্ড , রাজনীতিবিদ ও অসৎ লোকেই ভালো লোক মনে করা
২৬. ভন্ড , রাজনীতিবিদ ও অসৎ লোকরাই একমাত্র সমাজের ভালো করে এই রকম জ্ঞান উৎপন্ন হয়
২৭. অর্থ বা টাকা বা বাহ্যাজিক প্রতিষ্ঠাই মূল - এই রকম জ্ঞান লাভ হওয়া
২৮. অসৎ কর্ম দ্বারা জীবনকে ও মৃত্যুর পর নিজের বহুবার পশুজন্মের ব্যবস্থা করা
২৯. কাম ও টাকাই মূল এই রকম প্রকরণ জ্ঞান লাভ
৩০. মিথ্যা বলা কে অতি সাধারণ কর্ম এবং প্রত্যেকের করা উচিত এইরকম জ্ঞান করা
৩১. অসৎ কর্ম দ্বারা টাকা রোজকার করা - অতি সাধারণ কর্ম এবং প্রত্যেকের করা উচিত এইরকম জ্ঞান করা
৩২. জীবনে সবরকম ভোগ ই মূল- "পরম মুক্তির পথ"-এই ধরণের কথা ফালতু কথা -এই জ্ঞান
ইত্যাদি আরো বহু প্রকারের অজ্ঞান ও দুর্গতি লাভ হয় l
তাই যদি "অসৎ সঙ্গ" করা যাই তাহলে অবশ্যই মহা দুর্গতি অবস্থা লাভ হবেই -এতে কোনো সন্দেহ নেই ল
8.অসৎব্যাক্তি কি কখনো কারো পক্ষেই হিতকর হয় বা বিশ্বাস করা যায় কি ?
উত্তর :- "না"
অসৎব্যাক্তি কখনো কোনোভাবেই কারো পক্ষেই হিতকর হয় না , আর যদি চর্মচোখে কখনো হিতকরী মনেও হয় , কিন্তু দিব্য চক্ষুতে দেখলে দেখা যাবে যে -ওই অসৎব্যাক্তির দ্বারা সাময়িক হিতকর হয়তো হয়েছে কিন্তু তার পরিবর্তে বহুগুন ক্ষতি বা অধোগতি হয়েছে - তাই সর্বসাকুল্যে বলা যাই যে -"অসৎব্যাক্তি কখনো কোনোভাবেই কারো পক্ষেই হিতকর হয় না" l
অসৎব্যাক্তিকে কখনো কোনোভাবেই কারো পক্ষেই বিশ্বাস করা উচিত নয়, -ওই অসৎব্যাক্তিকে বিশ্বাস করার জন্যে হয়তো সাময়িক হিতকর হয়তো হয়েছে কিন্তু তার পরিবর্তে বহুগুন ক্ষতি বা অধোগতি হয়েছে - - তাই সর্বসাকুল্যে বলা যাই যে -"অসৎব্যাক্তি কখনো কোনোভাবেই কারো বিশ্বাস করা উচিত নয়" l
9. আমি ধৰ্ম আচরণ করলাম আবার অসৎব্যাক্তির সঙ্গে ও করলাম - তাতে কি প্রকৃত ধর্মাচরণ হয় ?
উত্তর:-
প্রকৃত ভাবে ও শাস্ত্রানুসারে ধর্ম হলো সত্যের প্রতীক - তাই আমি ধৰ্ম আচরণ করলাম আবার অসৎব্যাক্তির সঙ্গে ও করলাম - তাতে প্রকৃত ধর্মাচরণ হয় নষ্ট হয়ে যাই l
তাই গীতাতে ভগবান বার বার বলেছেন যে - ধর্মাচরণ ও সৎসঙ্গ করতে এবং অসৎসঙ্গ অপেক্ষা পূর্ণ রূপে নিঃসঙ্গ থাকতে হবে , তবুও কোনো কারণেই অসৎ সঙ্গে করা যাবে না - যদি আমরা ভগৎবাৎ হকটি লাভ করতে চাই l তাই সর্ব অবস্থায় অসৎব্যাক্তির সঙ্গে ত্যাগ করা উচিত l
10.অসৎ পথে উপার্জনের অন্ন ও কি অসৎ হয় ?
উত্তর:-
প্রকৃত ভাবে ও শাস্ত্রানুসারে অসৎ পথে উপার্জনের দ্বারা অন্নকেও পূর্ণ রূপে "পাপান্ন" বলা হয়েছে l
তপস্যা অধ্যায়ে আমরা ভালো ভাবে বলেছি যে "পাপান্ন" ভোজনে তপস্যা শক্তি সম্পূর্ণ রূপে নষ্ট হয়ে যায় , তাই ধর্মাচারণশীল ব্যাক্তির কদাপি কোনো অবস্থাতেই কখনোই অসৎ ব্যাক্তির - অসৎপথের উপার্জনের দ্বারা অন্ন কোনোদিন গ্রহণ বা ভক্ষণ করতে নেই l