অবতারের উদ্দেশ্য
পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশায় চ দুস্কৃতাম্।
ধর্মসংস্হাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে।। (৪/৮)
▪️ভগবান বলেছেন, “আমি অবতীর্ণ হয়ে মূলত তিনটি কার্য সমাধা করি—
▪️১। সাধুদের পরিত্রাণ : আমার যে সকল ভক্ত আমার দর্শনাকাঙ্ক্ষায় অতিশয় উৎকন্ঠ চিত্ত, তাঁদের দর্শন দান করি। তাঁদের বিরহ বেদনা দূর করি অর্থাৎ ভক্তদের সঙ্গে লীলা আস্বাদন করি।
▪️২। দুস্কৃতি বিনাশ : সমাজে উৎপীড়নকারী অসুরদের বিনাশ করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করি।
▪️৩। ধর্ম সংস্হাপন: জগতে জীবের কল্যাণার্থে তাঁদের ধর্মযোগ শিক্ষা প্রদান করি, যার মাধ্যমে জীব আমার ধামে ফিরে আসতে পারে”।
▪️অসুর বিনাশ ও ধর্ম সংস্হাপন এই দুইটি গৌণ কারণ। ভগবানের অনন্ত শক্তি রয়েছে যার ভ্রুভঙ্গিতে, ইঙ্গিতে এই সমস্ত অসুর অনায়াসেই বিনাশ প্রাপ্ত হয়। এজন্য ভগবানের আসার প্রয়োজন হয় না।
▪️ধর্ম সংস্হাপনার জন্য ভগবান তাঁর প্রেরিত দূত বা ভগবানের শক্তি সমন্বিত মহান শক্তিশালী আচার্যরা এই কাজটি করতে পারেন। আজও পরম্পরাক্রমে বর্তমান আচার্যগন ধর্মকে জগতের প্রতিটি দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এবং মহাপ্রভুর বাণী সার্থক করার জন্য ব্যাপৃত আছেন।